• ধর্ম

    লাইলাতুল কদর-৩ মুফতী আঃ কাদের কারিমী

      প্রতিনিধি ২৩ এপ্রিল ২০২২ , ১১:৩০:০৪ প্রিন্ট সংস্করণ

    আলোকিত ইসলাম ডেস্ক:

    عَنْ عُبَادَةَ بْنِ الصَّامِتِ، قَالَ خَرَجَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم لِيُخْبِرَنَا بِلَيْلَةِ الْقَدْرِ، فَتَلاَحَى رَجُلاَنِ مِنَ الْمُسْلِمِينَ، فَقَالَ ‏ “‏ خَرَجْتُ لأُخْبِرَكُمْ بِلَيْلَةِ الْقَدْرِ، فَتَلاَحَى فُلاَنٌ وَفُلاَنٌ، فَرُفِعَتْ، وَعَسَى أَنْ يَكُونَ خَيْرًا لَكُمْ، فَالْتَمِسُوهَا فِي التَّاسِعَةِ وَالسَّابِعَةِ وَالْخَامِسَةِ ‏”‏‏
    ‘উবাদা ইবনুস সামিত (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
    তিনি বলেন, একদা নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদেরকে লাইলাতুল ক্বাদ্‌রের (নির্দিষ্ট তারিখ) অবহিত করার জন্য বের হয়েছিলেন। তখন দু’জন মুসলমান ঝগড়া করছিল। তা দেখে তিনি বললেনঃ আমি তোমাদেরকে লাইলাতুল ক্বাদ্‌রের সংবাদ দিবার জন্য বের হয়েছিলাম, তখন অমুক অমুক ঝগড়া করছিল, ফলে তার (নির্দিষ্ট তারিখের) পরিচয় হারিয়ে যায়। সম্ভবতঃ এর মধ্যে তোমাদের জন্য কল্যাণ নিহিত রয়েছে। তোমরা নবম, সপ্তম ও পঞ্চম রাতে তা তালাশ কর।
    সহিহ বুখারী, হাদিস নং ২০২৩

    উত্তর-৬
    সাতাইশ ও উনত্রিশতম রাত
    عن أبي هريرة:]
    ليلةُ القدْرِ ليلةٌ سابعةٌ، أو تاسِعةٌ وعِشرِينَ، إنَّ الملائِكةَ تلْكَ الليلةَ في الأرْضِ أكثَرُ من عدَدِ الحَصى
    লাইলাতুল কদর সাতাইশ অথবা উনত্রিশতম রজনী।
    أخرجه أحمد (١٠٧٣٤)

    উত্তর- ৭
    সাতাশতম রজনীর গুরুত্ব
    দৃষ্টান্ত-১
    عَنْ أُبَىِّ بْنِ كَعْبٍ، قَالَ أُبَىٌّ فِي لَيْلَةِ الْقَدْرِ وَاللَّهِ إِنِّي لأَعْلَمُهَا وَأَكْثَرُ عِلْمِي هِيَ اللَّيْلَةُ الَّتِي أَمَرَنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِقِيَامِهَا هِيَ لَيْلَةُ سَبْعٍ وَعِشْرِينَ – ‏.

    উবাই ইবনু কা‘ব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:
    তিনি ‘লাইলাতুল ক্বদ্‌র’ বা ক্বদ্‌রের রাত সম্পর্কে বলেনঃ আল্লাহর ক্বসম! আমি রাতটি সম্পর্কে জানি এবং এ ব্যাপারে আমি যা জানি তা হচ্ছে, যে রাতে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের সলাত আদায় করতে আদেশ করেছেন সেটিই অর্থাৎ সাতাশ তারিখের রাতই ক্বদ্‌রের রাত। হাদীসটির ঐ অংশ সম্পর্কে যে রাতে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদেরকে সলাত আদায় করতে আদেশ করেছেন।
    সহিহ মুসলিম, হাদিস নং ১৬৭১

    দৃষ্টান্ত-২
    عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، – رضى الله عنه – قَالَ تَذَاكَرْنَا لَيْلَةَ الْقَدْرِ عِنْدَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ ‏ “‏ أَيُّكُمْ يَذْكُرُ حِينَ طَلَعَ الْقَمَرُ وَهُوَ مِثْلُ شِقِّ جَفْنَةٍ ‏”‏ ‏.

    আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:
    তিনি বলেন, আমরা রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সামনে ক্বদরের রাত সম্পর্কে আলাপ আলোচনা করছিলাম। তিনি বললেন, তোমাদের মধ্যে কে সে (রাত) স্মরণ রাখবে, যখন চাঁদ উদিত হবে থালার একটি টুকরার ন্যায়।
    সহিহ মুসলিম, হাদিস নং ২৬৬৯

    টিকা,
    شِقِّ جَفْنَةٍ: أيْ: نِصف قَصعةٍ؛ قال أبو الحُسَينِ الفارسيُّ: أيْ: ليلة سَبْع وعِشرين؛ فإنَّ القَمَر يطلُع فيها بتلك الصِّفة.
    আবুল হাসান আল ফার্সি বলেন, চাদ সাতাশতম রজনীতে এই গুন নিয়ে উদিত হয়।

    ছয়,
    শেষ নয় রাতের গুরুত্ব
    عَنِ ابْنِ عُمَرَ، – رضى الله عنهما – قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ تَحَيَّنُوا لَيْلَةَ الْقَدْرِ فِي الْعَشْرِ الأَوَاخِرِ ‏”‏ ‏.‏ أَوْ قَالَ ‏”‏ فِي التِّسْعِ الأَوَاخِرِ ‏”‏ ‏.

    ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:
    তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমরা (রমাযানের) শেষ দশকে ক্বদ্রের রাত অনুসন্ধান কর অথবা তিনি বলেছেন, শেষের সাত রাতে।
    সহিহ মুসলিম, হাদিস নং ২৬৫৭

    সাত,
    শেষ সাত রাতের গুরুত্ব

    উদাহরণ- ১
    ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ ـ رضى الله عنهما ـ أَنَّ رِجَالاً، مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أُرُوا لَيْلَةَ الْقَدْرِ فِي الْمَنَامِ فِي السَّبْعِ الأَوَاخِرِ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ أَرَى رُؤْيَاكُمْ قَدْ تَوَاطَأَتْ فِي السَّبْعِ الأَوَاخِرِ، فَمَنْ كَانَ مُتَحَرِّيَهَا فَلْيَتَحَرَّهَا فِي السَّبْعِ الأَوَاخِرِ ‏”‏‏.‏

    ইব্‌নু ‘উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:
    নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) – এর কতিপয় সাহাবীকে স্বপ্নের মাধ্যমে রমযানের শেষের সাত রাত্রে লাইলাতুল কদর দেখানো হয়। (এ শুনে) আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ আমাকেও তোমাদের স্বপ্নের অনুরূপ দেখানো হয়েছে। (তোমাদের দেখা ও আমার দেখা) শেষ সাত দিনের ক্ষেত্রে মিলে গেছে। অতএব যে ব্যক্তি এর সন্ধান প্রত্যাশী, সে যেন শেষ সাত রাতে সন্ধান করে।
    সহিহ বুখারী, হাদিস নং ২০১৫

    উদাহরণ- ২
    قَالَ سَمِعْتُ ابْنَ عُمَرَ، – رضى الله عنهما – يَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ الْتَمِسُوهَا فِي الْعَشْرِ الأَوَاخِرِ – يَعْنِي لَيْلَةَ الْقَدْرِ – فَإِنْ ضَعُفَ أَحَدُكُمْ أَوْ عَجَزَ فَلاَ يُغْلَبَنَّ عَلَى السَّبْعِ الْبَوَاقِي ‏”‏ ‏
    ’উক্ববাহ্ ইবনু হুরায়স (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ:
    তিনি বলেন, আমি ইবনু ‘উমার (রাঃ)-কে বলতে শুনেছি, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমরা (রমাযানের) শেষ দশ দিনে ক্বদ্‌রের রাত অনুসন্ধান কর। তোমাদের কেউ যদি দূর্বল অথবা অপরাগ হয়ে পড়ে, তবে সে যেন শেষের সাত রাতে অলসতা না করে।
    সহিহ মুসলিম, হাদিস নং ২৬৫৫

    আট,
    লাইলাতুল কদরের আলামত,

    এক,
    ليلةُ القدرِ ليلةٌ بَلْجَةٌ، لا حارَّةٌ ولا بارِدَةٌ
    নাতিশীতোষ্ণ
    রাতটা বেশি গরম নয়, আবার ঠান্ডা ও নয়।
    الجامع الصغير ٧٧٠٨

    দুই,
    সকালের সূর্যের আলো কিছু টা নিষ্প্রভ হবে।
    وَأَمَارَتُهَا أَنْ تَطْلُعَ الشَّمْسُ فِي صَبِيحَةِ يَوْمِهَا بَيْضَاءَ لاَ
    شُعَاعَ لَهَا ‏.

    ‘আবদুল্লাহ ইবনু মাস’উদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:
    ….ঐ রাতের আলামাত বা লক্ষন হ’ল-সে রাত শেষে সকালে সূর্য উদিত হবে তা উজ্জ্বল হবে কিন্তু সে সময় (উদয়ের সময়) তার কোন তীব্র আলোকরশ্মি থাকবে না

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ