• রাজনীতি

    লক্ষ্মীপুর জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতির বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ করেন হাতপাখার প্রার্থী

      প্রতিনিধি ৩ নভেম্বর ২০২১ , ১:১৬:১৬ প্রিন্ট সংস্করণ

    এইচ.এম.আল আমিন-লক্ষ্মীপুর জেলা প্রতিনিধি:

    লক্ষ্মীপুর জেলা আওয়ামী লীগ এর সভাপতি গোলাম ফারুক পিংকুর মিথ্যা বানোয়াট ও কাল্পনিক বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ কমলনগর উপজেলার ৮ নং চরকাদিরা ইউনিয়ন শাখার নেতা কর্মীরা।
    আজ এক বিবৃতিতে চরকাদিরা ইউনিয়ন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর সভাপতি ও সম্পাদক বলেন,গত (২ নভেম্বর মঙ্গলবার) ফজুমিয়ারহাট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত এক নির্বাচনী পথসভায় লক্ষ্মীপুর জেলা আঃলীগের সভাপতি পিংকু সাহেব মিথ্যা-কাল্পনিক-অসত্য ও নোংরা ভাষায় এদেশের লাখো মানুষের প্রিয় ব্যাক্তি,দেশের শীর্ষ আলেম ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা পীর সাহেব চরমোনাই মনোনীত হাতপাখা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী ও বর্তমান জনপ্রিয়-সফল চেয়ারম্যান আল্লামা খালেদ সাইফুল্লাহ পীর সাহেব কমলনগরকে নিয়ে নানা বাজে মন্তব্য প্রদান করেন।

    যাহা বাস্তবতার সাথে কোন মিল নেই।নেতৃবৃন্দ বলেন একটা রাজনৈতিক দলের জেলা সভাপতি হয়ে পিংকু সাহেব তার বক্তব্যে বলেন ইসলামী আন্দোলন আওয়ামীলীগের সহযোগিতা নিয়ে চলতে হয়। এটি একটি মিথ্যা বক্তব্য। বরং ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ও পীর সাহেব চরমোনাইর সহযোগিতা নেওয়ার জন্য আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় নেতারা ও তাদের প্রভাবশালী মন্ত্রীরা বার বার ধরনা দিয়েও ইসলামী আন্দোলনকে কাছে টানতে পারেনি। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ কখনোই আওয়ামীলীগ বিএনপির সাথে জোট করেনি।আসন বা সিট নেওয়াতো দূরের কথা।

    নেতৃবৃন্দ বলেন অতিতের বাস্তবতা উপর চরকাদিরা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন সুস্থ হওয়া নিয়ে বর্তমান চেয়ারম্যান হুজুর ভোট ডাকাত ও হাইজাকারের বিরুদ্ধে কথা বলছেন। এতে তাদের গায়ে লাগলো কেন? তারাতো ভাল মানুষ। হুজুরের ভোট ডাকাতি নিয়ে দেওয়া বক্তব্য নিজেরা নিজেদের গায়ে তুলে নিয়ে জনগন কে কি বুজাতে চাচ্ছেন?নেতৃবৃন্দ আরো বলেন,দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রশাসন আওয়ামীলীগের বাপ দাদার সম্পত্তি নয়। এটি সকল রাজনৈতিক দল ও ১৮ কোটি মানুষের সম্পদ। অতএব জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি তার এই ধরনের বক্তব্য প্রত্যাহার করতে হবে। নচেত ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ তার এই ধরনের মিথ্যা বানোয়াট বক্তব্যের জন্য তাকে কমলনগরে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করবে। এবং আন্দোলন ধাবানাল ছড়িয়ে পড়লে এর দায় দায়িত্ব পিংকু সাহেব কেই নিতে হবে।

    চরকাদিরা ইউনিয়নটি এখন নির্বাচনী এলাকা। তিনি নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ করে রাত সাড়ে নয়টা পর্যন্ত পথসভা করা ও অন্য প্রার্থী নিয়ে নানা কুরুচিপূর্ণ মিথ্যা বানোয়াট বক্তব্য প্রদান করে আইন লংঘন করেছেন। ইসলামী আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ বলেন এর আগেও তিনি স্থানীয় তোরাবগন্জ ইউনিয়ন এসে নির্বাচনী প্রচারণায় বিতর্কিত হন।এখন আবার চরকাদিরা ইউনিয়নে এসে নির্বাচনকে বিতর্কিত করার পাঁয়তারা করছেন। যাহ নির্বাচনী আচরণ পরিপন্থী।ইসলামী আন্দোলনের নেতারা নির্বাচন সুস্থ নিরপেক্ষ ও গ্রহনযোগ্য করতে লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসক পুলিশ সুপার ও ইউএনও কমলনগরের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ