• আইন ও আদালত

    লক্ষ্মীপুরে জাল স্বাক্ষর দিয়ে জমির দলিল তৈরির ঘটনায় মামলা’ তদন্তে সিআইডি

      প্রতিনিধি ৭ নভেম্বর ২০২২ , ৩:৪০:১৪ প্রিন্ট সংস্করণ

    লক্ষ্মীপুরে জাল স্বাক্ষর দিয়ে জমির দলিল তৈরির ঘটনায় মামলা’ তদন্তে সিআইডি

    এইচ.এম.আল-আমিন-লক্ষ্মীপুর জেলা প্রতিনিধি:

    লক্ষ্মীপুরে জাল স্বাক্ষর দিয়ে ৩০ শতাংশ জমির জাল দলিল তৈরির ঘটনায় নুর নবী ও নুরুল হুদা নামে দুই সহোদরের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। সোমবার (৭ নভেম্বর) দুপুরে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট সদর আদালতে মহিবুল মান্নান ইমরান নামে এক ব্যবসায়ী এ মামলা দায়ের করেন। মামলাটি আদালত জেলা অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

    বাদীর আইনজীবী রাসেল মাহমুদ মান্না বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আদালতের বিচারক আবু ইউসুফ সুফিয়ান মামলাটি আমলে নিয়েছেন। আদালতের দাবি এটি অনেক বড় জালিয়াতির ঘটনা। এজন্য ঘটনাটি তদন্ত প্রয়োজন। এতে সিআইডিকে ঘটনাটি তদন্ত করে আদালতে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অভিযুক্ত নুর নবী ও নুরুল হুদা সদর উপজেলার বশিকপুর ইউনিয়নের পূর্ব বশিকপুর গ্রামের জয়নাল আবেদিনের ছেলে। বাদী ইমরান একই এলাকার মজিবুল মান্নানের ছেলে ও পেশায় ব্যবসায়ী।

    মামলা সূত্র জানায়, ইমরানদের ১৮ শতাংশ দখলীয় জমি নিয়ে নুরনবীদের সঙ্গে ১০-১২ বছর ধরে বিরোধ চলে আসছে। বিভিন্ন সময় প্রভাব খাটিয়ে তারা মান্নাদের ওই জমি থেকে উচ্ছেদের পাঁয়তারা করেছে। এতে ব্যর্থ হয়ে ইমরানের বাবার স্বাক্ষর জালিয়াতি করে তারা দুটি জাল দলিল তৈরি করে। এ দুটি দলিলে ৩০ শতাংশ জমির মালিকানা উল্লেখ করে অভিযুক্তরা। জমা খারিজের ঘটনা জানতে পেরে সদর উপজেলার সাব রেজিষ্ট্রি অফিসে খোঁজ নিলে জাল দলিলের বিষয়ে সত্যতা পাওয়া যায়। এতে সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের দাবিতে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়।

    মামলার বাদী মহিবুল মান্নান ইমরান বলেন, নুর নবী ও নুরুল হুদা আমাদের ৩০ শতাংশ জমি জাল দলিলের মাধ্যমে নিজেদের নামে জমা খারিজ করে নিয়েছে। ওই জমা খারিজ বাতিলের জন্য উপজেলা ভূমি কার্যালয়ে আবেদন করেছি। এছাড়া আমার বাবার স্বাক্ষর জালিয়াতি করে জাল দলিল তৈরি করায় অভিযুক্তদের বিচারের দাবিতে আমি আদালতে মামলা দায়ের করেছি। অভিযুক্ত নুরনবী বলেন, কোন জাল দলিল করা হয়নি। আমরা কারো জমি দখল করেনি। ইমরান আমাদের হয়রানি করার উদ্দেশ্যে বিভিন্ন অভিযোগ তুলছে।

    সদর উপজেলা সাব রেজিষ্ট্রার আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। দলিলগুলো যাচাই করলে সত্যতা পাওয়া যাবে। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) অমি রায় বলেন, ৯ নভেম্বর জমা খারিজের বিরুদ্ধে অভিযোগের ঘটনায় শুনানি রয়েছে। ওইদিন উভয়ের উপস্থিতিতে কাগজপত্র যাচাই করে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ