মো আরিফুর রহমান অরি-মানিকগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
মানিকগঞ্জ জেলার হরিরামপুর থানার বাল্লা ইউনিয়নে অবস্থিত ভাদিয়াখোলা থেকে জগৎবেড় ২ কিলোমিটার রাস্তার কারণে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন এলাকার হাজার হাজার মানুষ।
এলজিইডি’র আওতাধীন এই সড়কটি দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না হওয়ায় সারা রাস্তা জুড়ে ছোট ছোট গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। দু-দফা বন্যার কারনে মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয় রাস্তাটি ও সামান্য বৃষ্টিতেই এখন রাস্তার গর্তে পানি জমে যান চলাচল ব্যাহত হচ্ছে এবং প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা।
এলাকাবাসি জানান.. প্রতিদিন প্রায় হাজার হাজার লোকের যাতায়াত এ রাস্তা দিয়ে। পূর্বে এ রাস্তাটি সম্পূর্ণ ইটের সলিং হয়েছিল । তখন এ রাস্তার অবস্থা বর্তমান অবস্থান থেকে অনেক ভাল ছিল। গ্রামের মানুষ ভালোভাবে যাতায়াত করতে পারত। রাস্তাটি বাল্লা ইউনিয়ন পরিষদের পাশ দিয়ে চলে গেছে। অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি রাস্তা হওয়ায় ।
2019 সালের প্রথমদিকে রাস্তাটি পাকা হওয়ার জন্য পাশ হয় । পরবর্তীতে রাস্তা কাজ করার জন্য ঠিকাদার দের হাতে দায়িত্ব দেয়া হয়। ঠিকাদাররা 2019 সালের সেপ্টেম্বর মাস থেকে সামান্য পরিসরে কাজ শুরু করে। পূর্বের রাস্তাটি কেটে খনন করে নদী থেকে ড্রেজার দিয়ে বালু এনে ভরাট করবে বলে জানান। তারা একদিন কাজ করে কিছুদনি কাজ করে না ।
স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন.. নামে মাত্র কিছু বালু ফেলেই লোক দেখানো কাজ করা হয়। । এমতাবস্থায় বন্যার পানি চলে আসে তাদের অজুহাত এর মাত্রা আরও বৃদ্ধি পায় ।এ অবস্থায় পূর্বের যে ভালো রাস্তা তারা কেটে খনন করছে সেই রাস্তাটি বন্যার পানি দ্বারা আরো অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বতমানে বন্যা চলে গেছে কিন্ত তারা কাজ শুরু করছে না।
সোমবার(১৪সেপ্টেম্বের)সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়- বাল্লা ইউনিয়নে অবস্থিত ভাদিয়াখোলা থেকে জগৎবেড় সড়কটি বন্যার পানির তিব্র স্রোতে বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছেও বিভিন্ন জায়গায় ভেঙ্গেগেছে। পুরো রাস্তাই খানাখন্দে ভরা। সংস্কারের অভাবে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে এমন অবস্থায় চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে গ্রামের সাধারণ মানুষদের।
একই গ্রামের শাওন হোসেন বলেন, আমাদের গ্রামে বিভিন্ন সবজিসহ বিভিন্ন ফষল উৎপাদন হয়ে থাকে।এখানকার অধিকাংশ মানুষ কৃষি নির্ভর। কৃষি পণ্য বাজারজাত করে তা থেকে আয়কৃত অর্থ দ্বারা তারা জীবিকা নির্বাহ করে।
রাস্তার এ অবস্থার কারণে তারা তাদের কিছু পণ্য বাজারজাত করতে পারছে না। ফলে তাদের জীবিকা নির্বাহ করা অনেকটা কষ্টের হয়ে দাঁড়িয়েছে। রাস্তার এই করুণ পরিস্থিতির কারণে গুরুতর অসুস্থ কোন ব্যক্তি কে দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া সম্ভব হয় না । ফলে কোন কোন পরিবারে নেমে আসে শোকের ছায়া।
টেক্সটাইলের শ্রমিক আনোয়ারা বলেন, কারখানায় যতক্ষন থাকি ততক্ষন ভালোই থাকি। সমস্যা হয় যখন বাড়ি থেকে কারখানায় যাওয়া আসা করি, রাস্তার দুরাবস্থার জন্য সাইকেল নিয়ে চলা যায় না,রাস্তার দিয়ে হেঁটে আসতে হয় এতে অনেক সময় কাপর চোপর নষ্ট হয়ে যায়।
ব্যবসায়ী আকতার হোসেন বলেন,আমরা তো ভোট দিয়ে আমাদের দায়িত্ব পালন করি, তবে জনপ্রতিনিধিরা যদি আমাদের দুর্ভোগ না দেখেন তাহলে আর কি করার আছে।আমাদের কোন দাবী নাই শুধু রাস্তাটি চলাচলের উপযোগী করার ব্যবস্থা নিন।
বাল্লা ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের কাজী রেজা কে ফোনে কল করেওে সংযোগ পাওয়া যায়নি । তিনি কল রিসবি করে নাই।উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ নজরুল ইসলাম ভূঁইয়া, আমি রাস্তাটির ব্যাপারে এখনই খোঁজ নিচ্ছি। সরেজমিন পর্যবেক্ষণ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
E-mil: dailyalokito71sangbad@gmail.com
@বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোক চিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বে-আইনি।
Copyright © 2024 alokito71sangbad. All rights reserved.