• আইন ও আদালত

    রামগতিতে সরকারি স্কুলের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ

      প্রতিনিধি ১৪ জানুয়ারি ২০২২ , ৯:৪৩:১১ প্রিন্ট সংস্করণ

    বিশেষ প্রতিনিধি:

    লক্ষ্মীপুর জেলার রামগতি উপজেলার আলেকজান্ডার সরকারি মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের (ইআইএন-১০৭১৩১)প্রধান শিক্ষকের অবৈধ নিয়োগ ও সরকারি মালামাল লুটে অভিযোগ উঠেছে। গত৪ই জানুয়ারি ঐ স্কুলের সহকারি প্রধান শিক্ষক বদরুল হোসেন প্রধান শিক্ষকের অবৈধ নিয়োগ, বেতন বন্ধ সহ স্কুলের নানা বিষয় নিয়ে স্কুলের সভাপতিও রামগতি উপজেলা নির্বাহী অফিসার এস এম শান্তুনু চৌধুরীকে লিখিত অভিযোগ করেন।

    এর আগে২১ডিসেম্বর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর প্রধান শিক্ষকের নিয়োগ জালিয়াতির এবং টাকা আত্মসাৎ ও সরকারি মালামাল লুটপাট বিষয় নিয়ে লিখিত অভিযোগ করেন । অভিযোগে উল্লেখ্য করেন জনাব আজিজুল ইসলাম দায়িত্ব পালন অবস্থা ,২৪ জুন২০১৫তার (৬০)বছর পূর্ণ হওয়া তার পদটি শূন্য হয়।এর পরের মাসে কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ড থেকে১৪জুলাই২০১৫ তারিখে এমর্মে বিদ্যালয়ে একটা চিঠিও প্রেরণ করেন যেখানে লিখা থাকে একজন অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকে প্রধান শিক্ষক পদে বর্ধিত করা যাবে না।

    যার স্মারক নংঃস্বীকৃতি/ ১১/লক্ষী (৫৭৫)১। প্রভাব খাটিয়ে অবসরের দুই বছর পরে সরকারি বিধি লংঘন করে অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক জনাব আজিজুল ইসলামকে নিয়োগ কমিটির সদস্য সচিব করে অবৈধভাবে প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ নেন জনাব আবুল কালাম আজাদ।এ পদে নিয়োগ থেকে শুরু করে এমপিও ভুক্ত পর্যন্ত সার্বিকভাবে সহযোগিতা করেন তখনকার দায়িত্ব থাকা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আবুল কালাম আজাদের নামে ও অভিযোগ করেন ।

    তথ্যসূত্র দেখা যায় নিয়োগ কমিটিতে যেখানে অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের সিলসহ স্বাক্ষর রয়েছে সেখানে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার সিলসহ স্বাক্ষর রয়েছে।তাহলে প্রশ্ন একজন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার হয়ে কিভাবে অবসরপ্রাপ্ত (মেয়াদবিহীন) একজন প্রধান শিক্ষককে সদস্য সচিব করে নিয়োগের সকল নথিপত্রে পাশাপাশি সিল ও স্বাক্ষর দিয়ে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেন ।

    আবেদনে আরো অভিযোগে করে ২৩।সেপ্টেম্বর ২০১৮ইং তারিখে বিদ্যালয়টি সরকারি নথিভুক্ত হয়। পরের মাস অক্টোবর ২০১৮ নতুন নিয়োগ হওয়া প্রধান শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ ৯০০ বর্গফুটের ১০ ইঞ্চি দ্বিতল ফাউন্ডেশনের টিনশেডের একটি অফিস কক্ষ বিক্রি করা হয় যার বিন্দুমাত্র বিকৃত অর্থ সরকারি কোষাগার বা বিদ্যালয়ের কোন কোষাগারে জমা দেয়া হয়নি ।
    মহামারী করোনাকালীন বন্ধ থাকা বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষার্থীদের থেকে অ্যাসাইনমেন্ট নামে বাণিজ্য করতে দ্বিধা করেননি একটু, যেখানে অ্যাসাইনমেন্ট নামে ৪,৩৮০০০টাকা এবং অ্যাসাইনমেন্ট মূল্যায়ন না করে করে কেজিতে২২হাজার টাকা বিক্রির অভিযোগ করেন।

    এছাড়া বিদ্যালয়ের গাছ,কাঠ,টেবিল নানা সামগ্রী বিক্রি সহ ফরম পূরণ সহ নানা অর্থ কেলেঙ্কারির,স্কুলের ইট দিয়ে নিজ বাড়ি নির্মাণ অভিযোগ করেন ।এবিষয়ে স্কুলের সহকারি প্রধান শিক্ষক বদরুল ইসলাম জানান আমার স্কুলের প্রধান শিক্ষকের কয়েকটি অনিয়ম আমার চোখে ধরা পড়ে যা আমার স্কুল কমিটির সভাপতি এবং শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকে লিখিত অভিযোগ করেছি বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবেন তারা, তবে অভিযোগে পর পরে আমাকে হুমকি দিয়ে আসছেন প্রধান শিক্ষক ।

    বিষয়টি জানতে প্রধান শিক্ষককে ফোন দিলে তিনি মুঠো ফোনে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দেয়া হয়েছে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আমার বিরুদ্ধে ইউএনও মহোদয়ের কাছে অভিযোগ দেয়া হয়েছে তবে আমার কাছে সকল ডকুমেন্ট আছে তদন্ত করলে আমি তা পেশ করবো । তিনি আরো বলেন, আমি কোন নিয়োগ বানিজ্য করিনি ।রামগতি উপজেলা নির্বাহী অফিসার এস এম শান্তুনু চৌধুরী জানান , প্রধান শিক্ষকের বিষয়টি নিয়ে আমার কাছে একটি অভিযোগ এসেছে। এবিষয়ে প্রধান শিক্ষক এক সাপ্তাহ সময় নেন । তদন্ত কমিটি গঠন করে তার সকল ডকুমেন্ট যাচাই সাপেক্ষে সত্যতা পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ