রাজশাহীতে প্রতিষ্ঠিত হতে চান পা হারানো জাহিদ রাজশাহী ফুডপান্ডা জোনের একজন ডেলিভারি ম্যান। তাঁর দুটি পা নেই অথচ স্বাভাবিক মানুষের মতোই লড়াই করে বাঁচতে চান। দুই পা না থেকেও কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতে চান, জীবনের তাগিদে লড়ে যাচ্ছেন তিনি।
নগরীর কাজলা কেডি ক্লাব এলাকার বাসিন্দা পলাশ। জন্ম থেকেই শরীরিকভাবে স্বাভাবিক ছিলেন পলাশ। বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ২০১০ সালে দুর্ঘটনায় দুটি পা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ঢাকার বার্ন হসপিটালে চিকিৎসাধীন ছিলেন ছয় মাস।
পলাশের বাবা নাজের আলী জানান, তাদের পারিবারিক অবস্থা সচ্ছল না। দিনমজুর করে সংসার চলে । চিকিৎসাধীন অবস্থা এলাকার বিভিন্ন গুনি-মানি ব্যক্তিরা সাহায্য করেছিলেন।
পলাশ জানান, ম্যাটরো পলেটকনিক্যাল এন্ড বিজনেস ম্যানেজমেন্ট থেকে এসএসসি ৪.৪১ এবং এইচএসসি ৩.৯৬ পেয়েছেন। এখন অ্যাডমিশন পরীক্ষা দিবেন। ফুডপান্ডা জোনের কাজ শুরু এক সপ্তাহ থেকে । তিন চাকার ব্যাটারিচালিত হুইলচেয়ার করে তিনি ডেলিভারি করেন। সম্মান নিয়ে বেঁচে থাকতে চান। কোথাও থেকে কোনো সাহায্য পাননি। শুধু তিন মাস পরপর সরকারি প্রতিবন্ধী ভাতা পান।
তিনি আরও জানান, ক্রিকেট খেলেন (ড্রাস ক্যাটাগরি) থেকে। ২০২০ সালে সারা বাংলাদেশ মিলে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন তারা। পলাশ নিজের উদ্যোগে এগিয়ে যেতে চান। এখানে কোনো বেতনভুক্ত নন। কিন্তু পরবর্তীতে বেতনভুক্ত হবেন, এই প্রত্যাশা করেন। তিনি নিজেই ‘আশার আলো প্রতিবন্ধী উন্নয়ন’ নামে একটি সংস্থা গঠনের উদ্যোগ নিয়েছেন। সহযোগিতা করছেন রাজশাহী বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী ও অটিস্টিক স্কুলের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা কল্পনারানি ভৌমিক। সবধরনের প্রতিবন্ধীদের নিয়ে কাজ করবেন ভবিষ্যতে।
কল্পনা রানী ভৌমিক জানান, পলাশ একজন মেধাবী শিক্ষার্থী। ছেলেটা বুদ্ধিমান। নিজের জন্য না, এলাকার প্রতিবন্ধীদের নিয়ে কাজ করতে চান। প্রতিবন্ধীদের যে সকল অভিভাবক সচেতন না, তাদের নিয়েও পলাশ কাজ করতে চান। করোনাকালেও প্রতিবন্ধীদের নিয়ে কাজ করেছেন।
E-mil: dailyalokito71sangbad@gmail.com
@বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোক চিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বে-আইনি।
Copyright © 2024 alokito71sangbad. All rights reserved.