শরিফা বেগম শিউলী-রংপুর প্রতিনিধিঃ
রংপুরে প্রেম ঘটিত কারণে আমিরুল হোসেন সজীব (১৭) নামের কলেজ ছাত্রের আত্নহত্যার ঘটনা ঘটেছে। জানা গেছে মৃত আমিরুল ইসলাম সজীব মিঠাপুকুর থানার রুপসী লালপুকুর এলাকার হামিদুল ইসলামের পুত্র। সে রংপুর মডেল কলেজের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র।
এ ঘটনায় গত শনিবার রাত ২ টার দিকে রংপুর নগরীর কলেজপাড়া এলাকার মাদার ম্যানসন ছাত্রাবাস থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরী পূর্বক ময়না তদন্তের জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠিয়েছেন রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের তাজহাট থানা পুলিশ।
আমিরুলের সহপাঠী জোবাইর সুত্রে জানা গেছে গতকাল রাত আনুমানিক ১২ টার দিকে হঠাৎ করে আমার মোবাইল ফোনে আমার নিজের ব্যবহৃত ফেসবুক আইডিতে আমাদের বান্ধুবী আখিরার হাট ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষের মেয়ে, কারমাইকেল কলেজিয়েট স্কুল এন্ড কলেজের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের ছাত্রী,।
মিঠাপুকুর থানার রুপসী লালপুকুর এলাকার মাইসা মেহজাব প্রোগা এর ফোন থেকে একটি এসএমএস আসে, তাতে লেখা ছিল আমি যেন দ্রুত আমিরুলের রুমে প্রবেশ করি, কারণ আমিরুল গলায় ফাঁসি দিয়েছে। আমরা জানতাম প্রোগা ও আমিরুলের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল।
কিন্তু আমি বাসা থাকার কারণে মেসে অবস্থানরত বন্ধু মারজানকে তাৎক্ষনিক বিষয়টা জানাই। পরে মারজান তাৎক্ষনিক ভাবে ছাত্রাবাসের ১০১ নম্বর রুমে গিয়ে আমিরুলকে ডাকাডাকি করে কোন সারা না পেয়ে কতিপয় বড়ভাই ও সহপাঠিদের সহায়তায় আমিরুলের রুমের দরজার ছিদ্র দিয়ে তাকে ফ্যানের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয় পরে পুলিশ এসে আমিরুলের মরাদেহ উদ্ধার করে।
বন্ধু মারজান জানান- জোবাইর আমাকে জানানো মাত্রই আমি তার রুমের দরজায় গিয়ে জোরে ডাকাডাকি করি, কোন শব্দ না পেয়ে তাৎক্ষনিক ছাত্রাবাসের কতিপয় বড়ভাই ও সহপাঠিদের ডেকে বিষয়টি জানাই পরে সবাই মিলে আমিরুলের রুমের দরজার ছিদ্র দিয়ে তাকে ফ্যানের সাথে ঝুলান্ত দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয় পরে পুলিশ এসে আমিরুলের মরাদেহ উদ্ধার করে।
ঘটনার তদন্ত কর্মকর্তা তাজহাট থানার এসআই আইয়ুব জানান- লাশ ময়না তদন্ত করে পরিবারের হাতে দেওয়া হয়েছে , তবে নিহতের পরিবার থানায় কোন অভিযোগ করে নি, পরিবারের পক্ষ লিখিত অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে তাজহাট থানার অফিসার ইনচার্জ আখতারুজ্জামান প্রধান জানান- আমরা ঘটনার খবর পাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থলে পৌছে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজে পাঠানোর পর কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করে। শেষ খরব পাওয়া পর্যন্ত তাজহাট থানার অফিসার ইনচার্জ আখতারুজ্জামান প্রধান বলেন,।
লাশ ময়না তদন্তের জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছিল এবং ময়না তদন্ত শেষে লাশ পরিবারের হাতে হস্তান্তর করা হয়েছে। তবে নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কোন অভিযোগ পাওয়া যায় নি, আমরা লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
E-mil: dailyalokito71sangbad@gmail.com
@বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোক চিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বে-আইনি।
Copyright © 2024 alokito71sangbad. All rights reserved.