প্রতিনিধি ২ ডিসেম্বর ২০২০ , ২:৪২:৩৩ প্রিন্ট সংস্করণ
গোলাম কিবরিয়া পলাশ-ময়মনসিংহ:
গত ২৮ নভেম্বর পারিবারিক দ্বন্দে¦ কারণে গোহাইলকান্দি জামতলায় স্বামী ফুয়াদ শ্বাসরোদ্ধ করে ময়মুন মুনাকে হত্যা করে। হত্যার পরপরই ফুয়াদ তার ৪ বছরের মেয়ে ফাইজাকে শ্বাশুরীর কাছে রেখে পালিয়ে যায়। পরে মৃত মুনার মা’র সন্দেহ হলে ফুয়াদের বাড়িতে গিয়ে দেখেন বিছানায় পরে আছে তার মেয়ে মুনা।
তার আত্মচিৎকারে ফুয়াদের বাড়ির লোকজন কেউ আসেনি। প্রতিবেশির সহযোগীতায় হাসপাতালে মুনাকে নিয়ে গেলে ডাক্তার মৃত ঘোষণা করেন। পরের দিন ২৯ নভেম্বর ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে লাশের ময়না তদন্ত শেষে ময়মনসিংহ নগরীর গুলকিবাড়ি গোবরস্তানে রাত ৯টায় দাফন সম্পন্ন করে। ঐদিনই ময়মনসিংহ কোতোয়ালী মডেল থানায় নিহত মুনার মামা ফারুক হোসেন বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলার তদন্তভার পরে কোতোয়ালী মডেল থানার এসআই মাহাবুর রহমানের কাছে। তিনি এলাকায় দিনরাত কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছেন কিন্তু ফলাফল শূন্য, ফুয়াদকে ধরা যাচ্ছে না। কারণ আসামী ফুয়াদ মোবাইল ফোন ব্যবহার করে না। তাই তাকে গ্রেফতার করতে অনেকটা বেগ পেতে হয়েছে। কিন্তু হাল ছাড়েননি বাংলাদেশ পুলিশের গৌরবোজ্জল এই কর্মকর্তা
বিশ্বস্ত সোর্স এলাকার যুবকদের সহযোগীতায় অভিযান রাখেন অব্যহত। অবশেষে আজ বিকেলে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কলেজ রোড একাডেমি পুরো এলাকা ঘিরে ফেলেন এস আই মাহাবুব ফুয়াদকে ধরতে। ফলাফলও চলে আসে তার হাতে। এ অভিযানে আরও ছিলেন ২নং ফাড়ির এসআই লুৎফুর রহমান।
এ ব্যাপারে এসআই মাহাবুব অর রশিদের সঙ্গে যোগযোগ করা হলে তিনি জানান আমার অভিভাবক ময়মনসিংহ পুলিশ সুপার মোহাঃ আহমার উজ্জামান ও কোতুয়ালী মডেল থানার ওসি মোঃ ফিরোজ তালুকদারের নির্দেশে একশত দুই ডিগ্রি জ্বর নিয়ে জাপিয়ে পরি খুনিকে ধরতে। এই সফলতা আমার নয়, এই সফলতা জেলা পুলিশের। অপরাধী যতবড়ই শক্তিশালী হোক না কেন তাকে ধরা পরতেই হবে বলছেন এস আই মাহবুব।
কিছু দিন আগেই হারাতে হয় স্বামী জলিলকে। মুনাকে পেয়ে স্বামী হারানো বেদনা ভুলেই গিয়েছিল মুনার মা কুলসুমের। আবারো ২৫ বছর পর হারাতে হলো কলিজার টুকরো সন্তান মুনাকে। এখন মুনার মা কুলসুম তার মের রেখে যাওয়া আদরের ছোট্ট নাতনী ফাইজাকে নিয়ে বার বার হাউ মাউ করে কাদে। মুনার মা কুলসুম খুনি ফোয়াদের সর্বচ্চ শাস্তি দাবী করেন।