• Uncategorized

    ময়মনসিংহের সদরে এই প্রথম বায়োফ্লক পদ্ধতিতে মাছ চাষ 

      প্রতিনিধি ১ অক্টোবর ২০২০ , ৮:৫৫:৫৪ প্রিন্ট সংস্করণ

     

    গোলাম কিবরিয়া পলাশ-ময়মনসিংহ:

    বায়োফ্লক নামটি এখনো অনেকের কাছেই নতুন, এটি আসলে মাছ চাষের লাভ জনক বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি। বায়োফ্লক লাভ জনক হওয়ার জন্যই দিন দিন এটি প্রসারিত হচ্ছে, উদ্ধুদ্ধ হচ্ছে তরুনরাও। ‘বায়োফ্লক’ প্রযুক্তির জনক ইজরায়েলি বিজ্ঞানী ইয়ান এভনিমেলেচ। ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপাইন, থাইল্যান্ড, ভারত সহ অনেক দেশেই বায়োফ্লক এখন জনপ্রিয় মাছ চাষ পদ্ধতি। বায়োফ্লক পদ্ধতিতে মাছ চাষে পুকুরে চেয়ে ২০গুন বেশি মাছ উৎপাদন করা সম্ভব।

    এরই ধারাবাহিকতায় সর্বপ্রথম ময়মনসিংহের সদরে উপজেলার ৫নং সিরতা ইউনিয়নের মরহুম মমরুজ আলী মন্কুর ছেলে মোঃ রেজাউল করিম (২২) কোন প্রকার প্রশিক্ষণ না নিয়ে “বায়োফ্লক প্রযুক্তি”র একটি উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। স্থানীয় লোকদের কাছে জানতে চাইলে স্থানীয় লোকজন জানান, বায়োফ্লক পদ্ধতিতে মাছ চাষে যেমন লাভজনক তেমনি বেকার যুবকদেরকে আত্মকর্মসংস্থানের সুযোগ করে দেওয়া। চাকরির পিছে ছোটে হাজার হাজার টাকা নষ্ট না করে বায়োফ্লক পদ্ধতিতে মাছ চাষ করলেও অনেক লাভবান হওয়া যায়।

    বায়োফ্লক পদ্ধতিতে মাছ চাষ বিষয়ে জানতে চাইলে মোঃ রেজাউল করিম বলেন, এ পদ্ধতিতে মাছ চাষ করলে সাধারণত খরচ কম হয়ে থাকে। বায়োফ্লক মাছ চাষের সুবিধা সমূহঃ ১. পুকুরের সমপরিমান জায়গায় বায়োফ্লকে ২০ গুন বেশি মাছ চাষ করা যায়। কম জায়গা ব্যবহার করে অধিক পরিমাণে মাছ উৎপাদন সম্ভব এই পদ্ধতিতে। ২. বায়োফ্লকে পুকুরের চেয়ে মাছের খাদ্য খরচ ৩০% কম লাগে। ৩. বায়োফ্লকে মাছের রোগবালাই খুবই কম হয়।

    রেজাউল করিম আরো বলেন এ পদ্ধতিতে মাছ চাষ করলে আগে জানতে হবে বায়োফ্লক কি ? বায়োফ্লক প্রযুক্তিতে কী ভাবে কাজ করতে হয় ? বায়োফ্লক পদ্ধতিতে মাছ চাষের জন্য কী কী উপকরণ লাগে ? আমি নিজেই অর্থের জন্য সর্বপ্রথম একটি বায়োফ্লক তৈরি করেছি। উনি বলেন শুধু বায়োফ্লক নয় আমি এর সাথে সাথে দেশী মোরগীর ফার্ম ও দেশী কবতরের ফার্ম করেছি। মোরগীর ফার্মে ৩৬০টি মোরগী রয়েছে যা কোন প্রকার ক্ষয়ক্ষতিতে পরেনি।

    কবতরের ফার্মে ১০ জোড়া মোটঃ- ২০টি কবতর রয়েছে। আমি তিনটি প্রকল্প হাতে নিয়ে নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছি। আমি লাভবান হয়েছি এখন চেষ্টা করছি আমার এলাকার বেকার যুবক ভাইদের এই প্রকল্প গুলিতে উদ্বুদ্ধ করতে আগ্রহ প্রকাশ করছি।

    এরই অংশ হিসাবে রেজাউল করিম বলেন আমি ক্লাস ৫ম শ্রেনি ও কওমী মাদরাসায় হিফজ বিভাগে হাফেজ হয়েছি। কিছুদিন ঢাকায় একটি মসজিদে ইমামের দাযিত্ব পালন করছিলাম। করোনার প্রাদুর্ভাবে বেকারত্ব জীবন যাপন করছিলাম। তাই প্রযুক্তি বিষয়ে ইন্টারনেট ব্যবহার করে এই প্রকল্প গুলি হাতে নিয়ে নিজস্ব অর্থায়নে কাজ করে যাচ্ছি। কিন্তু অর্থের জন্য শেষ করতে পারছিনা। যদি সরকারিভাবে কোন একটি লোন নিতে পারতাম তাহলে ইনশাআল্লাহ অনেক দৌড় এগিয়ে যেতাম।

    রেজাউল করিম শিক্ষিত বেকার যুবকদের উদ্দেশ্যে বলেন, এ পদ্ধতিতে মাছ চাষ করে নিজের পরিবার সহ আত্নীয় সজন ও প্রতিবেশীদের ফরমালিন / ক্যামিকেল ও এন্টিবায়টিক বিহীন মাছ খান ও খাওয়ান এবং সেই সাথে ব্যাসায়ীক ভাবে চাষ করে বিক্রয় করে অর্থনৈতিক ভাবে লাভবান হোন। বায়োফ্লক পদ্ধতিতে মাছ চাষের সকল বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য ও সহযোগীতার জন্য যোগাযোগ করতে পারেন। মোঃ রেজাউল করীম ০১৩০৮-৪৯৩৫০৪

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ