• খুলনা বিভাগ

    মৌমাছিতে গেরা মসজিদ ৩ বছরেও কামড় দেয়নি কাউকে

      প্রতিনিধি ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২ , ৮:৪৬:২৭ প্রিন্ট সংস্করণ

    আহমাদুল্লাহ হাবিবী-স্টাফ রিপোর্টার:

    কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলার আমবাড়িয়া ইউনিয়নের পূর্ব আমবাড়িয়া জামে মসজিদটিতে বসেছে মৌমাছির মেলা। ২০১৩ সালে কাতার চ্যারিটি ফাউন্ডেশনের অর্থায়নে নির্মিত মসজিদটিতে ৩ বছর যাবত শীত মৌসুমে বসে অসংখ্য মৌচাক। ৩ বছরে কখনোই কোন মুসল্লীকে কামড় দেয়নি মসজিদের মৌমাছি। মৌচাক থেকে আহরিত মধু বিক্রির টাকা ব্যয় করা হয় মসজিদের উন্নয়ন কাজে বলে জানা যায়।

    বৃহস্পতিবার সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, মসজিদের সম্মুখ ভাগের প্রবেশ পথের উপরের দিকে একই লাইনে অসংখ্য মৌচাক। এরই মাঝে মুসল্লীসহ সাধারণ মানুষ নির্বিঘ্নে চলাচল করছে। এসময় এলাকাবাসী সাদ্দাম হোসেন ও মাজেদের সাথে আলাপকালে জানা যায়, প্রায় তিন বছর যাবত নিয়মিত মৌচাক বসে মসজিদটিতে। প্রথম বছর কম ছিলো কিন্তু পরের দু বছর অনেকগুলো মৌচাক মসজিদে ও গাছে বসেছে।

    তারা জানান নিয়মিত নামাজ আদায়ের জন্য মসজিদে আসেন তারা, কিন্তু কখনোই মৌমাছি মসজিদ প্রাঙ্গন থেকে কাউকে কামড়ে দেয়নি। পাশাপাশি ছোট ছোট বাচ্চারা সকালে আরবি শিখতে মক্তবে আসে তাদেরকে ও কোন ক্ষতি করেনা মৌমাছি। মসজিদের চতুর্দিকে এমন মৌচাক দেখতে অনেক মানুষ আসেন বলে জানান তারা। এখন এলাকাতে মসজিদটি “মৌমাছি মসজিদ” বলে পরিচিতি লাভ করেছে বলে উল্লেখ করেন তারা।

    এ বিষয়ে মসজিদের মোয়াজ্জিন মো. মোসলেম মন্ডল বলেন, ৩ বছরের বেশি সময় ধরে শীতের মৌসুমে মসজিদের বারান্দায় মৌমাছির চাক বসে। প্রথম দিকে মসজিদে নামাজ পড়তে আসা লোকজন ও মসজিদের সামনের পথ দিয়ে চলাচল করা লোকজন খুবই আতঙ্কে থাকতো। এখন আর কেউ আতঙ্কিত হয়না। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়া ও মসজিদের সামনের পথ দিয়ে চলাচল করতে করতে আমাদের কাছে এখন বিষয়টি স্বাভাবিক হয়ে গেছে।

    তাছাড়া আজ পর্যন্ত কোন ব্যক্তিই মৌমাছির দ্বারা কোন ক্ষতির সম্মুখীন হয়নি, বরং মসজিদের বারান্দায় মৌমাছির চাক বসায় আমরা অনেক উপকৃত হয়েছি। যখন মৌমাছির চাক ভাঙ্গা হয় তখন মধু বিক্রির টাকা মসজিদের উন্নয়ন কাজে ব্যায় করা হয়। এছাড়াও সকালে মসজিদের বারান্দায় ছোট ছোট বাচ্চাদের কোরআন শিক্ষা দেয়া হয়। এদের মধ্যেও কেউই এখনো মৌমাছির দ্বারা ক্ষতির সম্মুখীন হয়নি।তিনি আরো বলেন, মসজিদের বারান্দায় মৌমাছির চাক বসায় আমরা এলাকাবাসী অনেক খুশি।

    মসজিদ কমিটির সভাপতি: মোঃ আবু বকর মন্ডল জানান, মৌমাছিগুলো শীতের শুরুতে বাসা বাঁধে। জৈষ্ঠ মাসের শেষের দিকে চলে যায়। বছরের বাকি সময় মৌচাক থাকেনা। মৌসুমের শুরুতে এসে আবারও মৌচাক তৈরি করে মৌমাছিরা। তিনি বলেন, মৌমাছি কাউকেই কামড় দেয় না। মৌচাকের চারপাশে দেয়াল থেকে ময়লা পরিষ্কার করতেও সমস্যা হয় না। সাধারণত মৌমাছিদের আঘাত করলে ওরা আক্রমণ করে। কিন্তু আমাদের মসজিদে আঘাত করা তো দুরের কথা সবাই মৌচাক গুলোকে দেখভাল করে রাখে।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ