মমিনুল ইসলাম মুন-বরেন্দ্র অঞ্চল প্রতিনিধিঃ
রাজশাহীর তানোরে কেমিস্টর কোম্পানীর আলুবীজ রোপণ করে কৃষকেরা প্রতারিত হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকেরা বীজ ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী (ইউএনও) এবং:কৃষি কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন। অভিযুক্ত মেসার্স আসমা টেড্রার্সের কাছে উচ্চ মুল্য কেমিস্টর কোম্পানির কেনা এসব নিম্নমাণের আলুবীজ রোপণ করে কৃষকদের পথে বসেছে। বীজ ব্যবসায়ী মোতালেব সোনার খাবার আলু রিপ্যাক করে বীজ আলু বলে বিক্রি করায় এসব আলুবীজ রোপণ করে তারা প্রতারিত হয়েছে। কেউ কেউ আবার ব্যবসায়ীকে আটকসহ ক্ষতিপুরুণ দাবি করেছে। রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলার ধুরইল বাজারের মেসার্স আসমা টেড্রার্স থেকে কেমিস্টর কোম্পানীর এ এবং বি গ্রেড আলুবীজ কিনে রোপণ করে কৃষকেরা প্রতারিত হয়েছেন। ধুরইল তালুকদারপাড়া গ্রামের আব্বাস আলীর পুত্র রবিউল ইসলাম বলেন, তিনি তানোরের মাদারীপুর মাঠে ১২০ বিঘা জমিতে আলুচাষ করছেন। এর ১৩ বিঘা জমিতে কেমিস্টর কোম্পানীর আলুবীজ রোপণ করে প্রতারিত হয়েছেন। তিনি ধুরইল বাজারের মেসার্স আসমা টেড্রার্স থেকে এসব আলুবীজ কিনেছেন। রবিউল জানান, এখন পর্যন্ত্য প্রতি বিঘায় তার প্রায় ৪৫ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। সেই হিসেবে ১৩ বিঘা জমিতে তার প্রায় ৫ লাখ ৮৫ হাজার টাকার ক্ষতি হয়েছে। এদিকে তানোরের তালন্দ ইউপির মোহর, সরনজাই ইউপির শুকদেবপুর, তানোর পৌরসভার কালীগঞ্জহাট এলাকার কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এসব এলাকার অনেক কৃষক মেসার্স আসমা টেড্রার্স থেকে কেমিস্টর কোম্পানির আলুবীজ কিনে রোপণ করে প্রতারিত হয়েছেন। কিন্ত্ত ঘটনার পর থেকে বীজ ব্যবসায়ী মোতালেব সোনার গা-ঢাকা দিয়েছে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকেরা দিশেহারা হয়ে পড়েছে। অধিকাংশ আলু চাষি ব্যাংক ও এনজিও ঋণ এমনকি উচ্চ সুদে দাদন নিয়ে আলু চাষ করে ব্যবসায়ীর প্রতারণায় নিঃস্ব হয়ে পথে বসেছে। কৃষকেরা জানান, কেমিস্টর কোম্পানির বীজ রোপণ করা অধিকাংশ জমিতে তেমন আলু গাছ গজায়নি এবং গজানো আলু গাছ ফেঁপে ও পাতা কুঁকড়ে মরে যাচ্ছে, প্রতিরোধে বালাইনাশক ব্যবহার করেও প্রতিকার হচ্ছে না।
স্থানীয়রা অভিযুক্ত ব্যবসায়ী মোতালেব সোনারের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ ও ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপুরুণের জন্য সংশ্লিস্ট বিভাগের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।এবিষয়ে জানতে চাইলে তানোর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পঙ্কজ চন্দ্র দেবনাথ বলেন, অভিযোগ পাওয়া গেছে, তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এবিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শামিমুল ইসলাম বলেন, অভিযোগ পাওয়া গেছে। তিনি বলেন, বিষয়টি গুরুত্বসহকারে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এবিষয়ে চাইলে ধুরইল বাজারের মেসার্স আসমা টেড্রার্সের স্বত্ত্বাধিকারী মোত্তালেব সোনার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, কেমিস্টর কোম্পানির বীজ তিনি অন্য ডিলারের কাছে থেকে কিনে এনে বিক্রি করেছেন এসব
বীজ নিয়ে অভিযোগের কোনো সুযোগ নাই। তিনি বলেন, অল্প কিছু কৃষকের সমস্যা হয়েছে, তবে কৃষকের অজ্ঞতা বা অন্য কারণেও সমস্যা হতে পারে।
E-mil: dailyalokito71sangbad@gmail.com
@বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোক চিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বে-আইনি।
Copyright © 2024 alokito71sangbad. All rights reserved.