• আইন ও আদালত

    মির্জাগঞ্জ ভুমি অফিসের কর্মচারীর মনিরুলের দুর্নীতির বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ

      প্রতিনিধি ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২২ , ১০:০৮:৫৪ প্রিন্ট সংস্করণ

    পটুয়াখালী মির্জাগঞ্জ উপজেলার ভুমি অফিসের তৃতীয় শ্রেনীর কর্মচারি সহকারী কম্পিউটার অপারেটর মোঃ মনিরুল ইসলামের দুর্নীতি ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসক সহ দুদকে অভিযোগ করেন মোঃ শফিকুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি।

    গত ২৯শে আগষ্ট পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক এর কার্যালয় একটি লিখিত অভিযোগ করেন। যার স্মারক নম্বর ৭৮১২০২২০৮২৯-০৬। এবং একই অভিযোগের অনুলীপি ডাক যোগে বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার ও পটুয়াখালী সহকারী কমিশনার দুদক বরাবর প্রেরন করা হয়।

    মোঃ শফিকুল ইসলামের এই অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, মির্জাগঞ্জ ভুমি অফিসে কর্মরত মোঃ মনিরুল ইসলাম গত ৯ থেকে ১০ বৎসর পূর্বে ৩য় শ্রেনীর কর্মচারী তথা সহকারী কম্পিউটার অপারেটর হিসেবে যোগদান করেন। যোগদানের পর থেকে মনিরুল ইসলাম নিজেকে দুর্নীতিবাদ কর্মকর্তা হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।

    অভিযোগ সূত্রে আরো জানাযায়, টাকা ছাড়া কোন কাজ করেনা মনিরুল। এবং ক্ষমতার দাপটে মির্জাগঞ্জ সহকারী কমিশনার (ভুমি) এর ব্যবহৃত সরকারি মটর সাইকেলে নিজের করে নিয়েছে। এবং নামে বেনামে প্রচুর জমি অর্থ সম্পদ করেছে।

    দুর্নীতির ধারাবাহিকতায়, স্ত্রী ও নীজ নামে পটুয়াখালী সদর পৌর এলাকায় গত দশ বৎসরে প্রায় ৫৬ লক্ষ ৩৫ হাজার টাকা মূল্যর জমি ক্রর করেছেন মনিরুল। যার দলিল নং (৬৩৮৬ – জে এল নং ৩৮), দলিল নং (৩৩৭৫ – জে এল নং ৩৮), দলিল নং (১০৭৫ – জে এল নং ৩৮)। এছাড়াও বে-নামে প্রচুর সম্পত্তি সহ নগদ অর্থের মালিক হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন এই মনিরুল।

    অভিযোগ কারী মোঃ শফিকুল ইসলাম বলেন, একজন সামান্য সহকারী কম্পিউটার অপারেটর কিভাবে এতো সম্পদের মালিক হয় তা আমাদের বোধগম্য নয়। তাছাড়া দুর্নীতিবাজ মনিরুল মির্জাগঞ্জ ভুমি অফিসে চাকরির পূর্বে পটুয়াখালী জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে অফিস সহকারী পদে কর্মরত ছিলেন দির্ঘদিন। সেখান থেকে দুর্নীতির অভিযোগে চাকরিচ্যুত হয়। এবং লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে সরেজমিন অনুসন্ধান করলে মনিরুলের অবৈধ সম্পদের প্রমান পাওয়া যাবে বলে অভিযোগ কারী মোঃ শফিকুল ইসলাম বলেন।
    এবিষয়ে অভিযুক্ত মোঃ মনিরুলের ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি সব অস্বীকার করেন এবং অভিযোগ কারী মোঃ শফিকুল ইসলাম নামে এমন কোন ব্যক্তির সাথে তার পরিচয় নেই বলে সাফ জানিয়ে দেয়। এবং এই অভিযোগ কারীর কোন সত্যতা নেই বলে পত্রিকায় খবর প্রকাশ না করার অনুরোধ করেন মনিরুল ইসলাম।
    এব্যপারে মির্জাগঞ্জ উপজেলার সহকারী ভুমি কমিশনার(ভুমি) বলেন,এ ধরনের কোন অভিযোগ আমি পাইনি। তাছাড়া আজ প্রথম আমি ভুমি অফিসের দায়িত্বভার গ্রহন করি। এবং এধরণের কোন প্রকার অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ