• Uncategorized

    মিথ্যে অভিযোগে যুবলীগ থেকে বহিস্কার করায় এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ-দৈনিক অালোকিত ৭১ সংবাদ

      প্রতিনিধি ১১ আগস্ট ২০২০ , ১১:২৫:০৭ প্রিন্ট সংস্করণ

    এইচ অার রুবেল:

    আমি এস এম ফখরুদ্দীন আহম্মদ (সাজিব), পিতা-মৃত এস এম মহিউদ্দীন আহম্মদ (নোমান), গ্রাম- ব্রাহ্মণডুরা (উলুহর), ইউনিয়ন-১১নং ব্রাহ্মণডুরা, উপজেলা- শায়েস্তাগঞ্জ, জেলা-হবিগঞ্জ।

    গত ৩০ জুলাই উপজেলা আওয়ামী যুবলীগ প্রেস বিজ্ঞপ্তীর মাধ্যমে আমাকে ১১ নং ব্রাহ্মণডুরা ইউনিয়ন আওয়ামী যুবলীগের আহবায়ক থেকে বহিস্কার করা হয়। বিজ্ঞপ্তীতে বলা হয়, আমি সংগঠনের নীতি আদর্শ ও শৃঙ্খলা পরিপন্থী কার্যকলাপে জড়িত থাকায় ও রাতের আধারে জামায়াত-শিবিরের সাথে যোগসাজেশে এবং জমি দখল করার কারণে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সুনাম ক্ষুন্ন হয়েছে বিধায় এই বহিস্কারাদেশ দেওয়া হয়। সেই সাথে আমাকে আজীবন আওয়ামী যুবলীগ থেকে নিষিদ্ধ ঘোষণাও করা হয়। যা সম্পূর্ণ মিথা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণীত।

     

    আমার ছাত্র রাজনীতি থেকে অদ্যবদি কোন অসামাজিক কার্যকলাপসহ জমি দখল, অশুভ আচরণ, কারো সাথে করিনি। এমনকি দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থী কোন কাজ অদ্যবদি আমি করিনি। তাছাড়া জামায়াত-শিবিরের সাথে আমার কোন জোগসাজেশ নেই, পূর্বেও ছিল না, এখনো নেই, ভবিষ্যতেও থাকবে না।

     

    আমি সরকারী তিতুমীর কলেজ ছাত্রলীগ শাখার ২০০৭ সাল থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নীতি ও আদর্শ মেনে একজন সৎ, নির্ভিক সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি। ২০১১ সাল থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত হবিগঞ্জ সদর উপজেলাধীন

    ৭নং নুরপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্বও স্বতঃস্ফুর্তভাবে পালন করেছি। ২০১৬ সাল থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত নবগঠিত শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলাধীন ১১ নং ব্রাহ্মণডুরা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাতা আহবায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করি। এরপর স্বেচ্ছায় অত্র ইউনিয়ন ছাত্রলীগের দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করে ২০১৮ সালে ১১ নং ব্রাহ্মণডুরা ইউনিয়ন আওয়ামী যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা আহবায়ক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করি।

     

    আমি জাতীর জনক বঙ্গবন্ধ, বাংলাদেশের স্থপতি শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ বুকে ধারণ করে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সভানেত্রী ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রেী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষে বাস্তবায়নের কাজ করে আসছি।

    এছাড়া আওয়ামী যুবলীগের হাই কমান্ডসহ জেলা-উপজেলার নেতৃবৃন্দের নির্দেশনা, দলীয় নীতি আদর্শ মেনে অদ্যবদি আওয়ামী যুবলীগের দায়িত্ব পালন করেছি। উল্লেখিত রাজনীতির সময় আমি কখনো দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ এমনকি দলীয় মান ক্ষুন্ন হয় এমন কোন কাজ করিনি। কিংবা আমার নামে বাংলাদেশের কোথাও কোন অভিযোগ নেই।

    দেশে করোনা ভাইরাস সংক্রমনে যখন সারাদেশ আক্রান্ত। ঠিক ঐসময়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য সারাদেশে ত্রাণ বিতরণের কার্যক্রম অবাহ্যত রেখেছেন। অনুরূপ হবিগঞ্জেও ত্রাণ কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। এরই ধারবাহিতকায় আমাদের নবগঠিত শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার ১১নং ব্রাহ্মণডুরা ইউনিয়নে গত ২৭ জুলাই সরকারের দেয়া ভিজিএফ- এর ১০কেজি করে চাল বিতরণ করা হয়। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্যি যে, বিতরণকৃত ভিজিএফ-এর চাল অসহায় মানুষদের মাঝে বিতরণ না করে কিছু দুষ্কৃতিকারী বিক্রির উদ্দেশ্যে তা আত্মসাত করে। আমি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্ন বাস্তবায়ন করার লক্ষ্যে গত ২৯ জুলাই গোপন সংবাদে জানতে পারি ব্রাহ্মণডুরা ইউনিয়নের জাঙ্গাল গ্রামের এক বাড়িতে ভিজিএফ-এর ৫ বস্তা চাল কে বা কারা লুকিয়ে রেখেছে।

    তাৎক্ষনিক আমি শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান, নির্বাহী কর্মকর্তা ও শায়েস্তাগঞ্জ থানাকে জানালে তারা এসে ঐ চাল উদ্ধার করে। যা পরের দিন হবিগঞ্জ আঞ্চলিক পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়। ঐ দিন ৩০ জুলাই রাতে আমাকে আওয়ামী যুবলীগ থেকে বহিস্কার করা হয়।

    আওয়ামী যুবলীগের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী কেউ যদি দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করে বা নীতি আদর্শ থেকে সরে যায় তাহলে তাকে কারণ দর্শানো নোটিশ দিতে হয় এবং জবাবদীহি করতে হয়। তার জবাব সন্তুষজনক না হলে যদি অভিযোগ সত্য বলে প্রমানিত হয় তাহলে কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাকে বহিস্কার করা যেতে পরে। কিন্তু কোন কারন দর্শানো নোটিশ ছাড়াই আমাকে হঠাৎ করে বহিস্কার করা হলো।

    আমি চ্যালেঞ্জ করে বলতে পারি আমার রাজনৈতিক জীবনে কখনো এমন পরিপন্থী কাজ করিনি। যা দলের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হবে। আমি কোন জমি দখল করিনি। যদি প্রমাণিত হয় যে, আমি কারো জমি দখল করেছি, তাহলে দলীয় গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সকল শাস্তি আমি মেনে নেব। তাছাড়া জামায়াত-শিবিরের সাথে আমার কোন সম্পৃত্ততা নেই। আমি সব সময় জামায়াত- শিবিরের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে আসছি এখনো করে যাই। এবং এলাকায় চোর ডাকাত, সন্ত্রাস, মাদক, ভূমিদস্যু, জঙ্গী ও অসামাজিক কার্যকলাপের বিরুদ্ধে সব সময় প্রতিবাদ করে আসছি। যা এলাকার লোকজনকে জিজ্ঞাসা করলে এর সত্যতা পাওয়া যাবে।

     

    আমি উক্ত বহিস্কারের তীব্র নিন্দা জানিয়ে জেলা আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি ও উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলতে চাই, আমার উপর এই মিথ্যে অভিযোগের বহিস্কার প্রত্যাহার করে তদন্ত টিমের মাধ্যমে তদন্ত করা হউক। তদন্তে দোষী সাব্যস্ত হলে আমাকে প্রত্যাহার করা হউক। কিন্তু মিথ্যে অভিয়োগ দিয়ে প্রত্যাহার করায় দলীয় ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয়েছে বিধায় আমি এই মিথ্যে বহিস্কারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।

    এস এম ফখরুদ্দীন আহম্মদ (সাজিব)

    আহবায়ক (বর্তমান বহিস্কৃত)

    ১১ নং বাহ্মণডুরা ইউনিয়ন আওয়ামী যুবলীগ

    শায়েস্তাগঞ্জ, হবিগঞ্জ।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ