মিথ্যা মামলা সাজিয়ে হয়রানি করার চেষ্টা কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলার হেলালপুর গ্রামে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে রুপজান খাতুন (৭০) এক বয়স্ক মহিলাকে কোপানো ও মারধরের বিষয়টা অভিযুক্তরা মিথ্যা বলে জানিয়েছেন।

অভিযুক্তরা জানান, খোকসা থানা জি আর মামলা নং ৯/২০ কে উঠিয়ে নিতে তারা আমাদেরকে অনেক বার হুমকি-ধামকি দিয়ে আসছিলো এবং এই ৫/২১ নং মিথ্যা মামলা করেছে রুপজানের স্বামী।

খোকসা থানা ৫/২১ নং মামলার ১নং অভিযুক্ত মোঃ শহিদ শেখ জানান, রবিবার (১০) জানুয়ারি আমি বাড়ি থেকে ভোরবেলা রাজবাড়ী যাওয়ার উদ্দেশ্যে বের হই। আমি আমার হিলালপুর নিজ বাড়িতে ছিলাম না। খোকসা থানা জি আর মামলা নং ৯/২০ এর বাদী হওয়ায় মামলা তোলার জন্য মিথ্যা মামলা দায়ের করেছে আসামীদের পরিবার ও ১,২,৩ নং আসামীর পিতা আক্কাচ আলী। আগেও আসামী ও তার পরিবার কয়েকবার মামলা তোলার হুমকি দিয়েছে এ বিষয়ে ২টা জিডি করা আছে।

৫/২১ মামলার ২নং অভিযুক্ত সিদ্দিক শেখ জানান, জয়ন্তীহাজরা রাস্তার কাজ করছিলাম ১০ জানুয়ারী ২০২১ ইং। সকাল ৭ টার সময় বাড়ি থেকে বের হয়েছি কাজের জন্য। এ বিষয়ে সত্যতার জন্য রাস্তার কাজের ২৫-৩০ জন লেবার/কর্মচারি যে আমি ১০ তারিখ সকাল ৮টা থেকে বিকাল পর্যন্ত জয়ন্তীহাজরা উপস্থিত ছিলাম। আমি ঘটনা সম্পর্কে কিছু জানিনা। মিথ্যা মামলা হয়েছে আমার নামে।

৩ নং অভিযুক্ত শিল্পী খাতুন জানান, আমার শশুরবাড়ি পাবনা। আমি ১০ জানুয়ারী হিলালপুর উপস্থিত ছিলাম না। আমার মোবাইল ট্র্যাকিং করলে জানতে পারবে আমি ৯/২০ মামলার স্বাক্ষী, আমাকে স্বাক্ষ্য দানে বাধা দেওয়ার জন্য মিথ্যা মামলা করেছে।

৪ নং অভিযুক্ত ফারজানা জানান, ১০ তারিখ বাড়িতে ছিলাম। সামনে ৪১ তম বিসিএস পরীক্ষা তাই আমার রুমে পড়াশোনা করছিলাম। এই ঘটনার বিষয়ে আমি কিছুই জানিনা। ৯/২০ মামলার ভিকটিম ও অসুস্থ আমি। আমাকে হয়রানি ও মামলা থেকে সরানোর জন্য মিথ্যা মামলা করেছে আমার নামে।

৫নং অভিযুক্ত রীনা জানান, আমি একই মামলার ভিকটিম। আমার ২টা পায়ের ও ডান হাতের হাড় ভাঙ্গা। অপারেশন করে ৭ টা রড দেওয়া হয়েছে আমার শরীরে। আমি নিজে হাতে খেতে পর্যন্ত পারিনা। তদন্ত ছাড়া আমার নামে মামলা হয় কি করে, আমার পঙ্গুত্বের মেডিকেল সার্টিফিকেট আছে।

৯/২০ মামলার ধারা ৩২৫,৩০৭ সহ আরো ৮-৯ টি ধারা বিদ্যমান মামলার বাদী, ভিকটিম, স্বাক্ষীদের বিরুদ্ধে আসামীদের পরিবার মিথ্যা মামলা দায়ের করে। অভিযুক্তরা জানিয়েছেন, মিথ্যা মামলার বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে মামলা দায়ের করার চিন্তা-ভাবনা করছি।