• রাজশাহী বিভাগ

    মা হতে চলেছে কিশোরী বাবা হচ্ছে না কেউ

      প্রতিনিধি ৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২ , ৬:২২:৪৭ প্রিন্ট সংস্করণ

    এস আর, সোহেল রানা,তানোর (রাজশাহী) প্রতিনিধিঃ

    রাজশাহীর তানোরে বিয়ের আগেই অন্তঃসত্ত্বার অভিযোগে ঘর ভাঙলো একটি স্কুলের অষ্টম শ্রেণীর শিক্ষার্থী ও কিশোরী গৃহবধুর। এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যর সৃষ্টি হয়েছে। কিন্ত্ত ঘটনার প্রায় ৫ মাস অতিবাহিত হলেও বিচার পাচ্ছেন না ভিকটিম।ফলে ন্যায় বিচার পেতে লিগ্যাল এইড, মানবাধিকার কমিশন ও মহিলা আইনজীবী পরিষদসহ আইনপ্রয়োগকারি সংস্থার উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভিকটিম পরিবার ও সাধারণ গ্রামবাসী।

    সম্প্রীতি, উপজেলার পাঁচন্দর ইউপি এলাকার জৈনক ব্যাক্তির কন্যা ও অষ্টম শ্রেণীর মেধামী শিক্ষার্থীর রেজিষ্ট্রি ছাড়াই বিয়েহয় গোদাগাড়ীর মাকরান্দা এলাকায়। কিন্ত্ত বিয়ের দুই মাসের মধ্যে তার অস্বাভাবিক শারীরিক বৃদ্ধিতে স্বামীর সন্দেহ হয়। তিনি তার স্ত্রীর শারীরিক পরীক্ষা করে জানতে পারেন তার স্ত্রী ৪ মাসের অন্তঃস্বত্তা। এতে স্বামী বিষয়টি সহজভাবে মানতে না পেরে কিশোরীকে বাবার বাড়ি পাঠিয়ে দিয়েছে। এখন সে প্রায় ৬ মাসের অন্তঃস্বত্তা হয়ে বাবার বাড়িতে মানবেতর জীবনযাপন করছে।

    স্থানীয়দের সঙ্গে কথা জানা গেছে, বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ওই মেয়ের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে দৈহিক সম্পর্ক স্থাপন করে সাহাপুর গ্রামের খতের আলীর পুত্র পলাশ। এদিকে পলাশের সঙ্গে বন্ধুত্বের সম্পর্কের সুত্রধরে সাহাপুর গ্রামের আব্দুল আজিজের পুত্র শামিমও তার সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলে। কিন্ত্ত এখন তারা দুজনেই সম্পর্কের কথা অস্বীকার করেছে। জনৈক দুরুল বলেন, ঘটনা গ্রামের সবাই জানে তার পরেও বিচারের নামে ঘটনা ধাঁমাচাপা দিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে চেয়ারম্যান।

    এবিষয়ে ভিকটিমের মা জানান, বিয়ের আগে তার মেয়ে তাকে কিছুই বলেনি, বিয়ের পর জাতে পারি পলাশ আর শামিম তার মেয়ের সর্বনাশ করেছে। অথচ চেয়ারম্যান বাচ্চা হওয়া পর্যন্ত থামতে ও কোথাও অভিযোগ দিতে নিষেধ করে বলেছেন বাচ্চা প্রসবের পর ডিএনএ টেষ্ট করে বিচার করা হবে। তবে এতোদিন অন্তঃস্বত্তা

    মেয়ের খাবার, চিকিৎসা ও সন্তান প্রসবের খরচ জোগাবো কি ভাবে, যা ছিল মেয়ের বিয়ে দিতেই সব শেষ, আবার প্রসবের সময় মা-সন্তান বা উভয়েই যদি কোনো অনাকাঙ্খিত ঘটনার শিকার হয়, তাহলে কি বিচার হবে না। আবার মেয়েকে একা বাড়িতে রাখতে পারছি না কারন বারবার আত্মহত্যার কথা বলছে। তিনি আরো বলেন, মেয়ে গর্ভের সন্তান নষ্ট না করলে তার বাড়ি পেট্রোল দিয়ে পুড়িয়ে দেবার হুমকি দিচ্ছে সামিম ও তার বাবা আজিজ এতে চরম আতঙ্কে রয়েছি।

    স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে ভিকটিম অশ্রুসজল চোখে বলেন, আমার স্বামীও নিবে না আবার বিচারের জন্য চেয়ারম্যান আব্দুল মতিনের কাছে গিয়ে এখানো বিচার পেলাম না। তার কাছে বিচার চাইতে গেলে তিনি বলেন দুজনের নাম এসেছে, আমি কার বিচার করবো, বাচ্চা হওয়ার পর ডিএনএ টেষ্ট করে বিচার করা হবে। কিন্ত্ত সন্তান প্রসবের সময় মা-সন্তান বা উভয়েই যদি কোনো কারণে কোনো অনাকাঙ্খিত ঘটনার শিকার হয়, তাহলে কি অভিযুক্তদের বিচার হবে না।

    এবিষয়ে শামিম বলেন, তিনি এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত না, তাকে ফাঁসানো হচ্ছে। এবিষয়ে কথা বলতে চাইলে সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে পলাশ পালিয়ে যাওয়ায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি। এবিষয়ে পাঁচন্দর ইউপির চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল মতিনের ব্যক্তিগত মোবাইল নম্বরে একাধিকবার ফোন দেওয়া হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেন নি। এবিষয়ে তানোর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রাকিবুল হাসান জানান, এঘটনায় কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্হা নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ