• Uncategorized

    মাধবপুরে ঈদ মার্কেটে নেই স্বাস্থ্যবিধির বালাই

      প্রতিনিধি ৮ মে ২০২১ , ৯:৫১:৪২ প্রিন্ট সংস্করণ

    মাহবুবুর রহমান রিমনঃ মাধবপুর, হবিগঞ্জঃ

     

    করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁঁকির মধ্যেই খুলে দেয়া হয়েছে শপিংমল ও দোকানপাট। আসন্ন ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে এসব স্থানে জমে উঠেছে কেনাকাটা। ভিড় বাড়ছে ক্রেতার। সরকারের বেঁধে দেয়া বিধিনিষেধ মেনে মার্কেট খোলার কথা থাকলেও তা মানা হচ্ছে না। এখনো সুরক্ষার ব্যবস্থা নেয়া হয়নি অনেক মার্কেটে। বিগত সময়ের তুলনায় মাস্ক পরার প্রবণতা বাড়লেও সামাজিক দূরত্ব মানতে উদাসীন ক্রেতা-বিক্রেতারা।

    জনস্বাস্থ্যবিদরা বলছেন, সরকার শর্ত দিয়ে দোকানপাট ও শপিংমল খুলে দিলেও রক্ষণাবেক্ষণের ঘাটতি রয়েছে। সেসব স্থানে যথেষ্ট আইন প্রয়োগ করা হচ্ছে না।

    সুনির্দিষ্ট করে কাউকে দায়িত্ব দিয়ে দোকানপাট খুলে দিলে এমনটি হতো না। এখন যেকোনো সময় যে কেউ করোনায় আক্রান্ত হতে পারে। শপিং করতে এসে ভাইরাস বহনও করতে পারে। তাই মার্কেট ও শপিংমলে স্বাস্থ্যবিধির বিষয়ে সরকারকে আরো কঠোর হতে হবে। এছাড়া ক্রেতাদের মধ্যেও সচেতনতা বাড়াতে হবে। এছাড়া যারা বিধিনিষেধ মানবেন না তাদেরকে আইনের আওতায় আনতে হবে। প্রয়োজনে জেল-জরিমানা করতে হবে।

    আজ হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার, নোয়াপাড়ায় বিভিন্ন মার্কেট ঘুরে দেখা যায়, কোথাও মানা হচ্ছে না করোনাকালীন স্বাস্থ্যবিধি। অনেক মার্কেটের প্রবেশদ্বারে রাখা হয়নি জীবাণুনাশক টানেল। বিপণী বিতানগুলোতে নেই হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবহার। দোকানিদের মুখে নেই মাস্ক। আবার কেউ কেউ হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার না করেই নাক মুখে হাত দিচ্ছেন। প্রায় প্রতিটি দোকানে ভিড়।

    চলছে দরকষাকষি। করোনার সংক্রমণ ঝুঁকির মধ্যে বড়দের সঙ্গে ভিড় করছেন ছোট শিশুরাও। শিশুদেরকে পোশাক ট্রায়াল দিতেও দেখা গেছে। একই পোশাক ট্রায়াল দিচ্ছেন একাধিক শিশু। এতে যেকোনো সময় করোনায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছেন তারা।

    মাধবপুরের নোয়াপাড়ায়, অপু গার্মেন্টস,ঢাকা গার্মেন্টস সহ বিভিন্ন দোকানে ঘুরে দেখা যায়, ক্রেতাদের উপস্থিতি বেশ লক্ষণীয়। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দোকানগুলোতে ভিড় জমেছে।
    কেনাকাটায় ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন ক্রেতারা। অনেকেই দলবদ্ধ হয়ে সারছেন কেনাকাটার কাজ। মাস্ক পরা ছাড়াও কেনাকাটা করতে দেখা গেছে অনেককে। ক্রেতারা এক দোকান থেকে যাচ্ছেন অন্য দোকানে। রক্ষা হচ্ছে না সামাজিক দূরত্বও। দোকানিরা বলছেন, দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর মার্কেট খুলছেন তারা। তবে তেমন একটা বিক্রি নেই। ঈদের কেনাকাটা এখনো ভালোভাবে জমে ওঠেনি। এছাড়া স্বাস্থ্যবিধি পুরোপুরি মেনে দোকান খোলা রাখা সম্ভব হবে না। তাই যে যেভাবে পারছেন স্বাস্থ্যবিধি ও সরকারের বিধিনিষেধের তোয়াক্কা না করেই ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান পরিচালনা করছেন।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ