সাইফুল ইসলাম আকাশ-ত্রিশাল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি:

ময়মনসিংহের শসার বাম্পার ফলন হয়েছে। জেলার সদর উপজেলার চরাঞ্চলে চরঈশ্বরদিয়া,, সিরতা, ও বোররচর এলাকায় শসার ব্যাপক আবাদ হয়েছে। এবার শসার বাজার দর ভালো থাকায় উৎপাদন খরচ বাদ দিয়ে শসা বিক্রি করে লাভের মুখ দেখছেন চাষী।রমজান মাসের শুরুতে শসার ব্যাপক চাহিদা ও বাজার থাকার কারণে চাষিরা ব্যাপক লাভের মুখ দেখছেন। সকল চাহিদা মিটিয়ে রমজানের মাঝপথে শসার বাজারদর ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২শত টাকা থাকলেও সামনে ঈদে ব্যাপক চাহিদা রয়েছে শসার ময়মনসিংহ সদর উপজেলা ছাড়াও শসার উৎপাদন হয় জেলার মুক্তাগাছা,ত্রিশাল গৌরীপুর, নান্দাইল উপজেলায়।

সবচেয়ে বেশি শসার অবাধ হয় তারাকান্দা' ফুলপুর , মুক্তাগাছা , নান্দাইল ও ত্রিশাল এলাকায় সবচেয়ে বেশি শসার অবাধ হয়। এসব এলাকা থেকে চাষীরা শসা বিক্রি করার জন্য উপজেলা পাইকারি বাজারে নিয়ে আসে। সরোজমিনে শসার বাজারে গিয়ে দেখা যায় ব্যাস্ত সময় পার করছেন ক্রেতা-বিক্রেতারা। শসা বাছাই, প্যাকেট করা এবং গাড়ি লোড করা হচ্ছে। এখান থেকে শসা ঢাকাসহ সারাদেশে সরবরাহ করা হয়ে থাকে।শসার বাজারের কয়েক জন ব্যবসায়ীরা জানায়, দুদিন আগেও শসার বাজার ১হাজার ৫০০ থেকে ২ হাজার টাকা মন ক্রয় বিক্রয় হয়েছে কিন্তু এখন বাজার মূল্য একটূ্ কমেছে। এখান থেকে শসা ঢাকা কারওয়ান বাজার, চট্টগ্রাম, মিরপুর চাঁদপুর সহ সারাদেশে সরবরাহ হচ্ছে।

তিনি আরও জানান, প্রতিদিন প্রতিটা বাজারে দুই থেকে তিন হাজার মণ শসা আমদানি হয়। আশপাশের এলাকা থেকে এসব শসা বাজারে বিক্রি করার জন্য চাষিরা নিয়ে আসে। বাজারের শসা বিক্রি করতে আসা রামপুর এলাকার চাষী গফুর বলেন তিনি বেশিরভাগ জমিতে শসা চাষ করেছেন। আজকে তিনি প্রায়৫০ মন বিক্রি করতে আসছে। তিনি শসা বিক্রি করে লাভবান। তিনি ২৮ বছর ধরে শসা চাষ করেন। শসা চাষ করার সময় ক্ষেতে অনেক সময় পোকামাকড় ও রোগাক্রান্ত হয়। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন,

এক্ষেত্রে উপজেলা কৃষি অধিদপ্তরের সহযোগিতা পেলে তাদের সুবিধা হত । অনেক সময় রোগ আক্রান্ত কারণে শসা গাছ মারা যায়। তাদের সহযোগিতা পেলে ক্ষতি থেকে তারা রক্ষা পেত। এবং অনেক নতুন চাষিরা এই শসা চাষে আগ্রহ প্রকাশ করতো।এই বিষয়ে উপজেলা কৃষি অফিসার উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা যারা আছেন তারা কৃষকের সাথে সমন্বয় করে সঠিক দিক-নির্দেশনা দেওয়ার কারণে আজ এ শসার ব্যাপক ফলন হয়েছে। তিনি আরও বলেন, এবার শসার উৎপাদন সন্তোষজনক। যে শসা উৎপাদন হচ্ছে বর্তমান বাজারে কৃষকরা সঠিক দাম পাচ্ছেন।