কোন মনগড়া,কাল্পনিক গল্পকথা আর সাংবাদিকতা এক নয়। কাউকে উদ্দেশ্যমূলক হেয়প্রতিপন্ন করাকে সাংবাদিকতা বলেনা; এটা ব্লাকমেইলিং বা মানহানীকর আইনের অপরাধ। এরুপ কালচার সাংবাদিকতার নীতিমালার মধ্যে পড়েনা বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের প্রধান সমন্বয়কারী আহমেদ আবু জাফর। তিনি বলেন, ইচ্ছাকৃত ভাবে জ্ঞাতসারে কারো বিরুদ্ধে সংবাদের নামে এরুপ করা হলে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ধারায় অপরাধী হবেন। সাংবাদিকদের এসব বিষয় মাথায় রেখেই সংবাদ প্রকাশ করা উচিৎ।

তিনি এসময় দেশের বিভাগীয় পর্যায়ে সাংবাদিক প্রশিক্ষণ একাডেমী নির্মানের দাবির পক্ষে যুক্তি দেখিয়ে আরো বলেন, দেশে আনসারদের জন্য প্রশিক্ষণ একাডেমী থাকলেও সাংবাদিকদের জন্য কোন প্রশিক্ষণ একাডেমী নেই। দেশে পুলিশ, সেনাবাহিনী, সকল দপ্তরের অফিসার/কর্মচারী, কিংবা ইমামদের জন্য পৃথক প্রশিক্ষণ একাডেমী রয়েছে।সাংবাদিকদের দক্ষ করে গড়ে তুলতে দেশের ৮ বিভাগে ৮টি সাংবাদিক প্রশিক্ষণ একাডেমী নির্মানের জন্য সরকারের প্রতি আহবান জানান। বৃহস্পতিবার রাত ৮-১১টা পর্যন্ত মুজিব বর্ষ উপলক্ষে ৭ম ব্যাচের ভার্চুয়াল প্রশিক্ষণ কোর্স উদ্বোধনী আলোচনায় তিনি এসব বলেন।

বক্তারা সরকারী ভাবে সাংবাদিকদের ডাটাবেজ/ তালিকা প্রণয়নে সকলকে অংশগ্রহনের জন্য আহবান জানান। সরকারের গৃহীত এ ডাটাবেজ কর্মসূচী সফল করতে সকল সাংবাদিককে এগিয়ে আসা উচিৎ। একই সাথে ডাটাবেজ প্রণয়নে সময় বৃদ্ধির ব্যাপারে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও তথ্যমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে সংগঠনটির নেতৃবৃন্দ। তিনদিনের এ প্রশিক্ষণে প্রশিক্ষক হিসেবে অংশ নেন সংগঠনের আইন উপদেষ্টা ও সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবি এডভোকেট কাওসার হোসাইন, এ্যাড. খন্দকার হাসান শাহরিয়ার, আইটি বিভাগের প্রধান তাওহীদ হাসান।

সাংবাদিকতা কি ও কেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও সাংবাদিকতা, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও গণমাধ্যমের তফাৎ,ছবি এবং ভিডিওধারণের কৌশল, ভয়েজওভার সহ বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করা হয়।এতে বিএমএসএফ জাতীয় পরিষদ সদস্য মোফাজ্জল হোসেন, মোশাররফ হোসেন নীলু,খায়ের হোসেন খান, শিবলী সাদিক খান, হাসনাত তুহিন, বেলায়েত বাচ্চু, তাওহীদ হাসান, সাইদুর রহমান বাবুল প্রমুখ নেতৃবৃন্দ অংশ নেন।