• Uncategorized

    মতলব উত্তর  মোহনপুরে ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসে  দোয়া ও আলোচনা সভা

      প্রতিনিধি ১৫ আগস্ট ২০২০ , ১১:৫২:৩৫ প্রিন্ট সংস্করণ

    মো.তুহিন ফয়েজ:

    মতলব উত্তরে মোহনপুরে  জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৫ তম শাহাদাৎ বার্ষিকীকে উপলক্ষে দোয়া ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীকিকে ধারণ করে শনিবার  (১৫  আগস্ট) সকালে উপজেলার মোহনপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ কার্যালয়ে

    মিলাদ,দোয়া ও আলোচনা সভায়  ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুল হাই প্রধানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন হাওলাদারের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন- বিশিস্ট শিল্পপতি,সমাজসেবক ও আওয়ামী লীগ নেতা কাজী মিজানুর রহমান,উপজেলা আওয়ামীলীগের  অন্যতম সদস্য রাধে শ্যাম সাহা চান্দু, কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের উপ- কমিটির সহ- সম্পাদক আহসান উল্লাহ হাসান, উপজেলা যুবলীগ নেতা কাজী হাবিবুর রহমান,আওয়ামীলীগ নেতা ফজলুল হক সরকার,মোহনপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন জয়, ১৫ আগস্টে বঙ্গবন্ধুর সেই ভয়াল কালোরাত্রির স্মৃতিচারণ করে বক্তব্য রাখেন বিশিস্ট শিল্পপতি ও সমাজসেবক আওয়ামীলীগ নেতা কাজী মিজানুর রহমান।

     

    তিনি বলেন, আমরা সবাই বঙ্গবন্ধু শেখমজিবুর রহমানের উত্তরসোরী হয়ে আমাদের দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাব তাহলেই বঙ্গবন্ধুর আত্বার শান্তি হবে ৷

    ১৫ আগস্টে বঙ্গবন্ধু সহ যারা শহিদ হয়েছে তাদের প্রত্যেকের রুহের আত্বার মাগফিরাত কামনা করছি ৷

    ‘অনেক ত্যাগ-তিতিক্ষার পর আমরা আজকের এই স্বাধীন দেশ পেয়েছি। বাঙ্গালীর মহানায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। জন্ম গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায়। শৈশব-কৈশরের অনেকটা সময় তার কেটেছে এই গ্রামে। হত্যার পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সমাহিত করা হয় তুচ্ছ ও দায়সারাভাবে। ১৯৭৫ সালের ১৬ আগস্ট টুঙ্গিপাড়ায় তাকে দাফন করা হয়। বঙ্গবন্ধুর জানাজায়, লাখ-লাখ মানুষ হতো। কিন্তু কাউকেই সুযোগ দেওয়া হয় নাই। জানাজায় অংশ নিতে চাইলেও পারেনি গ্রামবাসী’।

    ‘৭৫ এর ১৬ আগস্ট দুপুরে বঙ্গবন্ধুর মরদেহ পৌঁছায় টুঙ্গিপাড়ায়। কড়া নিরাপত্তার মধ্যে হেলিকপ্টার থেকে কফিন নামিয়ে ৫৭০ সাবান দিয়ে গোসল করানো হয়’।

    ‘কাফন পড়ানো হয় রেডক্রিসেন্ট হাসপাতালে রোগীদের ব্যবহৃত কাপড়। হাজারো মানুষ ছুটে আসেন প্রিয় নেতার মুখটি একবার দেখার জন্যে। কিন্তু কাউকে কাছে যেতে দেয়নি সেনাসদস্যরা। এমনকি শেখ পরিবারের লোকজনকেও সেদিন থাকতে হয়েছিল আত্মগোপনে’।

    ‘জানাজা শেষে পিতা শেখ লুৎফর রহমান ও মাতা শেখ সায়েরা খাতুনের কবরের পাশে সমাহিত করা হয় বঙ্গবন্ধুকে। এতে অংশ নেন স্থানীয় ৩০/৩৫ জন মানুষ। সেনা ও পুলিশ হেফাজতে তড়িঘড়ি করে দাফন করা হয়। সেদিনের কথা বলতে গিয়ে সকলেই আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়েন প্রিয় নেতার জন্য’।

    মিলাদ ও দোয়া অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন মোহনপুর বাজার জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা মোঃ তাজুল ইসলাম,

    এসময় উপস্থিত ছিলেন- আওয়ামীলীগ নেতা কাজী ফজলুল কাদের জীবন, কাজী গোলাম হোসেন, আবু হানিফ প্রধান,মোহনপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সহ- সভাপতি হুমায়ুন কবির,সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী মতিউর রহমান মতিন,মোহনপুর ইউনিয়ন মহিলালীগের সভানেত্রী মানছুরা বেগম, যুবলীগ নেতা উজ্জল মৃধা,মারুফ,মহাসিন,ইসমাইল হোসেন, সহ  ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ