• আমার দেশ

    ভালোবাসা দিবস নিয়ে মানবিক কিছু কথা!

      প্রতিনিধি ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২ , ৭:৪৩:৫০ প্রিন্ট সংস্করণ

    মোঃ সাইফুল ইসলাম আকাশ-ত্রিশাল(ময়মনসিংহ)প্রতিনিধি:

    আমরা নিজের কাদে অন্যের পাপের বুঝা বহন করছি।আজকের এই দিনে ‘ভালবাসা দিবস’কে কেন্দ্র করে সারা পৃথিবী উত্তাল হয়ে উঠে। বাজারে নানাবিধ উপহারে ভর্তি। পার্ক ও হোটেল- রেস্তোরাঁগুলো সাজানো হয় নতুন সাজে। পৃথিবীর প্রায় সব বড় শহরেই ‘ভালোবাসা’-দিবস কে ঘিরে পড়ে গেছে সাজ সাজ রব। পশ্চিমা দেশগুলোর পাশাপাশি প্রাচ্যের দেশগুলোতেও এখন ঐ অপসংস্কৃতির মাতাল ঢেউ লেগেছে। হৈ চৈ, উন্মাদনা, ঝলমলে উপহার সামগ্রী, প্রেমিক যুগলের চোখে মুখে বিরাট উত্তেজনা।

    হিংসা-হানাহানির যুগে ভালবাসার এই দিনকে! প্রেমিক যুগল তাই উপেক্ষা করে সব চোখ রাঙানি। আমাদের দেশে ভালোবাসা দিবস আমদানি হয় ১৯৯৩ সালে। পরের বছর থেকে তা আনুষ্ঠানিকভাবে পালন শুরু হয়। কালক্রমে তা সংক্রমিত হতে থাকে যুব সমাজের মধ্যে। পশ্চিমা দেশে বিবাহিত নারী-পুরুষের মধ্যেও এ দিবসের প্রভাব নমনীয়। কারণ সেখানে ‘ভালোবাসার’ বড়ই আকাল। দাম্পত্য জীবনে সুখের ছোঁয়া নেহায়েত কম, যা আছে তা কেবলি ভোগ-লালসার। আমাদের দেশে পারিবারিক বন্ধন ঐতিহ্যগতভাবেই দৃঢ়। অবশ্য উত্তর-আধুনিককালে এসে সেখানে চির ধরছে।

    তাই বুঝি চিরন্তন ভালোবাসার অনুপস্থিতিতে মেকি ভালোবাসার অভিনয় করার জন্য একটি দিনকে বেছে নেয় কেউ কেউ। ভালোবাসা পবিত্র, ভালোবাসা শাশ্বত- ঢাক-ঢোল পিটিয়ে জাহির করারও কোন বিষয় নয়। যখন দেখা যায় ফেব্র“য়ারীর চৌদ্দ তারিখে তরুণ-তরুণীরা পরস্পরকে ফুল দেয়, প্রকাশ্য চুমু বিনিময় করে, তখন অনুমান করা ভুল হবে না যে, সে ভালোবাসায় ভেজাল রয়েছে। এতে রয়েছে শুধু কামনাতৃপ্তি যে ভালোবাসা শুধু মনের তৃপ্তি তার প্রকাশ কেন ঘটবে রমনা পার্কে, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, জিয়া উদ্যানে কিংবা সংসদ ভবন চত্বরে নদীর পারে।

    মূলত আল্লাহ প্রদত্ত ভালোবাসাকে নির্দিষ্ট কোন দিনের সাথে সম্পৃক্ত করে তা মাঠে-ময়দানে প্রকাশ করার মতো রীতিনীতি পরিহার করে এই কারনেই বিশেষ করে আমাদের সংসার জীবনে অল্পতেই চীর দরে ভেঙ্গে যায় সাজানো সংসার। ভালোবাসার এ মহান গুণটিকে আল্লাহ নির্দেশিত পন্থায় প্রয়োগ করে পৃথিবীকে শান্তির বাসগৃহ রূপে গড়ে তোলা আমাদের সবার জন্য একান্ত অত্যাবশ্যকীয়।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ