মোঃ মহসিন মীর-বাউফল প্রতিনিধি:
পটুয়াখালী বাউফলে এইচএসসি ব্যবহারিক পরীক্ষায় বিজ্ঞান শাখার শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অবৈধভাবে টাকা নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার বগা ইয়াকুব শরীফ ডিগ্রি কলেজে এমন ঘটনা ঘটে। শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে কোন ধরনের জমা ¯িøপ ছাড়াই প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষকরা ওই টাকা আদায় করছেন। শুধু ওই কলেজই নয় অভিযোগ রয়েছে উপজেলার ১০টি ডিগ্রী কলেজের সবকয়টির বিরুদ্ধে।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, কোনো রশিদ ছাড়াই ব্যবহারিক পরীক্ষার জন্য বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ৫টি ব্যবহারিক বিষয়ের জন্য প্রত্যেক শিক্ষার্থীর কাছ থেকে ১৫৫০টাকা, মানবিক বিভাগের ৩টি বিষয়ের জন্য প্রত্যেকের কাছ থেক ৫০০-৬০০টাকা এবং ব্যবসায়ী শাখার টি বিষয়ের জন্য ..টাকা নেয়া হয়।
এছাড়াও কারিগরি শাখার শিক্ষার্থেিদর কাছ থেকে ৬শ করে টাকা আদায় করা হয়েছে। পরিক্ষার নম্বর হাড়ানোর ভয়ে মুখ খুলতে ভয় পান শিক্ষার্থী ও অভিবাবকরা। সকলে নিরবে সহ্য করছেন। শিক্ষার্থী প্রতি সাইন্সের ১৫৫০টাকা করে ফি আদায় করা হয়েছে। ফি না দিলে ব্যবহারিকে নম্বর কম দেয়া হবে বলে ভয় দেখানো হয় তাদের। ভয়ে পরীক্ষার্থীরা ওই টাকা দিয়েই পরীক্ষায় অংশ নিয়ে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন শিক্ষার্থী বলেন, আমাদের কাছ থেকে ব্যবহারিক পরীক্ষার জন্য অন্যায়ভাবে টাকা আদায় করা হয়েছে। আমাদের শিক্ষার্থীদের বলেছে ব্যবহারিকে পরিপূর্ণ নম্বর পেতে হলে ধার্যকৃত টাকা দিতে হবে। যারা দিবে তারাই নম্বর পাবে। যারা দিবে না তারা কম নম্বর পাবে।
শিক্ষার্থী হান্নান জানান, তার কাছে স্যার ৫শত টাকা দাবি করেন। পরে অনেক রিকোয়েস্ট করে ২৫০টাকা দিয়েছেন।
মিরাজ নামের অপর এক শিক্ষার্থী জানান, তার কাছ থেকে ৩ বিষয়ের পরিক্ষার জন্য ৪শত টাকা নিয়েছেন। কারগরি শাখার লাবনী নামের অপর শিক্ষার্থী বলেন, বিএমএ শাখার প্রত্যেক শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ৬টাকা করে আদায় করা হয়েছে। এবিষয়ে ইয়াকুব শরীফ ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ হুমায়ুন কবির অভিযোগ স্বীকার করে দৈনিক আলোকিত ৭১ সংবাদ বলেন, টাকা নেওয়ার কোন বিধান নাই। কিন্তু আগে থেকে তারা নিয়ে আসছেন তাই এবছরও সামান্য কিছু নিচ্ছেন।
নওমালা আবদুর রশিদ খান ডিগ্রী কলেজের অধ্যাক্ষ মো. আবদুল মালেক বলেন, এ সকল পরিক্ষার্থীর কাছ থেকে ২শত ৫০টাকা করে নেয়া হয়েছে। এ টাকা পরিক্ষার এক্সট্রানাল টিমসহ যাবতীয় খরচ বহন করতে ব্যায় করতে হয়। পরিক্ষর সময় অনেক খরচ থাকে।
তবে ভিন্ন মত দিয়েছেন কাছিপাড়া ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ মো সহিদুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘ব্যবহারিক বিষয়ের শিক্ষক আলাদা। তারা টাকা আদায় করেন। তারা কি কাজে খরচ করেন সেটা তারা জানে না। কলেজ কোনভাবে তাদের দায় নেবে না। আমি ওই টাকার বিষয়ে কিছৃু জানি না।’
এবিষয়ে মাধ্যমিক উচ্চমাধ্যমি শিক্ষাবোর্ড বরিশালের পরিক্ষা নিয়ন্ত্রক অরুন কুমার গাইন দৈনিক আলোকিত ৭১সংবাদ বলেন, ‘ব্যবহারিক পরিক্ষার জন্য একটা ফি নির্ধারণ করা হয়। সেটা ফরম ফিলাপের সাথে নিয়ে নেয়া হয়েছে। এখন যদি কেউ টাকা অদায় করে সেটা সম্পূর্ণ অবৈধ। এব্যপারে স্থানীয় প্রসাশনের সহায়তা নিতে পারেন।
E-mil: dailyalokito71sangbad@gmail.com
@বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোক চিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বে-আইনি।
Copyright © 2024 alokito71sangbad. All rights reserved.