• Uncategorized

    ব্যঙের ছাতার মত গড়ে উঠছে অবৈধ ইট ভাটা, বিপর্যয়ের মুখে পরিবেশ,ও জন জীবন।

      প্রতিনিধি ২৩ জানুয়ারি ২০২১ , ১০:২৩:১২ প্রিন্ট সংস্করণ

    ব্যাঙের ছাতার মত গড়ে উঠছে অবৈধ ইটের ভাটা । চলছে অবৈধ ইটভাটার জমজমাট বাণিজ্য। ইট ভাটার কালো ধোঁয়া প্রাণ, প্রকৃতি ও পরিবেশের মারাত্মক বিপর্যয় ঘটাচ্ছে। হুমকির মুখে পরেছে পরিবেশ ও জন জীবন। সরকারী আইন কানুনের তোয়াক্কা না করে দিনের পর দিন প্রশাসনের চোখের সামনেই চালাচ্ছে এসব অবৈধ ইটভাটা।

    তাও আবার টিনের ড্রাম চুন্মী দ্বারা, ইট ভাটা মালিকগন তাদের বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছেন এমন কিছু ইট ভাটা রয়েছে বরিশাল বিভাগের বিভিন্ন এলাকায় এর মধ্যে রয়েছে মেসার্স মৃধা ব্রিক্স রায়বালা, আমতলী, চাউলা বাজার মধুমিয়ার ব্রিকফিল্ড হাজার টাকার বান, আমতলী  পটুয়াখালী জেলার বাউফল রয়েছেন হানিফউল্লাহ ব্রীকর্স কোম্পানি লিঃ, কমলাপুর ইউনিয়ন মো,রফিকের ব্রিকফিল্ড। সরেজমিন ঘুড়ে দেখাযায়,এসব অবৈধ ইটভাটা যার পাশেই রয়েছে হাই স্কুল, সরকারি প্রাইমেরী স্কুল এবং বাজার ও রয়েছে স্কুলের কোমলমতি শিশুদের আনাগোনা। চারদিকে সবুজ অরণ্য আর ছিমছাম সাজানো গোছানো পরিবেশ প্রকৃতি।

    আর জনজীবনকে ধংবস করতে এসব ভাটার মালিকরা পেতে বসেছে অবৈধ এই  ইটভাটা। যার বিষাক্ত কালো ধোঁয়া ও বর্জ্যে বিপন্ন হচ্ছে পরিবেশ উজাড় করে ফেলছে বন। এতে পুড়ে যাচ্ছে ভাটার আশপাশের বসতি ঘর-বাড়ী। হুমকির মুখে রয়েছে নদী ও গ্রামীণ জনপদের জনস্বাস্থ্য। এ ছাড়াও দিনবা দিন বিনষ্ট হচ্ছে গাছপালাসহ নানা ফসলি জমি। ভীষণ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে গ্রামের খেটে খাওয়া কৃষক।

    পরিবেশ বিশেষজ্ঞদের মতে, ইটভাটা সৃষ্ট দূষণে বয়স্ক ও শিশুরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ইটভাটার কালো ধোঁয়ার কারণে মানুষের ফুসফুসের সমস্যা, শ্বাসকষ্ট -জনিত নানা রোগ বৃদ্ধি পাচ্ছে। উল্লেখ্য, ইটভাটাগুলোতে অবাধে পোড়ানো হচ্ছে জ্বালানি কাঠ। এতে উজাড় হচ্ছে বনের গাছপালা। অধিকাংশ ইটভাটায় পরিবেশগত ছাড়পত্র ও জেলা প্রশাসনের লাইসেন্স ছাড়াই চলছে ইট পোড়ানো কার্যক্রম।

    আবার ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন নিয়ন্ত্রণ আইনে (২০১৩) নিষেধ থাকা সত্ত্বেও বেশির ভাগ ভাটাই স্থাপন করা হয়েছে বা হচ্ছে লোকালয় তথা মানুষের বসতবাড়ি, গ্রাম-গঞ্জ, শহর-বন্দরের অতি সন্নিকটে, কৃষি জমিতে, নদীর তীরে। ইটভাটায় ব্যবহার করা হচ্ছে আবাদি জমির উপরিভাগ, নদীর তীরের মাটি, যা , ইট তৈরির জন্য ভাটা স্থাপনসংক্রান্ত একটি আইন দেশে কার্যকর রয়েছে।

    আইনটির নাম ‘ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন’। সেই আইন অনুযায়ী  লাইসেন্স ছাড়া ইট তৈরি করার সুযোগ নেই। লাইসেন্স ছাড়া কেউ ইটভাটা চালু করলে  শাস্তির ব্যবস্থা রয়েছে। এ জন্য অনধিক এক বছরের কারাদণ্ড বা অনধিক পাঁচ  লাখ টাকা জরিমানা অথবা দুই দণ্ডই হতে পারে।

    তবু্ও আইনে সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। সম্প্রতি নীতি নির্ধারকদের অবহেলা ও উদাসীনতার কারণে আমাদের গ্রামবাংলার গৌরব উজ্জ্বল সৌন্দর্য হারাতে বসেছে বলে মনে করেন বিভিন্ন এলাকার জনসাধারণ। গ্রামীণ জনপদের অপার সৌন্দর্য রক্ষায় দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জোড় দাবী জানিয়েছে এসব  এলাকার সাধারণ জনগন।।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ