• রাজশাহী বিভাগ

    বেড়া উপজেলা চেয়ারম্যান রেজাউল হক বাবু’র নামে অপপ্রচারে: এলাকাবাসীর নিন্দা

      প্রতিনিধি ৩১ অক্টোবর ২০২২ , ৬:০৮:০৮ প্রিন্ট সংস্করণ

    আলমগীর হুসাইন অর্থঃ

    পাবনা বেড়া উপজেলা পরিষদের সফল নির্বাচিত চেয়ারম্যান ও আমিনপুর থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল হক বাবু কে নিয়ে দু-একটি অনলাইন নিউজ পোর্টালে দুশ্চরিত্র হীন নারীকে নিয়ে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। এতে স্থানীয় আওয়ামী লীগের অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মী ও এলাকাবাসী এই অপপ্রচারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন। এলাকাবাসী জানান, আমিনপুর থানাধীন নাটিয়াবাড়ি বসন্তপুর গ্রামের আঙ্গুরী খাতুন নামের যে চরিত্রহীন মহিলা উপজেলা চেয়ারম্যান বাবুর নামে যে মিথ্যা অপবাদ দিচ্ছেন তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। ঐ মহিলা আজ থেকে প্রায় ১২ বছর আগে ঢাকাতে বসবাস করেন।

    এ বিষয়ে নাটিয়াবাড়ি বসন্তপুর গ্রামের ইউপি সদস্য নজির ইসলাম এবং ঐ গ্রামের জুলহাস শেখ, হাসমত আলী সহ আরো অনেকের সাথে কথা হলে তারা জানান, আঙ্গুরী নামের ঐ মহিলা চরিত্রহীন তা এলাকাবাসী সবাই জানে। আমরা যতদূর জানি আঙ্গুরী নগরবাড়ী এলাকার রোস্তম ও সোহান নামের দুই ব্যাক্তির কাছে কিছু টাকা পেতেন। আঙ্গুরী তার টাকা তুলে দেওয়ার জন্য উপজেলা চেয়ারম্যান বাবুর শরণাপন্ন হন। সম্প্রতি শালিশী বৈঠকের মাধ্যমে কিছু টাকা বাবু তাদের নিকট হতে তুলে আঙ্গুরী কে দিয়েছেন বলে আমরা জানি। সেই সুবাদে বাবু ভাইয়ের সাথে আঙ্গুরীর একদিন কথা হয়

    কিন্তু গত সেপ্টেম্বর মাসের ১৫ তারিখে তার মেয়ে রুপা তাদের নিজ বাস বাড়িতে কারণবশত আত্মহত্যা করে। এ ঘটনায় ঢাকা দক্ষিনখান থানায় অপমৃত্যুর বিষয়ে আঙ্গুরী খাতুন একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। এসকল বিষয় এসকল বিষয় অনলাইনে দেখে আমরাতো হতভম্ব। থানা সূত্রে জানা যায়, রুপা নামের মেয়েটির মৃত্যুর কারন স্বাভাবিকভাবে আত্মহত্যা। অথচ এ ঘটনার প্রায় দেড় মাস পরে এসে বেড়া উপজেলা চেয়ারম্যান রেজাউল হক বাবুর বিরুদ্ধে নানা অপপ্রচার চালাচ্ছেন এই চরিত্রহীন আঙ্গুরী খাতুন অথচ তার মেয়ে মারা যাওয়ার পরও শফি নামের এক ব্যাক্তির নিকট থেকে বাবু চেয়ারম্যান ৭ হাজার টাকা তুলে দিয়েছেন বলে জানা যায়।

    অনলাইন পোর্টালে ভিত্তিহীন সংবাদ প্রচারের প্রসঙ্গে উপজেলা চেয়ারম্যান রেজাউল হক বাবু জানান, রাজনীতি করলে পক্ষ-বিপক্ষ থাকবেই। আর একদল কুচক্রী মহল আঙ্গুরী নামের মহিলাকে উস্কানি দিয়ে আমার বিরুদ্ধে ঘৃন্য অপপ্রচার চালাচ্ছে। তার মেয়ে কবে কখন কিভাবে মারা গেছে তাও আমি জানি না। আর মারা যাবার দেড় মাস পরে এসে আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ আসে কি করে? এটা আমার বোধগম্য নয়। তবে যাহারা আমার বিরুদ্ধে এই অপপ্রচার চালিয়ে সমাজে আমার মানহীন ও হেও করার চেষ্টায় লিপ্ত আছে আমি তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা নিব। আমি আমার বিরুদ্ধে করা মিথ্যা ভিত্তিহীন সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই ।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ