• Uncategorized

    বিবাহ শাদীর ব্যাপারে ইচ্ছার ব্যাপারে কি বলে আল কুরআন?

      প্রতিনিধি ১৩ মার্চ ২০২৩ , ৬:১৫:৫০ প্রিন্ট সংস্করণ

    মু. নুমান রিডার নদভী আলোকিত ইসলাম ডেস্ক

    বিবাহ দেয়ার আগে মা বাবা এবং বড় ভাইয়ের জন্য করণীয় সুন্দর যুগোপযোগী যুগান্তকারী বিশ্লেষন।

    আল্লাহ রব্বুল আলামীন বলেছেনঃ
    «هُنَّ لِبَاسٌ لَّكُمْ وَأَنتُمْ لِبَاسٌ لَّهُنَّ»
    অর্থঃ ❝মেয়েরা তোমাদের পোশাক আর ছেলেরা মেয়েদের পোশাক❞[ তথ্য সূত্র পবিত্র আল-কুরআন‚ সুরা বাকারা আয়াত নং১৮৭]

    কুরআনে এভাবেই ইঙ্গিত দিয়ে আল্লাহ তা’আলা বলেছেন যে‚ দেখো! যখন তোমরা ছোট্ট ছিলে তখন তোমার মা বাবাই তোমার জন্য পোশাকাদি পছন্দ করে দিতো যে‚ এটাই আমার ছেলের জন্য পারফেক্ট হবে‚ এই পোশাকটাই আমার মেয়ের জন্য সবচেয়ে বেষ্ট হবে।

    এখন তুমি কি ছোট্ট? অবশ্যই না! তাহলে এখন কি বাবা মায়ের পছন্দ মতো পোশাক ক্রয় করো? অবশ্যই না! কারণ তুমি তখন ছোট্ট ছিলে, বুঝতে না তাই অন্য কেউ তোমার’টা পছন্দ করে দিতো‚ কিন্তু এখন তুমি সব বুঝতে শিখেছো। মহান আল্লাহতা’আলা তোমার মধ্যে ভালোমন্দ বুঝার মতো একটা যোগ্যতা দিয়ে দিয়েছেন৷ নিজের মধ্যে একটা নতুনত্ব ফিল করছে‚ যার বলে তুমি এখন নিজে নিজেই সত্য চিনতে শিখেছো, নিজের মূল্য বুঝতে শিখেছো। সাবালক হওয়ার পর থেকে এখন আর তুমি অন্যের অধিনে নিয়ন্ত্রিত না। যার ফলে নিজের ভাল্লাগাটাই কুরআন সুন্নাহ বিবেচ্য পরবর্তী সবার উপরে অগ্রাধিকার পেতে চাই!

    আর হ্যাঁ! এটাই আল্লাহ পাকের ন্যায়সঙ্গত ঘোষণা‚ যা বিবেকবানদের ভাবিয়ে তুলে। সুতরাং তার শ্রেষ্ঠবাণী থেকে মীমাংসিত বিষয়টিকে খুব সহজেই নতুন ভাবে গ্রহণ করতে পারলে পরিবারের মধ্যে আর অশান্তি বিরাজ করবে না‚ বরং পুরো ঘরটাই নূর আলান নূর হয়ে যাবে। জীবনভর প্রস্ফুটিত তারকার আলোকচ্ছটায় সব প্রমোদিত হবে আর সেটাই মঙ্গলজনক হবে বলে আমার বিশ্বাস‚ এখন বিষয়টি পরিবারকে বুঝতে হবে‚ না বুঝলে বুঝাইতে হবে৷

    কাজেই একজন ছেলে নিজের পোশাক হিসেবে তার সেই প্রিয় বস্তুটিকেই গ্রহণ করবে‚ যাকে সে অন্যের বাধ্যবাধকতা ছাড়াই মন থেকে পছন্দ করেছে।

    ঠিক একজন মেয়েও নিজের পোশাক হিসেবে তার সেই প্রিয় বস্তুটাকেই গ্রহণ করবে‚ যাকে সে অন্যের বাধ্যবাধকতা ছাড়াই মন থেকে পছন্দ করেছে।

    আর এমনটিই আল্লাহ পাক এ আয়াতের মধ্যমে বুঝিয়েছেন৷ মহান আল্লাহ আমাদের জন্য বিষয়টা সহজ করে দিক। আমিন।

    তবে সত্যি কথা কি জানেন! বর্তমান যুগের মা বাবাদের ইসলামের মৌলিক ধারণাগুলো অজানা থাকার কারণে ফেৎনাগুলো প্রকট আকারে বিস্তৃত হচ্ছে। এমন কি শেষ পর্যন্ত দেখা যায় যে হৃদয়ে থাকে, সে ভাগ্যে থাকে না। পরকালে বাবা মা সহ অভিভাবকরা কোনো ভাবেই এর দায় এড়াতে পারবে না।

    তাই আসুন সমাজের প্রচলিত গতেবাধা নীতির মধ্যে না ডুবে সাঁতার জানলে গন্তব্য তীরে যাই।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ