• Uncategorized

    বিবাহের প্রমান উপস্থাপনে ব্যর্থ হয়ে বারংবার কসম খাওয়া ও গজবের ভীতিপ্রদর্শন!

      প্রতিনিধি ৮ এপ্রিল ২০২১ , ২:১৭:২৭ প্রিন্ট সংস্করণ

    বিবাহের প্রমান উপস্থাপনে ব্যর্থ হয়ে বারংবার কসম খাওয়া ও গজবের ভীতিপ্রদর্শন! আজকে আপনি লাইভে এসেও আপনার অস্পষ্টতা স্পষ্ট করতে পারলেন না। যে, কেন আপনি স্ব জ্ঞানে আপনার কথিত দ্বিতীয় স্ত্রীর নাম না লিখে আমেনা তৈয়্যেবার নাম লিখেছেন!আপনি যখন রিসোর্টে নাম রেজিষ্ট্রেশন করেছেন তখন তো আপনি এবং আপনার কথিত দ্বিতীয় স্ত্রী ই ছিলো তাহলে কোন আজাবের ভয়ে আপনি সামনে থাকা কথিত দ্বিতীয় স্ত্রী র নাম লিখতে পারেন নি!

    অথচ লাইভে এসে বারংবার কসম করছেন এবং গজবের ভীতি প্রদর্শন করছেন, আপনার তো কসম খাওয়ার কোন প্রয়োজন-ই নেই যদি আপনার বিবাহ সত্যি হয়ে থাকে এবং বিবাহের রেজিষ্ট্রেশন কপি আপনি শো করতে পারেন। সেটা তো আর করতে পারবেন বলে মনে হয় না !! কারণ বিবাহ তো করেছেন মানবিক ভাবে আকাশ বাতাস স্বাক্ষী রেখে সেখানে রেজিষ্ট্রেশন কপি আশাকরা আর আকাশ কুসুম কল্পনা করা সমান! কারণ আপনার কথিত দ্বিতীয় স্ত্রী যদি আপনার বিবাহিত স্ত্রী-ই হতো তাহলে প্রথম স্ত্রীকে ফোন দিয়ে এটা বলতে হতোনা যে উনি জাফর শহীদুল ভাইয়ের স্ত্রী! আর তুমি মাঝখান দিয়ে অন্য কিছু মনে করো না।

    আপনি লাইভে এটাও বললেন যে প্রচলিত আইন অনুযায়ী ও বহু বিবাহ করতে পারবেন, তখন তার পাশের আইনটি কি আপনি পড়েননি?
    বিবাহ রেজিষ্ট্রেশন না করার শাস্তিঃ
    মুসলিম বিবাহ ও তালাক নিবন্ধন আইন, ১৯৭৪ ধারা ৫(৪) অনুযায়ী, বিবাহ সম্পন্ন হওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে এই আইন অনুযায়ী নিবন্ধিত না হলে
    স্বামী ২ বছর কারাদণ্ড অথবা ৩ হাজার টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবে

    আপনার তো দ্বিতীয় বিবাহ করতে হলেও প্রচলিত যে আইন আছে এটাও একটু পড়ার প্রয়োজন ছিল
    মুসলিম পারিবারিক আইন, ১৯৬১ ধারা ৬(৫) অনুযায়ী,
    সালিশ পরিষদের অনুমতি ছাড়া দ্বিতীয় (বহু) বিবাহ করলে
    ক- বর্তমান স্ত্রীদের সম্পুর্ণ দেনমোহর তাৎক্ষণিক পরিশোধ করতে বাধ্য থাকবে এবং
    খ- ১ বছর বিনাশ্রম কারাদন্ড বা ১০ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবে

    হয়তো আপনি পড়েছেন কিন্তু আইনের কাছে আত্মসমর্পণ করে কুল্লামার কসম খাওয়া ছাড়া আপনার হাতে আর দ্বিতীয় অস্ত্র আছে বলে মনে হয়নি, আপনার প্রতি অনুরোধ থাকবে বারংবার কসম না খেয়ে নিবন্ধন টা ঠিকঠাক ভাবে করে নিবেন, যদিও দুইবছরের সংসার জীবনে ইসলামী আন্দোলনের নেতা হিসাবে কঠোর জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি অবলম্বন করেছেন!

    আর য়ারা নিজেদেরকে রুহানি সন্তান হিসাবে দাবি করে কল রেকর্ড কে এডিটের চরম উৎকর্ষতা বলে বুলি আওড়াচ্ছেন তাদের ব্যপারেও রুহানি বাবা লাইভ এসে বলে গিয়েছেন এ পর্যন্ত যতগুলো কল রেকর্ড প্রকাশিত হয়েছে সবগুলো আমার এবং আমার পরিবারের বাকস্বাধীনতার প্রতিফলন।

    লেখকঃ- তুহিন রেজা
    ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক
    বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় সংসদ।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ