• গণমাধ্যম

    বিএমএসএফ মফস্বলের সাংবাদিকদের জন্য উৎসর্গ-আহমেদ আবু জাফর

      প্রতিনিধি ২২ জানুয়ারি ২০২২ , ৬:২৬:৫৯ প্রিন্ট সংস্করণ

    ‘হয়তোবা আমি বেঁচে নাও থাকতে পারি’। যেভাবে আমার বিরুদ্ধে একের পর এক মনগড়া, মিথ্যা, নাটক ও মুখরোচক রম্যরচনা রটানো হচ্ছে তাতে ভাগ্যে কি আছে জানিনা! তবে আমার প্রাণপ্রিয় বিএমএসএফ’র সহযোদ্ধা বন্ধুদের উদ্দেশ্যে এতটুকু বলে রাখতে চাই- ‘যে উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম গড়ে তোলা হযেছিল; তা একজন রাক্ষুসে সাংবাদিক সাঈদুর রহমান রিমনের কারণে ধবংস হতে পারেনা’। বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম ” মফস্বলে কাজ করা সাংবাদিকদের জন্য প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল; এটি আপনাদের সংগঠন। আপনারা জেনে রাখুন; আমার বিরুদ্ধে এবং বিএমএসএফকে ঘিরে গভীর ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। আমার এবং বিএমএসএফ’র যেকোন ধরনের সমস্যা ও হয়রানীর জন্য একমাত্র সাঈদুর রহমান রিমন দায়ী।

    আপনাদের উদ্দেশ্যে আজ প্রায় ৩ মাস ধৈর্য ধারণ করে শেষ পর্যন্ত লিখতে বাধ্য হলাম। আপনারা যারা আমাকে এবং বিএমএসএফকে ভালবাসেন তারা লেখাটি কপি করে পোষ্ট/শেয়ার করে সকলকে জানিয়ে দিন। কারা বিএমএসএফকে ধবংসের জন্য উঠেপড়ে লেগেছে।

    আপনাদের অবগতির জন্য জানাচ্ছি, সংগঠনের মাঝে লুকিয়ে থাকা কিছু জামাত-বিএনপিপন্থী সাংবাদিক হাতে নিয়ে বিগত ৩/৪মাস ধরে সংগঠনের সদস্যদের মাঝে নানামুখী বিতর্ক, চরিত্রহরণ, হয়রাণী,চাকরীচ্যুতির ভয়ভীতি, প্রভাব সহ নানা অপতৎপড়তা চালিয়ে যাচ্ছেন এই সাঈদুর রহমান রিমন। তিনি কিছু সদস্যকে বিপদগ্রস্থ করতে উচু পরিষদ গঠন করে সংগঠনের মাঝে বিব্রতকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করেন। ক্ষমতালোভী, হিংসুটে, মদ্রপ এ ব্যক্তি খোদ রাজধানীর ৬টি সংগঠনের চেয়ার ভাগাতে ব্যর্থ হয়ে ঐ সব সংগঠনের মাঝে বিরোধ সৃষ্টি করে সুকৌশলে বিএমএসএফ’র মাঝে অনুপ্রবেশ করে সিনিয়র সহ-সভাপতি পদটি দখলে নেন। এতেও তার খায়েশ না মিটলে তিনি আরো বড় পদের মোহে সংগঠনের মাঝে বিতর্ক শুরু করে বিগত ৩/৪মাসে চরম সৃষ্টি করেই চলছেন। ইতিমধ্যে তার দ্বারা চরিত্রহরণের প্রকোপে বেশ ক’জন নারী-পুরুষ সদস্য সংগঠন ছেড়ে গেছেন। বহু শাখা বন্ধ হবার উপক্রম। বিএমএসএফ জামাতি চক্রান্তের কবলে পড়ে এবছরের বিজয় শোভাযাত্রাটিও উদযাপিত হয়নি।

    তবে আমি মোটেই বিব্রত নই; যেখানে সারাদেশে প্রতিনিয়ত সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মিথ্যা চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, ধর্ষণ, অস্ত্রবাজি, চাঁদাবাজিসহ হত্যা মামলাও দায়ের হচ্ছে। সেখানে আমি সাংবাদিকদের পক্ষে নেতৃত্ব দিতে গিয়ে আমাকে নারীর দালাল সাজানোটা যৎসামান্য।

    জনাব সাঈদুর রহমান রিমন আপনি গত দু’মাস আগে ফেসবুকে লিখেছিলেন আমি নাকি এইট পাস। আমি হকার ছিলাম কখনও সাংবাদিকতা করিনি। আপনার অনুসন্ধানে পেয়েছেন আমি নাকি ৪০ মক্ষীরানির রাজা, দুই ডজন মানে ২৪ মামলার আসামী; সংগঠনের কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করে বাড়ি দালান করেছি; মনগড়া আরো কত কি? যেখানে আমার বিরুদ্ধে সারাদেশে একটা জিডিও নাই, তাহলে কোথায় পেলেন মামলাগুলো? এটা আপনার কেমন অনুসন্ধান!

    ছি: ধিক্কার জানাই আপনার প্রতি। আপনার মত একটা খন্ডচরিত্রের মানুষকে। যার দিনের শুরুটা হয় মদ আর শেষটা আর নাই বা বললাম। চেহারাটা যেমন কুৎসিত, তার চেয়ে ভাবছিলাম ভেতরটা আরো খারাপ।

    আমার ভুল ছিলো- আপনার মত একজন কর্দমাক্ত, মদ্রপ মানুষকে সংগঠনের সাথে জড়ানো। পান থেকে চুন খসলেই বারবার পদত্যাগ করার পরও আপনাকে বিদায় না জানানোটাও ছিলো আমার চরম বোকামি। মনে আছেতো, যেখানে আপনিসহ আপনার সম্পাদক নঈম নিজামসহ ১১জনের বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম আদালতে মামলা হয়েছিল; সেখানে আপনার পুরানো সংগঠনগুলো টুশব্দটিও করেনি; বিএমএসএফ সারাদেশে প্রতিবাদে ঝড় তুলেছিল। আর সেখানে আপনি সংগঠনের মাঝে থেকে সদস্যদের মাঝে চরম বিতর্ক বাজিয়ে বিএমএসএফকে ক্ষতিগ্রস্থ করতে মরিয়া উঠেছেন। সংগঠন এবং সাংবাদিকদের প্রতি আপনার বিচারের ভার মহান রাব্বুল আলামিন এবং সারাদেশের সদস্যদের কাছে রেখে দিলাম।

    আল্লাহ হাফেজ

    যদি লক্ষ্য থাকে অটুট তবে দেখা হবে বিজয়ে; জয়বাংলা।

    আহমেদ আবু জাফর
    প্রতিষ্ঠাতা ও সাধারণ সম্পাদক
    বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম
    কেন্দ্রীয় কমিটি
    ১১ পুরানাপল্টন, ঢাকা।
    ০১৭১২৩০৬৫০১।
    ২২ জানুয়ারী ২০২২ খ্রী:

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ