বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম-বিএমএসএফ'র কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে বহিস্কৃত ৭জনকে সংগঠনের নাম,লোগো এবং পদবী ব্যবহার করায় লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে। বুধবার রাজধানীর জিপিও থেকে ডাকযোগে তাদের নিকট এ নোটিশ পাঠানো হয়েছে। সংগঠনের জাতীয় পরিষদের প্রধান সমন্বয়কারী ও বিএমএসএফ'র ট্টাষ্টি আহমেদ আবু জাফরের পক্ষে এ্যাড. মো: মাইনুল ইসলাম এ নোটিশ পাঠান।

নোটিশ গৃহীতারা হলেন শরীয়তপুরের শহীদুল ইসলাম পাইলট, মানিকগঞ্জের সাঈদুর রহমান রিমন, ভোলার এমএ আকরাম, চট্টগ্রামের সোহাগ আরেফিন, পিরোজপুরের এনামুল কবির সোহেল, গাজীপুরের শারমিন সুলতানা মিতু, ককুমিল্লার জুয়েল খন্দকার ও ঝালকাঠির রিয়াজুল ইসলাম বাচ্চু। এদের সাথে সংগঠনের সদস্যদের কোনরুপ যোগাযোগ না রাখতে অনুরোধ জানানো হয়েছে।

সংগঠনের লোগো এবং নিবন্ধন ও কপিরাইট রেজিস্ট্রেশন থাকায় ইতিপূর্বে পত্রিকা ও সামাজিক যোগাযোগ মাধমে সকলকে সতর্ক করা হয়েছে। বিএমএসএফ জাতীয় পরিষদের প্রধান সমন্বয়ক আহমেদ আবু জাফর তাদেরকে সংগঠন বিরোধী অবৈধ কর্মকান্ড না করার নির্দেশনা দিয়েছেন।

নোটিশের পর উক্ত ব্যক্তিরা সংগঠনের নাম লোগো ব্যবহার করে কোন সভা সমাবেশ, বিবৃতি, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কোন স্ট্যটাস দেন তাহলে তাহার বা তাহাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান।

বিএমএসএফ'র পক্ষ থেকে বলা হয়েছর সংগঠন ও সাংবাদিকদের মাঝে কেউ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করলে তাদেরকে কঠোর হস্তে দমন করা হবে। ইতিমধ্যে বহিস্কৃতরা সংগঠনের বেশকিছু নেতাকর্মীকে চাকরীচ্যুতির ভয়ভীতি, নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এবং অখ্যাত পত্রিকায় মনগড়া, সবৈব মিথ্যা-বানোয়াট অপপ্রচার ও চরিত্রহরণ করে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দন্ডনীয় অপরাধ করে মানহানী চালাচ্ছেন। তারা তাদের এহেন কর্মকান্ড থেকে বিরত না থাকলে তাদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট ধারায় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলেও জানানো হয়।

উল্লেখ্য, গত ২৫ জানুয়ারী সাধারণ সভা চলাকালে হামলাসহ গুরুতর নানা অভিযোগে উল্লেখিত ব্যক্তিদেরকে সংগঠন থেকে বহিস্কার করা হয়।