• Uncategorized

    বালিয়াডাঙ্গীতে সরকারি খাস জমি দখলের হিড়িক 

      প্রতিনিধি ২ মার্চ ২০২১ , ৫:১৯:৪৩ প্রিন্ট সংস্করণ

    ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার বড় পলালবাড়ী  বেলতলা দাখিল মাদ্রাসা নামক তীরনই নদীর তীরের সরকারি খাস জমি দখলের হিড়িক পড়েছে । অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে বড় পলাশ বাড়ী দাখিল মাদ্রাসা কমিটির সভাপতি এমএ গফুর সরকারি জমি দখল করে ঘর নির্মাণ করছেন । এদিকে খাস জমি দখলের বিষয়ে অভিযোগকারী মানিক বলেন আমরা এখানকার স্থায়ী বাসিন্দা অনেক দিন ধরে এখানে ছোট একটি ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান চালাচ্ছি আমরা গরীব মানুষ এখানে সামান্য আয় করে পরিবার চালায় ,আমার এই সামান্য আশ্রয় টুকুও তারা কেড়ে নিতে চায় । আমার ঘরের পিছনে নদীর তীরে পিলার স্থাপন করে ঘর নির্মাণ করছেন গফুর সাহেব । আমি ঘর নির্মাণ করতে বাধা দিলে আমাকে বিভিন্ন ধরনের হুমকি ধামকি দিচ্ছেন তারা । এদিকে একই সুরে অভিযোগ করে বলেন আলমগীর নামের আরেক ব্যাবসায়ি , তিনি বলেন আমরা সরকারের জমিতে দীর্ঘ দিন ধরে ছোট একটা দোকান করে জিবিকা নির্বাহ করছি কিন্তু গফুর সাহেব আমাদের উচ্ছেদ করে দিতে উঠে পড়ে লেগেছে । এছাড়াও সেখানে অনেক দোকানদারা খাস জমি দখলের অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করেন । খাস জমি দখলের অভিযোগের ভিত্তিতে মুঠোফোনে এম এ গফুরের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন আমার উপর আনিত সকল অভিযোগ মিথ্যা আমি মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা সরকারের জমিতে আমার এমনিতেই অধিকার আছে আমি সরকারের কাছে ১ একর জমি বরাদ্দ পায় আমি তা নেয়নি , সরকারি জমিটি প্রতিষ্ঠানের দখলে রয়েছে আমি দখল করবো কেন । আমার পরিবারের নামে ৩ টা প্রতিষ্ঠান রয়েছে । তাছাড়া আমি ৩০ লক্ষ টাকা খরচ করে এতিমখানার জন্য সেখানে ঘর নির্মাণ করছিলাম সেখান থেকে যা ভাড়া আসবে তা দিয়ে এতিমখানা ভালো চলবে ।  এ নিয়ে অনেকের সমস্যা আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়ে বেড়াচ্ছে । যদিও ৯০ সালে জমিগুলো আমি কিনেছিলাম কিন্তু এখন তো সেগুলো নদীতে বিলীন হয়ে গেছে তাই খাস জমিতে রুপান্তর হয়েছে , আমি আমার নিজের জন্য কিছুই করিনি যা করেছি সব প্রতিষ্ঠানের জন্য । তাছাড়া এসব বিষয় ইউএনও সাহেব জানে এবং আমাকে সমাঝোতার জন্য টেলিফোন করেছিলেন । এদিকে বড়পলাশ বাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলামের সাথে মুঠোফোনে কথা বললে তিনি বলেন এগুলো সব সরকারি খাস খতিয়ানের জমি আমি এ ব্যাপারে সব জানি কিছুদিন আগে কয়েকজন দোকানদারকে আমরাই বসিয়েছিলাম সেখানে । এখন সেখানে বড় মার্কেট হয়ে গেছে, মার্কেট প্রতিষ্ঠান সব কিছু খাস জমিতে রয়েছে , কিন্তু প্রতিষ্ঠানের জমি আলাদা খতিয়ানে রয়েছে ।  বিষয়টি নিয়ে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলী আসলাম জুয়েলের সাথে কথা বললে তিনি বলেন নদীটি এভাবে দখল হলে নদীর গতিপথ বদলে যাবে এবং ব্রীজটি হুমকির মুখে পড়বে । এদিকে ঠাকুরগাঁওয়ের জেলা প্রশাসক ডঃ কে এম কামরুজ্জামান সেলিমের সাথে মুঠোফোনে কথা বললে তিনি বলেন আমি বিষয়টি দেখছি এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো ।অবৈধভাবে ঘর নির্মাণ করার ফলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন স্থানীয়রা , পরবর্তীতে তেমন কোন সাড়া পাইনি বলে জানান তারা ।উল্লেখযোগ্য যে ঘর নির্মাণ করতে বাধা দিলে সংঘর্ষে আহত হয়ে সোহেল নামের ১ জন বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ