• অর্থনীতি

    বাজারে আগুন ক্রেতা-বিক্রেতার মাথায় হাত

      প্রতিনিধি ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২২ , ১২:৩৬:০১ প্রিন্ট সংস্করণ

    তৌকির আহমেদ:

    রাজশাহীতে বেড়েছে ডিম-সবজির দাম একদিনের ব্যবধানে রাজশাহীতে প্রায় ১০ টাকা বেড়েছে সব ধরনের সবজির দাম। সরবরাহ কমের অজুহাত দেখিয়ে বাড়ছে ডিম-মাছের দামও।
    শুক্রবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সকালে সাহেব বাজার কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা যায়, সব ধরনের সবজির দাম বেড়েছে। ৫০ টাকার নিচে কোনো সবজি নেই। বেশিরভাগ সবজিতে ১০ টাকা বেড়েছে। বাজার ঘুরে দেখা যায়, ফুলকপি ৭০ টাকা, বাঁধাকপি ৩০, টমেটো ১১০, করলা ৬০ ও গাজর ১৪০ টাকা কেজিতে বিক্রি হলেও শুক্রবার এসবে দাম বেড়েছে ১০ টাকা। এছাড়া বেগুন ৭০ টাক, ঢ্যাঁড়স ৬০, কাঁচামরিচ ৬০, আলু ২৫, ঝিঙা ৬০, মুলা ৪০, কাঁকরোল ৫০, মিষ্টিকুমড়া ৫০, পটল ৪০-৬০ টাক, শসা ৮০, ক্যাপসিকাম ৩৫০-৪০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। বাজারে পেঁয়াজ ৩৮-৪০ টাকা, রসুন ১২০ টাকা ও ২০ টাকা বেড়ে আদা বিক্রি হচ্ছে ১২০-১৪০ টাকা।

    সবুর আলী নামের এক ক্রেতা জানান, প্রতি সপ্তাহে বাজারে কোনো না কোনো পণ্যের দাম বাড়ছে। ৫০ টাকার সাবান-সোডার দাম পর্যন্ত এখন ৫০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। অথচ চাকরিজীবীদের বেতন বৃদ্ধি পায়নি।সবজি ব্যবসায়ী জামাল জানান, বাজারে শীতের সবজি উঠতে শুরু করেছে। দুই এক সপ্তাহের মধ্যেই সবজির দাম কমবে। শীতের শুরুতে সবজির দাম এমনটাই থাকে দাবি এ ব্যবসায়ীর।এদিকে সপ্তাহের ব্যবধানে আবারও ডিমের দাম বেড়েছে ২ টাকা। ব্রয়লারের লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে হালি প্রতি ৪৬ টাক আর সাদা ডিম বিক্রি হচ্ছে ৪২ টাকায়। যা দুই দিন আগেও ছিল যথাক্রমে ৪৪ ও ৪০ টাকা হালি।

    স্থানীয় মুদির দোকানে সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৯০ টাকা আর সরিষার তেল ২২৫ টাকা লিটার, চিনি ৮৮ টাকা কেজি, জিরা ৫০০ টাকা, মসুরের ডাল ১২০, বুটের ডাল ৯০, মুগের ডাল ১২০-১৪০ টাকা। এছাড়া আউশ চাল ৬০ টাকা কেজি, আটাশ চাল ৫৮-৬০ টাকা, মিনিকেট ৭০-৭২, নাজিরশাল ৭৮-৮০, জিরাশাল ৭০-৭২ টাকা কেজি আর আতপ চাল বিক্রি হচ্ছে ১১০-১২০ টাকা।

    মাছের মধ্যে মাঝারি আকারের রুই মাছ বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ টাকা, বড় আকারের রুই ৪৫০ টাকা কেজি, বড় আকারের কাতল ৩৫০ ও মাঝারি আকারের কেজি ২৫০ টাকা, সিলভার কাপ ১৮০-২০০ টাকা, বোয়াল ৬৫০-৭০০ টাকা, পাবদা ৪০০ টাকা, টেংরা ৭০০ টাকা, চিংড়ি ৬০০ টাকা কেজি। বড় ইলিশ এক হাজার ৩০০ টাকা, ছোট ইলিশ ৭০০ টাকা। এছাড়া বাছা মাছের কেজি মাছ ৮০০ টাকা, কই ২০০ টাকা ও লইট্টা মাছ বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকায়।

    সাহেব বাজার মাছের আড়তের মাছ ব্যবসায়ী জামাল জানান, পুকুর থেকে মাছ চাষিরা মাছ তুলছে কম। তাছাড়া মাছের খাবারের দাম বৃদ্ধির কথা বলে তারা বেশি দামে চাষ করা মাছ বিক্রি করছেন।মাংসের বাজারে দেশি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৪২০ টাকা কেজি, সোনালী মুরগি ২৯০ এবং ব্রয়লার বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকায়। গরুর মাংসের কেজি ৬৫০-৬৬০ টাকা এবং খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ৮০০-৮৫০ টাকায়।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ