মোঃ মহসিন মীর বাউফল প্রতিনিধি:
পটুয়াখালীর বাউফলে একটি সংখ্যালঘু পরিবারকে বিচারের নামে টাকা আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। সংখ্যালঘু পরিবারের ছেলের সাথে মুসলিম মেয়ের প্রেমকে কেন্দ্র করে ওই শালিস বসে। গত রবিবার সকাল ১১টার দিকে উপজেলার কেশবপুর ইউপির ৫নং ওয়ার্ডে ওই ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, সংখ্যালঘু পরিবারের সন্তান হৃদয় দাস ঢাকাস্থ একটি মুসলিম পরিবারের মেয়ের সাথ প্রেমের সম্পর্কে জড়ায়। গত ২৮তারিখ ওই মেয়েকে নিয়ে হৃদয় দাস পালিয়ে কেশবপুরের তার মামা বাড়িতে এসে অশ্রয় নেন। ঘটনা টের পেয়ে স্থানীয় লোকজন জড়ো হতে থাকে । পরে ঘটনা জানাজানি হলে ৫নং ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি মেম্বর পলাশ প্রেমিকা মেয়টিকে স্থানীয় মহিলা চৌকিদার মর্জিনা বেগমের বাড়িতে নিয়ে হেফাজতে রাখেন। পরে মেয়ের পরিবারকে খবর দিলে তাদের উপস্থিতে পরের দিন মিমাংশার জন্য সংরক্ষিত নারী সদস্য কাকলি বেগম, সাবেক ইউপি সদস্য পলাশ, ইউপি সদস্য আসাদুল হক জুয়েল, ইব্রাহীম মাতুব্বর ও ভারপ্রাপ্ত চেয়াম্যান শাহজাহান গাজীসহ অরও কয়েকজন গন্যমান্য ব্যাক্তি শালিস বসেন। শালিসরা উভয় পক্ষের কাছ থেকে ২০হাজার করে মোট ৪০হাজার টাকা জরিমানা আদায় করে মেয়েকে তার বাবা কাছে ফেরৎ দিয়ে দেন। এসময় তাদের কাছ থেকে একটি সাদা স্ট্যাম্পে সই স্বাক্ষর রাখা হয় বলেও অভিযোগ করেন ছেলে ও মেয়ে পরিবার। ছেলে হৃদয় দাসের মামা তপন মাঝি বলেন, ‘শালিসরা আমাকে ও মেয়ের বাবাকে ২০হাজার করে মোট ৪০হাজার টাকা জরিমানা ধার্য করে। আমি ভয়ে তাৎক্ষণিক সুদের উপর টাকা এনে তাদের ধার্যকৃত জরিমানার টাকা পরিষোধ করি। মেয়ের বাবাও একই পরিমান টাকা পরিষোধ করে।
মেয়ের বাবা মোকসেদুর রহমান বলেন, ‘আমার মেয়ে গেছে মেয়ে পেয়েছি। টাকা পয়সা যা গেছে যাক। টাকা নেয়ার কথা স্বীকার করে ইব্রাহী মাতুব্বর বলেন, ‘আপনারা ছেলে ও মেয়ে পক্ষের লোকজনের কাছে যা শুনেছেন তা মিথ্যা নয়। অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, স্থানীয় মেম্বার চেয়ারম্যান থাকতে আমরা কিভাবে অভিযুক্ত হই।’ তবে অভিযোগ অশ্বীকার করে সংরক্ষিত মহিলা সদস্য কাকলী বেগম বলেন, ‘আমি শালিসের সময় ছিলাম তবে টাকা পয়সার বিষয়ে কিছু জানি না।’কেশবপুর ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান গাজী বলেন, ‘শালিসের শেষ দিকে আমাকে ডাকা হয়েছে। আমি এসে ছেলে ও মেয়েকে তাদের পরিবারের কাছে ফেরৎ দিয়ে চলে এসেছি। টাকা পয়সার বিষয়ে আমি কিছু জানি না।
এব্যপারে বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এটিএম আরিচুল হক বলেন, ‘স্থানীয় শালিসদের জরিমানা আদায়ের কোন বিধান নেই।’
E-mil: dailyalokito71sangbad@gmail.com
@বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোক চিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বে-আইনি।
Copyright © 2024 alokito71sangbad. All rights reserved.