• আইন ও আদালত

    বাউফলে মৃত গরু বিক্রি দায়ে গ্রেপ্তার-১

      প্রতিনিধি ১৯ অক্টোবর ২০২২ , ১২:৪৩:১১ প্রিন্ট সংস্করণ

    বাউফল (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি:

    পটুয়াখালীর বাউফলে মৃত গরুর মাংস বিক্রির জন্য বাজারে নিতে গিয়ে হাতেনাতে গ্রেপ্তার হন জালাল গাজি(৪৫) নামের এক ব্যাক্তি । মঙ্গলবার রাতে উপজেলার কালিশুরী বাজারের মাংস ব্যাবসায়ী আফজাল হোসেনের কাছে বিক্রি করতে এসে স্থানীয় জনতার হাতে অটক হন তিনি। পড়ে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে ওই ব্যক্তিকে জরিমান করে মাংস গুলো মাটিতে পুতে ফেলা হয়। ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) বায়েজিদুর রহমান।

    স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, উপজেলার কনকদিয়া ইউনিয়নের জয়ঘোড়া গ্রামের বাসিন্দা জালাল গাজী মঙ্গলবার সন্ধ্যার দিকে একটি জবেহ করা গরু অটোরিক্সা যোগে কালিশুরী বাজারে আফজাল কসাইয়ের দোকানে বিক্রির উদ্দেশ্যে নিয়ে আসেন। দোকানের কাছে (কালিশুরী বাজারের উত্তর মাথায়) আসলে তখনও সন্ধ্যা নামেনি। গরুর মাংসের রং দেখে স্থানীয় কয়েক যুবকের সন্দেহ হয়। পরে গুরুর মালিককে চ্যালেঞ্জ করলে অসংগতিপূর্ণ কথাবার্তা বলেন তিনি। এতে স্থানীয়দের সন্দেহ আরও বেড়ে যায়।

    পরে স্থানীয়রা তাকে আটক করে পুলিশে খবর দেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মৃত গরুর মাংসসহ গরুর মালিককে আটক করে কালিশুরী পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে আসে। সেখানে নির্বাহি মেজিষ্ট্রেটের উপস্থিতে গরুর মালিক জালার গাজিকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ৫২ ধারায় ১০হাজার টাকা জরিমানা আদায়ে ছেরে দেয়া হয়। অভিযুক্ত জালাল গাজী বলেন, গরুটি একেবারে মরে যায়নি। মরার কাছাকাছি ছিল। উপায় না পেয়ে তিনি গরুটি জবেহ করেন। গরুর চামড়াসহ অন্যান্য কাজে কালিশুরী কসাই দোকান মালিক আফজালের ভাই তাকে সাহায্য করেন।

    কসাই আফজালের কাছে ২০ হাজার টাকায় ওই মাংস বিক্রি করেন বলেও জানান তিনি(জালাল)। এলাকাবাসীর অভিযোগ কসাই আফজালের বিরুদ্ধে মরা গুরু বিক্রির অভিযোগ দির্ঘ দিনের। কিন্তু কেউ হাতে নাতে তাকে আটক করতে পারেনি। এ ঘটনার পড় কসাই আফজান গা ঢাকা দিয়েছেন।অভিযোগ অস্বিকার করে আফজাল কসাই মুঠোফোনে বলেন, ‘আমি বরিশাল আছি। আমি জালাল গাজীকে চিনিনা। মরা গরুর বিক্রির সঙ্গে আমার কোন সংশ্লিষ্টতা নাই।’উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) বায়েজিদুর রহমান বলেন, ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন আইনে ২০০৯ এর ৫২ ধারায় অভিযুক্ত জালাল গাজীকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা ও ভবিষ্যতে এধরনের কাজ না করার শর্তে তাকে ছেরে দেয়া হয়েছে।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ