• জনপদ

    বাউফলে ‘মরণ ফাঁদ’ সেতুতে মৃত্যুর ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত, জনদুর্ভোগ চরমে!

      প্রতিনিধি ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২ , ৬:০৯:২১ প্রিন্ট সংস্করণ

    আরিফুল ইসলাম কারীমী-স্টাফ রিপোর্টারঃ

    বাউফল কালিশুরী ইউনিয়নের রাজাপুর গ্রামের মাতব্বর বাজার ছ-মিল সংলগ্ন সেতুটির বেহাল দশা।দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে সেতুটি সংস্কার না করায় বর্তমানে তা মরন ফাঁদে পরিণত হয়েছে। সড়কটি দিয়ে দৈনিক শতশত মানুষ যাতায়াত করে থাকে।তাছাড়াও মোটরসাইকেল, কাভারভেন, অটোরিকশা সহ বিভিন্ন ধরনের যান্ত্রিক যানবাহন চলাচলের জন্য এ সড়কটি গুরুত্বপূর্ণ।

    স্থানীয়দের কাছ থেকে যানা যায়,বাউফল উপজেলা প্রকৌশল অধিদফতরের তত্বাবধানে প্রায় বিশ বছর আগে কালিশুরী ও কনকদিয়া দুই ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী মাইসাবাড়ি খালের ওপর সেতুটি নির্মাণ করে।সেতুটি দিয়ে কালিশুরীর ছিটকা বাজার,ছিটকা মহসিন মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে মাতব্বর বাজার ও রাজাপুর, ইন্দ্রুকুল,পাংগাসিয়া জাকেরাবাদ, জয়ঘোড়া, বিরপাশা কনকদিয়া বাজারের জন্য মানুষ চলাচল করে।

    সরজমিনে দেখা যায়, সেতুটি বর্তমানে নড়বড়ে ও ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে।যে কোন সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দূর্ঘটনা। সেতুর মাঝখানের দুই স্থানে ঢালাই পড়ে গিয়ে রড বের হয়ে ফাঁকা হয়ে গেছে। রেলিং ভেঙ্গে গেছে।স্বাভাবিক ভাবে চলাচলের জন্য স্থানীয়রা কাঠের টুকরা দিয়ে ওই ফাঁকা স্থানটি আটকে দিয়েছেন।

    এ বিষয় কালিশুরী ইউনিয়ন পরিষদের ৭নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আবু নাছির বলেন,ব্রিজটি দিয়ে জনসাধারণ চলাচলের জন্য আমরা এলাকাবাসী কয়েকবার নিজেদের অর্থায়নে মেরামত করেছি এবং পরিষদের অর্থায়নেও সেতুটির ভাঙ্গা স্থানে কয়েকবার ঢালাই দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ভারী যানবাহান চলাচলের কারনে ঢালাই ধ্বসে পড়ে যায়। বর্তমানে সেতুটি মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে।

    স্থানীয় আব্বাস উদ্দিন নামের এক ব্যক্তি বলেন, দির্ঘ বছর ধরে সেতুটি বেহাল অবস্থায় পড়ে আছে। সেতুটি স্থানীয় ভাবে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সেতুটি দিয়ে কালীশুরী ডিগ্রী কলেজে, সিটকা মহাসিন মাধ্যমিক বিদ্যালয়, সিটকা প্রথমিক বিদ্যালয় ও রাজাপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ দুই ইউনিয়নের জনসাধারনের যাতায়ত করেন।

    এ বিষয় বাউফল উপজেলা প্রকৌশলী সুলতান আহম্মেদ জনতার ইশতেহারকে বলেন,’ কালিশুরী মাতব্বর বাজার ছ’মিল সংলগ্ন সেতুটির অবস্থা চলাচলের জন্য নাজুক, তা আপনার মাধ্যমে জানতে পারলাম। আমরা সেতুটির খোঁজ খবর নিয়ে দ্রুত সময়ের মধ্যেই ব্যাবস্থা নিবো।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ