আহমাদুল্লাহ হাবিবী-স্টাফ রিপোর্টার:

সারাদিনেও বর না আসায় হতাশায় পড়েন কনের পরিবার, এক পর্যায়ে কনে অজ্ঞান হয়ে যায়। এমন পরিস্থিতিতে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার সঙ্গে তাৎক্ষণিক বিয়ের ব্যবস্থা করেন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান সোমবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) রাতে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চরহাজারী ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে,

ঐ এলাকার মোঃ হেলাল মাঝির মেয়ে মোসাঃ সানজিদা ইয়াছমিনের সঙ্গে পার্শ্ববর্তী চরপার্বতী ইউনিয়নের বাসিন্দা মোঃশাকিলের সঙ্গে বিয়ের দিন নির্ধারণ ছিল সোমবার (১৪ ফেব্রুয়ারি)।বিয়ে উপলক্ষে ঐদিন মেহমানদারীর সব আয়োজন করে কনের পরিবার। খাওয়া-দাওয়া শেষে বরযাত্রীর জন্য অপেক্ষা করতেছিল দাওয়াতি মেহমানসহ সকলে। কিন্তু দুপুর গড়িয়ে বিকেল হলেও তারা আর আসেননি।

মেয়ের পরিবারের পক্ষ থেকে ঘটক, ছেলে ও তার পরিবারের লোকজনের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তারা আসবে বলেও আর আসেননি। দীর্ঘ এ সময় মেহেদি হাতে নববধূর সাজে বসেছিলেন কনে। দীর্ঘসময় পার হলেও বর না আসায় এক পর্যায়ে অজ্ঞান হয়ে পড়েন কনে।

ঘটনাটি এলাকায় জানাজানি হলে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। এ সময় তাৎক্ষণিক ৩নং চরহাজারী ইউনিয়নের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান মহিন উদ্দিন সোহাগ পাত্রের ব্যবস্থা করে দেন এবং পরিবারিকভাবে সহযোগিতার আশ্বাস দেন। পরে রাত ৯টার দিকে মুছাপুর ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের মোঃ নূর ইসলাম ভূঞা মেম্বারের ছেলে মুছাপুর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি মোঃ আলাউদ্দিন খোকনের সঙ্গে বিয়ে পড়ানোর ব্যবস্থা করেন চেয়ারম্যান মোঃ মহিউদ্দিন সোহাগ।

তিনি বলেন, আমি নতুন মানুষ। ভোটে দাঁড়িয়ে সবাইকে সুখ-দুঃখে পাশে থাকার কথা দিয়েছি। এলাকাবাসীর এমন বিপদে বসে থাকতে পারিনি। আমাদের উদ্যোগ ছিল, আল্লাহরও ইচ্ছা ছিল। সব মিলিয়ে একটি ভালো কাজ হয়েছে। এতেই আমরা খুশি,কনের পরিবারের লোকজন চেয়ারম্যানের এমন আচরণে খুশিতে আত্মহারা হয়ে গিয়েছে, এবং আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করেছেন।

গত ৭ ফেব্রুয়ারি (সোমবার) সপ্তম ধাপে কোম্পানীগঞ্জের আট ইউপিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে আনারস প্রতীকে চরহাজারী ইউনিয়নে মহিউদ্দিন সোহাগ চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।
উল্লেখ্য: তিনি এখনো শপথ গ্রহণ করেননি।