• স্বাস্থ্য

    বরিশালে এনজিও কর্মী অবিজ্ঞ চিকিৎসক।

      প্রতিনিধি ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২ , ২:৫৭:৫৬ প্রিন্ট সংস্করণ

    মু.আঃ কাদের কারিমী-বরিশাল জেলা প্রতিনিধি:

    বরিশাল জেলার অঞ্চলগুলোতে দৃষ্টিপাত করলেই দেখা যায় ভূয়া চিকিৎসকের ছড়াছড়ি। গ্রামের অনেক সহজ সরল মানুষগুলো ওইসব ভূয়া চিকিৎসকদের নিকট গিয়ে বারবার প্রতারিত হচ্ছেন ভেজাল ওষুধ বিক্রি সহ নষ্ট ঔষধের কাছে এক প্রকার জিম্মি হয়ে পরেছেন গ্রামের সাধারন মানুষগুলো। অতি তারাতারি ওইসব প্রতারকদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য প্রশাসনের কর্মকর্তাদের কাছে জোর দাবি জানিয়েছেন অনেক ভূক্তভোগীরা।

    একাধিক সূত্রমতে, একজন অনুমোদিত ও দক্ষ চিকিৎসক দ্বারা রোগীদের জন্য ব্যবস্থাপত্র লেখার নিয়ম থাকলেও বাজার কমিটি ও কতিপয় ওষুধ কোম্পানীর প্রতিনিধিদের যোগসাজসে একজন এনজিও কর্মীকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক পরিচয় দিয়ে প্রতারনার বিস্তার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

    ভূক্তভোগীদের অভিযোগের ভিত্তিতে বরিশালের গৌরনদী উপজেলার বাকাই বাজার ঘোষেরহাটে গিয়ে জানা গেছে, অনেক দিন যাবত কুমিল্লা জেলা থেকে আসা নামধারী চিকিৎসক ডাঃ সুশান্ত আর্শ্চায্য স্থানীয় বাজার কমিটির কতিপয় নেতৃবৃন্দ ও কয়েকটি ওষুধ কোম্পানীর বিক্রয় প্রতিনিধিদের যোগসাজসে ওই এলাকার সাধারণ রোগীদের সাথে প্রতারনা করে আসছেন।

    রোগীদের ব্যবস্থাপত্র, টেস্ট বাণিজ্য ও ওষুধ বিক্রির নামে কথিত ওই চিকিৎসক প্রতিদিন প্রতারণা করে হাতিয়ে নিচ্ছেন মোটা অংকের টাকা। অসংখ্য ভূক্তভোগীরা জানিয়েছেন, কথিত ওই চিকিৎসকের দেওয়া ওষুধ সেবনে অনেক রোগীরা অসুস্থ হয়ে পরেছেন।পরবর্তীতে কোন উপায় বা দেখে তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য সরকারী হাসপাতালে নিতে হয়েছেন। কথিত চিকিৎসকের প্রতারনার শিকার ভূক্তভোগীরা অতি দ্রুত ওই কথিত চিকিৎসকের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের প্রতি আহবান করেছেন।

    সূত্রমতে, শনিবার বিকেলের সময় স্থানীয় চারটি বেসরকারী ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার সংবাদকর্মীরা কথিত চিকিৎসকের প্রতারণার খবর জানতে পেরে সংবাদ সংগ্রহের জন্য ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। এ সময় কমিটির কতিপয় নেতৃবৃন্দর সাহায্যে সংবাদকর্মীদের প্রায় দুইঘন্টা মত অবরুদ্ধ করে রাখা হয়।
    পরবর্তীতে উপজেলা সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিষ্ট্রেট আরিফুল ইসলাম প্রিন্স থানা পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর পূর্বেই বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ দত্তের নেতৃত্বে কথিত চিকিৎসককে অন্য জায়গায় সরিয়ে দেওয়া হয়। অবরুদ্ধ সংবাদকর্মীরা বলেন, খোঁজ নিয়ে জানা গেছে কথিত চিকিৎসক সুশান্ত আর্শ্চায্য তার নিজ এলাকায় একজন এনজিও কর্মী হিসেবে অনেক দিন যাবত কাজ করতেন।

    সেখান থেকে প্যারা মেডিকেলের কোর্স করেই নিজেকে এমবিবিএস চিকিৎসক দাবী বা পরিচয় দেয়া শুরু করেন। দীর্ঘদিন পূর্বে তিনি ঘোষেরহাট বাজার কমিটির কতিপয় নেতৃবৃন্দর যোগসাজসে একটি ফার্মেসী প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করে চিকিৎসার নামে প্রতারনার ব্যবসা শুরু করেন।

    এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিপিন চন্দ্র বিশ্বাস বলেছেন, সংবাদকর্মীদের কাছ থেকে এমন খবর পেয়ে তাৎক্ষনিক এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট আরিফুল ইসলাম প্রিন্সকে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছিলো। তবে তিনি ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর পূর্বেই কথিত ওই প্রতারক আত্মগোপন করেছেন। ইউএনও আরও বলেন, অভিযুক্ত সুশান্ত আর্শ্চায্য ও তার আশ্রয়দাতাদের বিরুদ্ধে প্রচলিত আইনে ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে। এবং দোষীদের অবশ্যই আইনের আওতায় আনতে হবে।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ