• রাজনীতি

    বরগুনায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান হচ্ছেন জাহাঙ্গীর কবীর

      প্রতিনিধি ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২২ , ১০:২৪:০৪ প্রিন্ট সংস্করণ

    বরগুনা জেলা প্রতিনিধি:

    বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বরগুনা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো: জাহাঙ্গীর কবীর। তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ স্থানীয় সরকার জনপ্রতিনিধি মনোনয়ন বোর্ডের সভাপতি শেখ হাসিনার স্বাক্ষরিত ১১ সেপ্টেম্বর সমর্থিত পত্র পেয়েছেন। জানা যায়, বরগুনা জেলা পরিষদ নির্বাচনে ৮ সেপ্টেম্বর বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের ৭ জন এবং আওয়ামী লীগ ঘরোনার ২ জন চেয়ারম্যান পদে দলীয় মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন। তারা হল, বরগুনা জেলা আওয়ামীলীগের সহসভাপতি এলিচ নিজাম, সাধারণ সম্পাদক মো: জাহাঙ্গীর কবীর, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবদুল মোতালেব মৃধা, আব্বাস হোসেন মন্টু মোল্লা, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক অ্যাডভোকেট এম মজিবুল হক কিসলু, সদস্য অ্যাডভোকেট মো: শাহজাহান, অ্যাডভোকেট জিয়া উদ্দিন হিমু, সাবেক সদস্য মো: আবদুল মোতালেব মিয়া, ও জামাল উদ্দিন বিশ্বাস।

    ১৩ সেপ্টেম্বর জেলা আওয়ামীলীগের সভায় মনোনয়ন প্রত্যাশীরা দলের সিদ্ধান্তের প্রতি সম্মান দেখিয়ে বৃহস্পতিবার বরগুনা জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমানের নিকট মো: জাহাঙ্গীর কবিরের একটি মাত্র মনোনয়ন ফরম দাখিল হয়। এ সময় অন্য মনোনয়ন প্রত্যাশিরা দলীয় প্রার্থীর সঙ্গে ছিলেন। এক সাক্ষাতকারে মো: জাহাঙ্গীর কবীর বলেন, আমি ৫০ বছর অধিক সময় আওয়ামী লীগের রাজনীতি করে আসছি।

    আমি ও আমার পরিবার কোন দিন আওয়ামী লীগের রাজনীতি থেকে দূরে সরে যাইনি। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির জনকের হত্যার প্রতিবাদ করতে গিয়ে কারা বরণ করেছি। আওয়ামী লীগের দুর্দিনে আমি পিছপা হইনি। একবার জেলা পরিষদের প্রশাসক ছিলাম। আমার আমলে ব্যাপক উন্নয়নমূলক কাজ হয়েছে। তিনি কৃতজ্ঞতা জানান দলের নেতা কর্মি ও
    ভোটারদের প্রতি। কৃতজ্ঞতা স্বীকার করেন, যারা মনোনয়ন চেয়েছিল তাদের প্রতি। তারা আমার সম্মানে কেহ মনোনয়ন ফরম জমা দেয়নি। আমি চাই আগামী সব নির্বাচনে আমরা ঐক্য থাকব। আমি সবাইকে নিয়ে কাজ করতে চাই। আমি কৃতজ্ঞ বরগুনার দুইজন মাননীয় সংসদ সদস্যের প্রতি।

    এ ব্যাপারে বরগুনা জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা দিলীপ কুমার হাওলাদার বলেন, একক প্রার্থীর ক্ষেত্রে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের ২৫ সেপ্টেম্বর পরদিন বেসরকারী ভাবে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীকে নির্বাচিত ঘোষণা করা হবে। পরে গেজেট জারি করবে নির্বাচন কমিশন। তবে মো: জাহাঙ্গীর কবীর নামে একজনই মনোনয়ন ফরম দাখিল করেছেন। সংরক্ষিত ২ টি আসনের বিপরীতে ৮ জন ও সাধারণ সদস্য ৬ জনের বিপরীতে ২৩ জন মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন। উল্লেখ্য, মনোনয়ন বাছাই হবে ১৮ সেপ্টেম্বর। আপীল ১৯ সেপ্টেম্বর। প্রত্যাহার ২৫ সেপ্টেম্বর ও ভোট গ্রহন ১৭ অক্টোবর। মোট ভোটার সংখ্যা ৬১৬ জন।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ