• Uncategorized

    বঙ্গবন্ধু’র জন্মবার্ষিকীকে শেখ হাসিনার জন্য দোয়া চেয়েছেন আলহাজ্ব রোশন আলী মাস্টার

      প্রতিনিধি ১৭ মার্চ ২০২৩ , ৬:১০:১৬ প্রিন্ট সংস্করণ

    কুমিল্লা জেলা প্রতিনিধি

    জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩তম জন্মবার্ষিকী আজ। জাতীয় শিশু-কিশোর দিবস। স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি, অবিসংবাদিত এই নেতা ১৯২০ সালের এই দিনে গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়ার এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।

    দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে দেবীদ্বারে সকল সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ সকল সরকারি ও বেসরকারি ভবন এবং বিদেশে বাংলাদেশ মিশনসমূহে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে। বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন এবং জাতীয় শিশু- কিশোর দিবস উপলক্ষে দেবীদ্বারে বঙ্গবন্ধুর মুরালে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানান কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব রোশন আলী মাস্টার।

    এসময় উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য এটি এম মেহেদী হাসান, কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সসহসভাপতি শেখ আব্দুল আওয়াল, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আব্দুল মতিন মুন্সী, কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো হুমায়ুন কবির চেয়ারম্যান, সদস্য কালীপদ মজুমদার, দেবীদ্বার উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ কে এম শফিউদ্দীন, সহসভাপতি লুতফুর রহমান বাবুল, সাংগঠনিক সম্পাদক মুস্তাফিজুর রহমান, ভিপি শফিকুল আলম কামাল যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামীলীগ,মোঃ ইফতেখারুল ইসলাম তুষার সাংগঠনিক সম্পাদক দেবীদ্বার উপজেলা আওয়ামী লীগ, দপ্তর সম্পাদক হাজী আবুল কালাম আজাদ, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক মুস্তাফিজুর রহমান,শাহজাহান সরকার চেয়ারম্যান,আওয়ামী লীগ নেতা ইউনুস মাস্টার,একে শিপলু খান সহ আরো অন্যান্য সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

    বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৪০ সালে সর্বভারতীয় মুসলিম ছাত্র ফেডারেশনে যোগদানের মাধ্যমে তার রাজনৈতিক জীবন শুরু করেন। ১৯৪৬ সালে তিনি কলকাতা ইসলামিয়া কলেজ (বর্তমানে মওলানা আজাদ কলেজ) ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। তিনি ১৯৪৯ সালে তৎকালীন আওয়ামী মুসলিম লীগের পূর্ব পাকিস্তান শাখার যুগ্ম সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৫৩ সালে তিনি পার্টির সাধারণ সম্পাদক এবং ১৯৫৪ সালে যুক্তফ্রন্টের টিকিটে ইস্ট বেঙ্গল লেজিসলেটিভ এসেম্বলির সদস্য নির্বাচিত হন।

    বাঙালি জাতির অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে আজীবন সোচ্চার এই অবিসংবাদিত নেতাকে রাজনৈতিক জীবনে বহুবার কারাবরণ করতে হয়।

    তিনি ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন, ১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন, ১৯৫৮ সালের সামরিক শাসন বিরোধী আন্দোলন, ১৯৬৬ সালের ৬ দফা ও পরবর্তীতে ১১ দফা আন্দোলন এবং ১৯৬৯ সালে গণঅভ্যুত্থানসহ প্রতিটি গণতান্ত্রিক ও স্বাধিকার আন্দোলনে নেতৃত্ব দেন এবং বঙ্গবন্ধু উপাধি লাভ করেন। বঙ্গবন্ধু’র সাহসী ও দূরদর্শী নেতৃত্বে বাঙালি জাতি ধাপে ধাপে স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রস্তুতি নিতে থাকে। ১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ বিজয় অর্জিত হলেও তৎকালীন পাকিস্তানের সামরিক জান্তা ক্ষমতা হস্তান্তর না করে বাঙালি জাতির ওপর নানা নির্যাতন শুরু করে। বঙ্গবন্ধু একাত্তরের ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণে স্বাধীনতা সংগ্রামের ডাক দেন। তার এই ভাষণে জেগে উঠে পুরো দেশ। ইউনেস্কোর ইন্টারন্যাশনাল মেমোরি অব দ্য ওয়ার্ল্ড রেজিস্ট্রারে অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেছে বঙ্গবন্ধু’র এই ভাষণ। অন্যদিকে, ২৬শে মার্চ (২৫শে মার্চ মধ্যরাতে) তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন এবং তার নেতৃত্বে ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়। নয় মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মধ্যদিয়ে বাঙালির বহু কাক্সিক্ষত বিজয় অর্জিত হয়।

    সাম্য, মৈত্রী, স্বাধীনতা, গণতন্ত্র ও বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় বিরামহীন সংগ্রামে অবদান রাখার জন্য তিনি বিশ্বশান্তি পরিষদ প্রদত্ত জুলিও কুরি পদকে ভূষিত হন। বিবিসি’র এক জরিপে তিনি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি নির্বাচিত হন। যুদ্ধ বিধ্বস্ত স্বাধীন বাংলাদেশের জনগণের অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জনের লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু যখন বিভিন্নমুখী কার্যক্রম গ্রহণ করতে শুরু করেন ঠিক সেই মুহূর্তে ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট তিনি ৩২নম্বর ধানম-ির বাসভবনে কতিপয় বিপথগামী সেনা কর্মকর্তার হাতে পরিবারের অধিকাংশ সদস্যসহ নিহত হন।

    বিংশ শতাব্দীর কিংবদন্তি কিউবার বিপ্লবী নেতা প্রয়াত ফিদেল ক্যাস্ট্রো বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হিমালয়ের সঙ্গে তুলনা করেছিলেন। শ্রীলঙ্কার সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী লক্ষ্মণ কাদির গামা বঙ্গবন্ধুকে মূল্যায়ন করতে গিয়ে বলেছিলেন, ‘দক্ষিণ এশিয়া গত কয়েক শতকে বিশ্বকে অনেক শিক্ষক, দার্শনিক, দক্ষ রাষ্ট্রনায়ক, রাজনৈতিক নেতা ও যোদ্ধা উপহার দিয়েছে। কিন্তু, শেখ মুজিবুর রহমান সবকিছুকে ছাপিয়ে যান, তার স্থান নির্ধারিত হয়ে আছে সর্বকালের সর্বোচ্চ আসনে।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ