• Uncategorized

    বগুড়া ধুনটে প্রশাসনকে বৃদ্ধা আঙ্গুল দেখিয়ে অবৈধ ভাবে আবাদী জমির মাটি উওলন করে পুকুর খনন

      প্রতিনিধি ৬ মে ২০২১ , ৪:০৩:১৩ প্রিন্ট সংস্করণ

    মোঃ মাসুদ ফারুক বাবলু-বগুড়া প্রতিনিধি:

    বগুড়া জেলার ধুনট উপজেলাধীন ধুনট সদর ইউনিয়নের চালাপাড়া ‌উওরপাড়া মোঃ জুড়ান মন্ডল। এলাকায় বিশেষ ব্যবস্থায় , অবাধে চলছে অবৈধ ভাবে আবাদী জমি থেকে মাটি উত্তোলন করে পুকুর খননের কাজ এবং মাটি বিক্রি করে দিচ্ছে বিভিন্ন ইটভাটায়।

    সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় যে,ধুনট থানাধীন ধুনট সদর ইউনিয়নের চালাপাড়া গ্রামে প্রায় চার বিঘা আবাদী জমি থেকে অনুমতি বিহীন পুকুর খনন করে অবৈধ ভাবে মাটি উত্তোলন করে ভিটাবাড়ী ভারাট সহ মাটি বিক্রিয় করে দিচ্ছেন বিভিন্ন ইটভাটায় ঔ জমির মালিক সহ , মাটিখেকো রাকিব নামের এক প্রভাবশালী ব্যক্তি।

    স্থানীয় লোকজনের সাথে কথা বলে জানা যায়, গত ৩১/৩ /২০২১ মার্চ রবিবার, আবাদি জমি রক্ষা এবং অবৈধ ভাবে পুকুর খনন বন্ধ চেয়ে ধুনট উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও ধুনট থানা অফিসার ইনচার্জ বরাবর এলাকার সচেতন ব্যক্তিদের স্বাক্ষরিত একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন এলাকাবাসী। অভিযোগের ভিত্তিতে ধুনট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে ধনুট থানার তদন্ত কর্মকর্তা মোঃজাহিদ সরজমিনে গিয়ে পুকুর খনন বন্ধ করে দিয়ে আসেন।

    এমতাবস্থায় মাটিখেকো রাকিবের যোগসাজশে গত ৫/৫/২০২১ তারিখ বুধবার থেকে আবার-ও ওই আবাদী জমির মাটি উত্তলন করে পুকুর খনন করছেন এবং মাটি বিক্রি করে দিচ্ছে বিভিন্ন ইটভাটায়।প্রতি গাড়ি মাটির দাম প্রাই ৭০০থেকে ৮০০ টাকা, ড্রাইভিং লাইসেন্স বিহীন অদক্ষ ড্রাইভার, এবং ১৩/১৪ বয়সের কিশোরদের দিয়ে গাড়ি চালানো হচ্ছে।

    এতে প্রতিদিন ঘটছে ছোট বড় দূর্ঘটনা তেমনি নষ্ট হচ্ছে সরকারি রেকর্ড ভূক্ত কাঁচাপাকা রাস্তা গুলো।এবিষয়ে অত্র এলাকাবাসী অভিযোগ করে বলেন , এই মাটিখেকোদের হাত থেকে ফসলি জমির ক্ষতি রোধ করতে ধুনট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও থানার অফিসার ইনচার্জ বরাবর অভিযোগ করেও কোনো শুরোহা পাওয়া যাচ্ছে না।

    তাই সংবাদকর্মীদের মাধ্যমে প্রশাসনের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি যাহাতে অবৈধ মাটি ব্যবসায়ীদের শাস্তি দাবী জানান তারা,অভিযোগ দেওয়ার পরে-ও কি কারণে এই প্রভাবশালী মাটিখেকো রাকিব নামের এই ব্যক্তির বিরুদ্ধে কোনো আইনি ব্যবস্তা নেওয়া হচ্ছে না এই প্রশ্ন জনসাধারণের মনে রয়েই যায়।

    এদিকে মোঃ আমিনুল ইসলাম পিতা আফতাব হোসেন গ্রাম দত্তপাড়া মোঃ জাহাঙ্গীর আলম পিতা মৃত মোজাম্মেল হক গ্রাম ভুতবাড়ী ইউনিয়ন ভান্ডারবাড়ী যমুনা বাঁধের পশ্চিম পাশ ঘেঁষে অবৈধ পুকুর খনন কাজ করছে । সেখানে ধুনটে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জনাব সঞ্জয় কুমার গিয়ে চলে আসার পর থেকে আবারো মাটি কাটার কাজ শুরু করেন ।

    আবার চকিবাড়ী ইউনিয়নের বাটিকাবাড়ী গ্রামের মৃত হবি মন্ডলের ছেলে মোঃ আসাদুল ইসলাম তার বাড়ির সামনে খাঁস জমিতে অবৈধ পুকুর খনন কাজ করছে । বিশিষ্ট ইটের ভাটা ব্যবসায়ী সোহরাব হাজীর ছেলে মোঃ বাবু এর নেতৃত্বে তার ইটের ভাটায় মাটি দিচ্ছেন । এসব প্রভাবশালীদের প্রভাবে প্রভাবিত হয়ে বিভিন্ন মাদক ব্যবসায়ী অবাধে মাটি বিক্রির কাজ করে যাচ্ছেন বলে জানা গেছে ।

    এলাকাবাসী জানান এদের বিরুদ্ধে কোনো আইনি ব্যবস্থা না থাকায় সবাই বেপরোয়া ভাবে আবাদি জমির মাটি উওলন করে অবৈধ পুকুর খননের কাজ ও ফসলী জমি বিনষ্ট করে মাটি বিক্রি করে যাচ্ছেন ।এ বিষয়ে, ধুনট উপজেলা নির্বাহী অফিসার জনাব সঞ্জয় কুমার মহন্ত এর সাথে মুঠোফোন তার সরকারি নাম্বারে কথা বললে,তিনি জানান আপনারা জানালেন তো দেখি কি করা যায়।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ