• গণমাধ্যম

    প্রযুক্তিতে পিছিয়ে থাকাদের ভ্যাকসিন নিবন্ধন করিয়ে দিচ্ছে “স্লোগান

      প্রতিনিধি ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২১ , ১১:৫৫:০০ প্রিন্ট সংস্করণ

    করোনার টিকা নিতে নিবন্ধন করতে হচ্ছে সুরক্ষা ওয়েবসাইটে। তাতে দেখা দিচ্ছে জটিলতা। অনেকেই বুঝতে পারছেন না ওটিপি (ওয়ানটাইম পাসওয়ার্ড) কিভাবে কোথায় বসাবেন। বিশেষ করে প্রযুক্তিতে যারা পিছিয়ে তাদের অনেকেই নিবন্ধন জটিলতায় মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন টিকা থেকে।
    যেহেতু অনলাইন রেজিস্ট্রেশন ছাড়া করোনা ভ্যাকসিন গ্রহণের সুযোগ নেই তাই প্রযুক্তির বাইরে থাকা সাধারণ মানুষকে ভ্যাকসিন সেবার আওতায় আনতে বিনামূল্যে অনলাইন রেজিস্ট্রেশন করে দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে “স্লোগান”। চাষাড়া কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বৃহস্পতিবার (১৮ ফেব্রুয়ারী) থেকে বিনামূল্যে অনলাইন রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রমের শুরু করেছে সংগঠনটি। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত একটানা সাধারন জনগনকে করোনা টিকা নেয়ার নিবন্ধন করে দিচ্ছে সংগঠনের সদস্যরা।
    “স্লোগান” মুখপাত্র নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শেখ সাফায়েত আলম সানি এ প্রতিনিধিকে বলেন, যেদিন থেকে করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিনের জন্য গবেষণা চলছিল সেদিন থেকে বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশ দিয়েছিলেন ভ্যাকসিন আবিষ্কৃত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশের জনগণকে ভ্যাকসিন দেওয়ার জন্য ব্যবস্থা করতে হবে। তারই নির্দেশনায় আজকে আমরা ভ্যাকসিন পেয়েছি।
    ‘সারা বিশ্বে এখন ভ্যাকসিন নিয়ে হাহাকার। কোরিয়া, জাপান, থাইল্যান্ডের মতো দেশ কিংবা পাকিস্তানে কিছু শুরুই হয়নি। অথচ আমরা ত্বরিত গতিতে টিকাদান কর্মসূচি শুরু করছি। কেবল প্রতীকীভাবে নয়, একেবারে পরিকল্পনামাফিক। এটি সম্ভব হয়েছে কেবল প্রধানমন্ত্রীর জননেত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শিতা ও সাহসের কারণে। একমাত্র তার দূরদর্শিতার কারণেই করোনার ভ্যাকসিন বাংলাদেশের জনগণের কাছে পৌঁছে গেছে।’
    বিনামূল্যে অনলাইন রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রমের বিষয়ে “স্লোগান” মুখপাত্র বলেন, আমরা লক্ষ্য করছি নারায়ণগঞ্জে এ পর্যন্ত যারাই টিকা গ্রহণ করেছেন তারা বেশিরভাগই সচ্ছল ও প্রযুক্তি সম্পর্কে ধারণা রাখেন। কিন্তু প্রযুক্তির বাইরে থাকা মানুষদের এখনো স্বতঃস্ফূর্তভাবে টিকার আওতায় আনা সম্ভব হয়নি। অনেক মানুষের কাছে টিকা না নেওয়ার কারণ জানতে চাইলে অনলাইন রেজিস্ট্রেশন নিয়ে জটিলতার কথা বলছেন। এ অবস্থায় তাদের জটিলতা কমাতে বিনামূল্যে এই সেবামূলক কার্যক্রম চালু করেছে “স্লোগান”।
    তিনি বলেন, আমাদের স্লোগান হচ্ছে ‘সোনার বাংলা গড়তে হলে সোনার মানুষ হই’। সেই সোনার মানুষ হওয়ার প্রত্যয় নিয়ে নতুন প্রজন্মের মধ্যে নৈতিকতা ও মানবিক গুণাবলীর বিকাশের মাধ্যমে সামাজিক দায়িত্ববোধ জাগিয়ে তুলতে এবং তাদের মধ্যে মননশীলতার বিকাশ ঘটাতে কাজ করে যাচ্ছে “স্লোগান”।
    কর্মসূচীর প্রথম দিন “স্লোগান” সংগঠনের সদস্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আতাউর রহমান নান্নু, ফাহিম ভুইয়া এমিল, ইশতিয়াক আল কাফি নিশান, শেখ রফিকুল ইসলাম রায়হান, সাজ্জাদুল করীম চৌধুরী, আহমেদ হৃদয়, রায়হান প্রিন্স,

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ