• Uncategorized

    প্রধানমন্ত্রীর অঙ্গিকার ব্যক্ত মুজিবশতবর্ষে দেশে আর কোন মানুষ গৃহহীন ভূমিহীন থাকবে না!

      প্রতিনিধি ২১ জানুয়ারি ২০২১ , ১২:০৫:২১ প্রিন্ট সংস্করণ

    প্রধানমন্ত্রীর অঙ্গিকার ব্যক্ত মুজিবশতবর্ষে দেশে আর কোন মানুষ গৃহহীন ভূমিহীন থাকবে না! “মুজিবশতবর্ষে দেশে কোন মানুষ গৃহহীন থাকবে না”- মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এই অঙ্গিকার বাস্তবায়নের লক্ষ্যে স্লোগানকে সামনে রেখে আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় সারা দেশব্যাপী ১ম পর্যায়ে ‘ক’ শ্রেণির প্রায় ৭০ হাজার গৃহহীন পরিবারকে ভূমি ও গৃহ প্রদান করা হবে।

    জানাযায়, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আনুষ্ঠানিকভাবে আগামী ২৩ শে জানুয়ারি ২০২১ ইং তারিখে ভূমিহীন ও অসহায়দের গৃহ প্রদান কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধন করবেন। উক্ত উদ্বোধনী অনুষ্ঠান সম্পর্কে এবং পটুয়াখালী জেলায় ঘর নির্মাণ কার্যক্রমের অগ্রগতি অবহিত করার লক্ষ্যে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অদ্য ২১ শে জানুয়ারি সকালে এক মতবিনিময় সভা ও প্রেস ব্রিফিংয়ের আয়োজন করা হয়।

    এসময় প্রেস ব্রিফিংয়ে পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক মোঃ মতিউল ইসলাম চৌধুরী সম্মানিত সাংবাদিকবৃন্দের সম্মুখে পটুয়াখালী জেলায় ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য ঘর নির্মাণ কার্যক্রমের আদ্যোপান্ত উন্নয়ন তুলে ধরেন।

    উক্ত প্রেস ব্রিফিং এ সারসংক্ষেপে এসকল তথ্য তুলে ধরে বলেন,পটুয়াখালী জেলার ৮ টি উপজেলায় দুই পর্যায়ে সরকার ২,১৩১ টি ঘর বরাদ্দ প্রদান করেন বলে নিশ্চিত করা হয়।এর মধ্যে ( ১ম পর্যায়ে ১,৩৩৮ টি,এবং ২য় পর্যায়ে ৭৯৩ টি ঘড় দেয়া হবে।

    এছাড়াও যানাযায়, প্রতিটি ঘরের মূল্য ১,৭১,০০০ (এক লক্ষ একাত্তর হাজার) টাকা ধরা হয়, এহারে সর্বমোট ৩৬,৪৪,০১,০০০ ছত্রিশ কোটি চুয়াল্লিশ লক্ষ এক হাজার টাকা এ প্রকল্পে বরাদ্দ প্রদান করা হয়। এর সাথে প্রতিটি গৃহের বিপরীতে কেরিং ও অন্যান্য ব্যয় বাবদ অতিরিক্ত আরাে ৪ হাজার টাকা করে মােট ৮৫,২৪,০০০ (পঁচাশি লক্ষ চল্লিশ হাজার) টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে বলে জানান।

    এবিষয় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আগামী ২৩ শে জানুয়ারি ২০২১ ইং তারিখে উদ্বোধন উপলক্ষ্যে পটুয়াখালী জেলায় ২১৩১ টি ঘরের মধ্যে ৭২৯ টি ঘর সম্পূর্ণরুপে প্রস্তুত করা হয়েছে। যার মধ্যে সদর উপজেলায় ৫০ টি, মির্জাগঞ্জ উপজেলায় ৩২ টি, দুমকী উপজেলায় ১৯৫ টি, বাউফল উপজেলায় ১০ টি, দশমিনা উপজেলায় ৪৭ টি, গলাচিপা উপজেলায় ১০ টি, কলাপাড়া উপজেলায় ২৩৫ টি এবং রাঙ্গাবালী উপজেলায় ১৫০ টি। প্রতিটি বাড়ি দৃষ্টিনন্দন ডিজাইনে উন্নতমানের সরঞ্জামে তৈরি। সেমিপাকা প্রতিটি গৃহ ০২ টি বেডরুম, ০১ টি রান্নাঘর, ০১ টি বাথরুম এবং বারান্দা রয়েছে। ঘরের উপরে রয়েছে উন্নতমানের রঙিন টিনদ্বারা আবৃতো।

    মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধন অনুষ্ঠানটি আগামী ২৩ জানুয়ারি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে হবে। ৬৪ জেলার সকল উপজেলা পরিষদ মিলনায়তন প্রান্ত গণভবনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সাথে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে থাকবে এমনটাই তথ্য নিশ্চিত করা হয়।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ