বিশেষ প্রতিনিধি:

বাংলাদেশ ছাত্রলীগের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ইউনিট বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ প্রতিষ্ঠার দিনই কর্মী শূন্য। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি সাধারণ সম্পাদকের একের পর এক অনিয়ম অবহেলার কর্মী শূন্য আজ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ।আজ বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ই ইউ বি ও বি ইউ বিটির কর্মী সভা ছিল সেখানে উপস্থিত ছিল বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি জাহিদ হাসান পারভেজ ও সাধারণ সম্পাদক আজিজুল হাকিম সম্রাট। কোন স্বাস্থ্যবিধি না মেনেই মঞ্চে ছিল বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সম্রাট। আজ কর্মী সভা থাকলেও ছিল না তেমন কোন কর্মী।

সাধারণ কর্মীদের কাছে কারণ জানতে চাইলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মী বলেন বিকাল ৩ টার সময় আসার কথা বলে সন্ধ্যা ৬ঃ৩০ মিনিটে সভাপতি সাধারণ সম্পাদক উপস্থিত হয়। কিছু ছাত্রলীগ কর্মী অভিযোগ করেন কর্মী সভা হলেও সম্রাট পারভেজ জানায়নি অনেক দিন থেকে রাজনীতি করে আসা নেতৃত্বের। কোন স্বাস্থ্য বিধি না মেনে অনুষ্ঠান চলে। সাধারণ কর্মীদের চাওয়া মেয়াদ উত্তীর্ণ এই মিটির নেতৃত্ব কে সরিয়ে কর্মী বান্ধব নতুন নেতা চাই।

অনুষ্ঠানের শুরুতে ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ ছাত্রলীগের এক কর্মী অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করলে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সম্রাট তাকে মঞ্চ থেকে নেবে যেতে বলে এসময় ইউবি ছাত্রলীগের কর্মীদের এক অংশ তার সঙ্গে অনুষ্ঠান স্থান ত্যাগ করে। ব্যানারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য এর ছবি ছিল অস্পষ্ট।

ব্যানারা ছিল না অতিথি বৃন্দের নাম। প্রতিষ্ঠার দিনে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের ৩৭ সদস্যের কমিটির উপস্থিত ছিল মটে ৪ জন। এ বিষয়ে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের এক সহ সভাপতির সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন সভাপতি সাধারণ সম্পাদক নিজেদের ইচ্ছে মত কোন নিয়ম ছাড়া সংগঠন চালাচ্ছে তিনি আরো বলেন কর্মী সভার ব্যাপারে কোন প্রেস কিংবা কমিটির কোন নেতৃবৃন্দ কে জানানো হয় নি। আর এক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এর সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন প্রতিষ্ঠার দিনে কর্মী সভা কিন্তু তিনি কিছুই জানেন না তিনি আরো বলেন কমিটি থাকলেও নেই কোন কর্মকাণ্ড,

কমিটির নেই কোন সভা, কোন কাজে নেওয়া হয় না কোন সহ সভাপতি, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বিকবা সাংগঠনিক সম্পাদক এর মতামত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের কমিটি এত দিনেও হয়নি পূর্ণাঙ্গ হাতেগোনা দুই একটা বিশ্ববিদ্যালয়ে কমিটি আছে কিন্তু সেগুলো ও মেয়াদ উত্তীর্ণ। এভাবে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সংগঠন চলছে অবহেলিত ভাবে। সাধারণ কর্মীদের চাওয়া অবিলম্বে অযোগ্য নেতৃবৃন্দের অপসারণ চাই।