কৃষি রিপোর্ট:
নওগাঁর পোরশায় বিস্তীর্ণ মাঠ জুড়ে ঘন সবুজের সমারোহ বসন্ত বাতাসে বোরো ধানের সবুজ ঢেউ উপজেলার সকল কৃষকের মন ভরিয়ে দিচ্ছে। ধান গাছের সবুজ পাতা ও কাঁচা শীষ। কয়েক দিনের মধ্যে শীষে ধানের দানা পুষ্ট হতে শুরু হবে আর এই সবুজের ঢেউয়ে মেতে উঠেছে প্রকৃতিও। ইরি-বোরো ধানের শিশে দোল খাচ্ছে কৃষকের স্বপ্ন ধানের শীষ দেখে আনন্দে ভরে ওঠে কৃষকের মন। যথা সময়ে জমিতে সার ও কীটনাশক প্রয়োগে বোরো ধানের বাম্পার ফলনের স্বপ্ন দেখছেন উপজেলার কৃষক কৃষাণী।
ফলে মাঠে দোল খাওয়া নতুন ধানের নতুন স্বপ্নে বিভোর কৃষকে। আর মাত্র কয়েকদিন পরেই গোটা মাঠ জুড়ে আস্তে আস্তে সোনালী আকার ধারণ করবে। তারপর সোনালী আলোয় গোটা মাঠ ভরে উঠবে মাঠ ভরা ফসলের স্বপ্ন দেখে কৃষাণ-কৃষাণীর চোখে-মুখে ফুটে উঠবে আনন্দের ছোঁয়া। রাশি রাশি সোনালী ধানের ভরে উঠবে কৃষকের শুন্য গোলা।বোরো মৌসুমকে ঘিরে স্বপ্ন দেখে এ অঞ্চলের অনেক চাষী। বাংলাদেশ খাদ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী বাবু সাধন চন্দ্র মজুমদার মহোদয়ের নির্বাচনী এলাকা পোরশা সাপাহার ও নেয়ামতপুর তিন থানায় প্রচুর পরিমাণে বোরো ধানের চাষ হয়।
অল্প সময়ে অধিক ফলনের কারণে বোরো চাষে আগ্রহী কৃষক এরই মাঝে হাসি খুশি মনটা কালো অন্ধকার হয়ে যায় যদি না তারা ধানের ন্যায্য মূল্য না পায়। কৃষকেরা মাথার ঘাম পায়ে ফেলে আবাদ করা ধানের মূল্য কম পাওয়ার আশঙ্কা তাদের মনে সন্দেহের সৃষ্টি করে। এমন এক সময় ছিল পোরশা উপজেলা শুধুমাত্র আকাশের বৃষ্টির উপর নির্ভর করে একমাত্র ফসল আমন ধান আবাদ করা হতো।
উপজেলাটিতে উঁচু নিচু জমি হওয়ায় সেখানে পানির কোন ব্যবস্থা ছিলনা খাদ্যমন্ত্রী মহোদয়ের সুচিন্তিত পরামর্শ ও কৃষি অফিসের সহযোগিতা ও দেখ ভালের জন্য বর্তমানে এক ফসলী জমিতে আমবাগান মাল্টা বাগান সহ বরই চাষ ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে।যার সুফল উক্ত এলাকার চাষী সহ বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা হতে আসা আম আমচাষি দেশের বিভিন্ন স্থানে আম পাইকারি ও খুচরা বিক্রয়ের কারণেই বহু লোকের কর্মসংস্থান বৃদ্ধি পেয়েছে।যার কারণে খেটে খাওয়া মানুষের দুর্ভোগ অনেকাংশে কমে গেছে। বলা যেতে পারে বর্তমানে তারাই অনেক সুখী।
E-mil: dailyalokito71sangbad@gmail.com
@বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোক চিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বে-আইনি।
Copyright © 2024 alokito71sangbad. All rights reserved.