• ঐতিহ্য

    পায়রা সেতু এখন যেন পর্যটন কেন্দ্র

      প্রতিনিধি ২ নভেম্বর ২০২১ , ২:৫৬:৪২ প্রিন্ট সংস্করণ

    মো: আবুবকর মিল্টন:

    পটুয়াখালীসহ দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের স্বপ্নের পায়রা সেতু এখন পর্যটন স্পটে পরিণত হয়েছে। প্রতিদিন দুপুরের পর থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত হাজারো মানুষ সেতুতে জড়ো হচ্ছেন। মানুষের ভিড়ে যানবাহন ধীরে চলছে।রোববার (২৪ অক্টোবর) সকালে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে পায়রা সেতুর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এটি চট্টগ্রামের কর্ণফুলী ব্রিজের আদলে নির্মিত দেশের দ্বিতীয় ব্রিজ, যা এক্সট্রা ডোজ ক্যাবল সিস্টেমে তৈরি।

    কুয়েত ফান্ড ফর আরব ইকোনমিক ডেভেলপমেন্ট, ওপেক ফান্ড ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট ও বাংলাদেশ সরকারের যৌথ বিনিয়োগে ব্রিজটির নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে এক হাজার ৫০০ কোটি টাকা। বৃহস্পতিবার (২৮ অক্টোবর) সরেজমিনে পায়রা সেতুতে গিয়ে দেখা যায়, সেতু দেখতে বিভিন্ন বয়সী শত শত মানুষ জড়ো হয়েছে। কেউ কেউ সেতুর ওপর থেকে উঁকি দিয়ে নিচের দৃশ্য দেখছেন। কেউ কেউ ব্যস্ত সেলফি ও ছবি তোলায়। সেতুতে হাঁটা-চলা নিয়ন্ত্রণসহ যানবাহন চলাচলে শৃঙ্খলা এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজরদারি বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন দর্শনার্থীরা।

    বরিশাল থেকে পায়রা সেতু দেখতে আসা গৃহিণী সোনিয়া বেগম জাগো নিউজকে বলেন, টিভিতে এবং ফেসবুকে পায়রা সেতুর অনেক মনোমুদ্ধকর ছবি দেখেছি। সেতুটি দেখার বড় ইচ্ছে ছিল। তাই পরিবারের সবাইকে নিয়ে দেখতে এসেছি।
    পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী পারভেজ আশরাফ বলেন, সেতুটি যেহেতু মহাসড়কের ওপর এবং দ্রুতগতিতে যানবাহন চলে, তাই হেঁটে চলাচল করলে যে কোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

    এজন্য সেতুর ওপর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং ট্রাফিক পুলিশ নিয়োগ করা প্রয়োজন। অন্যথায় যে কোনো সময় একটি পরিবারের আনন্দ বিষাদে রূপ নিতে পারে।পটুয়াখালীর জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন বলেন, উদ্বোধনের পরপরই মানুষ আগ্রহ নিয়ে সেতু দেখতে আসছে। আগত দর্শনার্থীদের নিরাপত্তার পাশাপাশি সেতুতে যাতে নির্বিঘ্নে যানবাহন চলাচল করতে পারে সেজন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।.!

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ