• আইন ও আদালত

    পাবনায় কলেজছাত্রের ১০ টুকরা লাশ

      প্রতিনিধি ১৫ ডিসেম্বর ২০২১ , ৩:০১:১০ প্রিন্ট সংস্করণ

    নিউজ ডেস্কঃ

    একজনের সঙ্গে দেখা করার কথা আছে বলে শুক্রবার পাবনার ঈশ্বরদীর বাড়ি থেকে বের হন কলেজছাত্র রাইমুল ইসলাম হৃদয় (২৪)। এরপর তিনি নিখোঁজ হন। তিন দিন পর সোমবার রাতে তাঁর ১০ টুকরা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় আবুল হাসনাত মো. ইসমাইল ওরফে হাসান (৪২) নামের একজনকে আটক করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, হাসানকে চাকরি দেওয়ার নামে তাঁর কাছ থেকে ৮০ হাজার টাকা নিয়েছিলেন হৃদয়। কিন্তু চাকরি না দেওয়ায় হাসান তাঁকে খুন করেন।
    এ ছাড়া চট্টগ্রামের হাটহাজারী, ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট, রংপুর, ঝালকাঠির কাঁঠালিয়া, গোপালগঞ্জ, নরসিংদীর রায়পুরা ও শেরপুরের ঝিনাইগাতী থেকে আটজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। মাদারীপুরে ক্রিকেট খেলা নিয়ে একজনকে হাতুড়িপেটা করে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে ছেলের হাতে খুন হয়েছেন এক নারী। এ নিয়ে আমাদের প্রতিনিধিদের পাঠানো বিস্তারিত—
    ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি জানান, কলেজছাত্র হূদয়ের ১০ টুকরা লাশ সোমবার রাতে উপজেলার সলিমপুর ইউনিয়নের নওদাপাড়ার ফারুখ হোসেনের ভাড়া বাসার মেঝে খুঁড়ে উদ্ধার করা হয়। হৃদয় পাকশী ইউনিয়নের মজনু মোল্লার ছেলে ও পাবনা এডওয়ার্ড বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের প্রাণিবিজ্ঞান বিভাগের অনার্স চতুর্থ বর্ষের ছাত্র। তিনি রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পসংলগ্ন মোড়ে বিকাশ ও ফ্ল্যাক্সিলোডেরও ব্যবসা করতেন।

    হৃদয়ের মা রুবিনা খাতুন ও বাবা মজনু জানান, একজনের সঙ্গে দেখা করার কথা বলে শুক্রবার সকালে ঘর থেকে বের হয়ে আর ফেরেনি হৃদয়। এর কয়েক ঘণ্টা পরে হৃদয়ের মোবাইল থেকে তাঁদের কাছে একটি ফোন আসে। তাতে হৃদয়ের মুক্তিপণ হিসেবে ৪০ লাখ টাকা দাবি করা হয়। এরপর তাঁরা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

    ঈশ্বরদী থানার ওসি মো. আসাদুজ্জামান আসাদ ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রূপপুর ফাঁড়ির ইনচার্জ আতিকুর রহমান আতিক জানান, হৃদয় হত্যার ঘটনায় তাঁরা আবুল হাসনাত মো. ইসমাইল ওরফে হাসান নামের একজনকে আটক করেছেন। হাসান পাবনা সদর থানার পৈলানপুর সফেদাবাগান পাড়ার মৃত আব্দুল হামিদ মাস্টারের ছেলে।
    পুলিশ জানায়, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পে (আরএনপিপি) রাশিয়ান কম্পানিতে চাকরি দেওয়ার কথা বলে হাসানের কাছ থেকে ৮০ হাজার টাকা নিয়েছিলেন হূদয়। কিন্তু কয়েক মাসেও চাকরি দিতে পারেননি তিনি। এ নিয়ে দুজনের মধ্যে দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হয়। ঘটনার দিন সকালে হৃদয়কে কৌশলে হাসান তাঁর ভাড়া বাসায় নিয়ে জুসের মধ্যে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে খাইয়ে হত্যা করেন এবং লাশ ১০ টুকরা করেন। পরে আরেকটি বাসা ভাড়া নিয়ে সেখানে মেঝেতে তা পুঁতে রাখেন। পুলিশ সলিমপুরের নওদাপাড়ায় ফারুকের ভাড়া দেওয়া বাসা থেকেই লাশ উদ্ধার করে।

    ওসি জানান, হৃদয়ের ফোন নম্বর থেকে বাড়িতে ফোন করে ৪০ লাখ টাকার মুক্তিপণ চাওয়ার কল রেকর্ডের সূত্র ধরে ও তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার করে সোমবার ঘাতক হাসানকে পাবনার গাছপাড়া থেকে আটক করা হয়। এরপর তাঁর দেওয়া তথ্য থেকেই ঘটনাস্থল থেকে হৃদয়ের ১০ টুকরা লাশ উদ্ধার করা হয়। হত্যার সঙ্গে আরো কেউ জড়িত কি না তা জানার চেষ্টা করা হচ্ছে।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ