উজ্জ্বল আহমেদ-নীলফামারী জেলা প্রতিনিধিঃ
পাথর উত্তোলন বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েছেন নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার দেড় লাখ দরিদ্র মানুষ। দৈনিক ভিত্তিতে কাজ করা দরিদ্র পরিবারের ওই মানুষেরা পড়েছেন চরম আর্থিক কষ্টে। দিন এনে দিন খাওয়া শ্রমিকরা পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করায় তাদের দাবী নিয়ম অনুযায়ী পাথর উত্তোলনের সুযোগ দেয়ার। ডিমলা উপজেলার টেপাখড়িবাড়ি, গয়াবাড়ি, খগাখড়িবাড়ি, পুর্ব ছাতনাই ও ঝুনাগাছ চাপানী ইউনিয়নের উপর দিয়ে বহমান তিস্তা নদী বেষ্টিত আশপাশ থেকে সনাতন পদ্ধতিতে পাথর উত্তোলন করে আসছিলো ৩৯জন ইজারাদার।
যাতে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে সম্পৃক্ত ছিলো প্রায় দেড় লাখ মানুষ। দৈনিক ৫০০-৭০০টাকা পর্যন্ত উপার্জন করছিলো এলাকাগুলোর দরিদ্র মানুষেরা। খগাখড়িবাড়ি ইউনিয়নের দোহল পাড়া গ্রামের পাথর শ্রমিক মহির উদ্দিন জানান, বর্তমানে অতিকষ্টে দিনাতিপাত করছি। এখন চলাই কষ্টকর হয়ে দাঁড়িয়েছে। পাথরের সাথে জড়িত থাকার ফলে দৈনিক মজুরীতে ভালোই কাটছিলো কিন্তু এখন অভাব জড়িয়ে ধরেছে। আমাদের দাবী নিয়ম মাফিক পাথর উত্তোলনের সুযোগ করে দিলে উপকৃত হতাম।
খগাখড়িবাড়ি ইউনিয়নের পাথর ব্যবসায়ী একে, এম, শামীম জানান,যে জমিতে পাথর থাকে সেই জমিতে ফসল ভালো হয় না। ওই জমি থেকে পাথর উত্তোলনের পর ফসল ভালো হয়। ব্যক্তি মালিকানা জমি লিজ নিয়ে আমরা পাথর উত্তোলন করে থাকি। খনিজ সম্পদ মন্ত্রনালয় থেকে অনুমতি নিয়ে নিয়ম অনুযায়ী আমরা পাথর উত্তোলন শুরু করেছিলাম।কিন্তু পাথর উত্তোলন বন্ধ হওয়ায় ব্যবসায়ী ছাড়াও প্রায় দেড় লাখ মানুষ আর্থিক সংকটে পড়েছেন। ওই পরিবারগুলো অতিকষ্টে দিনাতিপাত করছেন।
E-mil: dailyalokito71sangbad@gmail.com
@বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোক চিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বে-আইনি।
Copyright © 2024 alokito71sangbad. All rights reserved.