পলাশবাড়ীতে পেঁপে চাষ করে ভাগ্যের পরিবর্তন করেছেন কৃষক মমতাজ উদ্দিন। সরেজমিনে ঘুরে জানাযায় পলাশবাড়ী উপজেলার হোসেন পুর ইউনিয়নের দিগদাড়ী গ্রামের কফিলউদ্দিন এর ছেলে মমতাজ উদ্দিন।পেশায় একজন সাধারণ কৃষক।কৃষি কাজের উপর জীবিকা নির্বাহ করে আসছে দীর্ঘদিন থেকেই। বিভিন্ন চাষের পাশাপাশি গতবছর তিনি পেঁপে চাষ করে লাভবান হয়েছিলেন।তাই আবারও ৪০ শতাংশ জমিতে পেঁপে চাষ করেন।ফলনও হয়েছে ভালো দাম ভালো থাকায় ৪ লক্ষ টাকা বিক্রির আশা করেছেন তিনি।
খরচের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন,নিজের শ্রম বাদে আমার মাত্র ১০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে।আর তুলনামূলক ভাবে আমি কাঁচা পেঁপে কম বিক্রি করি, যেহেতু পাকা পেঁপে পাইকারি বাজার মূল্য বেশি।পাইকাররা আমার বাগান থেকে নিয়ে যায়।কি দামে বিক্রি হয় জানতে চাইলে তিনি বলেন কাচা পেঁপে সাধারণত ৪ থকে ৫ শত টাকা মন আর পেকে বিক্রি করলে ১৬ শত টাকা পাওয়া যায়। কৃষি প্রণোদনা কিংবা কৃষি অফিস থেকে কোন পরামর্শ পেয়েছেন কি না এবিষয়ে তিনি বলেন আমি কোন পরামর্শ বা সহযোগিতা পাইনি এমনকি আমি কোনো কোম্পানির বীজও নেইনি।
আমি ফল দোকান থেকে একটি ভালোমানের পাকা পেঁপে এনে বীজ সংরক্ষণ করেছিলাম।আল্লাহর রহমতে ভালো ফলন পাচ্ছি।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ফাতেমা কাওসার মিশু জানান,পেঁপে আমাদের দেশে একটি দারুণ জনপ্রিয় ফল। পাকা ও সবজি হিসেবে দেশের সর্বত্র সমাদৃত। পেঁপের অনেক ভেষজ গুণও রয়েছে। লাভজনক হওয়ায় অনেকেই এখন পেঁপে বাণিজ্যিকভাবে চাষ করছেন। পুষ্টিমানে অত্যন্ত সমৃদ্ধ এই ফল মানব দেহে রোগ প্রতিরোধে কাজ করে। পেঁপে স্বল্প মেয়াদী ফল, এর চাষের জন্য বেশি জায়গারও প্রয়োজন হয় না।
তবে রোগ ও পোকামাকড় বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে,সময় মতো স্প্রে করতে হবে,আর বর্ষা মৌসুমে কোন ভাবেই যেন পানি না জমে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।প্রণোদনা বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন পেঁপে চাষে কোন প্রণোদনা নেই তবে মাঠ পর্যায়ে আমরা চাষিদের মাঝে পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি।
E-mil: dailyalokito71sangbad@gmail.com
@বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোক চিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বে-আইনি।
Copyright © 2024 alokito71sangbad. All rights reserved.