এমএ কাইয়ুম(মুন্সীগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ

মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে পরকিয়া প্রেমিকার শ্বশুরবাড়ীতে অপ্রীতিকর অবস্থায় আটক প্রেমিক ইউনিয়ন যুবদল নেতা অতঃপর স্বামী তার স্ত্রী অর্থাৎ পরকিয়া প্রেমিকাকে ডিভোর্স দিয়েছে কিন্তু প্রেমিক এখন পরকিয়া প্রেমিকাকে বিয়ে করবে না বলে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। মঙ্গবার (৪ অক্টোম্বর) দিবাগত রাতে উপজেলার কুসুমপুর এলাকায় পরকিয়া প্রেমিকার শ্বশুরবাড়ীতে এ ঘটনা ঘটে। প্রেমিক আবু কালাম শ্রীনগর উপজেলার ষোলঘর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের উমপাড়া এলাকার মোহন আলী শেখের ছেলে। সে ষোলঘর ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ন সম্পাদক।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, যুবদল নেতা আবু কালাম দীর্ঘদিন ধরে একই এলাকার দিনমজুর আলী হোসেনের মেয়ের সাথে প্রেমের করে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তুলে। পরিবার থেকে বিয়ের কথা বললে প্রেমিক আবু কালাম রাজি হয়নি। পরে গোপনে মেয়ের বাবা আলী হোসেন তার মেয়েকে পাশ্ববর্তী সিরাজদিখান উপজেলার কুসুমপুরে অন্য একটি ছেলের সাথে বিয়ে দেয়। এর মধ্যে প্রেমিক আবু কালাম পূনরায় তার প্রেমিকার সঙ্গে পরকিয়া প্রেম গড়ে তুলে। ঘটনার দিন রাতে প্রেমিকা তার শ্বশুরবাড়িতে অবস্থান করাকালে প্রেমিক আবু কালাম ঐ বাড়ীতে যায়।

এসময় আবু কালামকে তার প্রেমিকার সঙ্গে অপ্রীতিকর অবস্থায় দেখে শ্বশুরবাড়ীর লোকজন তাকে আটক করে রাখে। সংবাদ পেয়ে ইউনিয়ন যুবদলের সহ-সভাপতি সেলিম প্রেমিক আবু কালামের বড় ভাই ইউসুফ ও স্থানীয় মেম্বারসহ আরো লোকজন বুধবার দুপুর ১২টার দিকে ঘটনাস্থলে পৌছে প্রেমিকাকে প্রেমিক যুবদল নেতা আবু কালামের সঙ্গে বিয়ে দিবে জানিয়ে স্বামীর কাছ থেকে ডিভোর্স করিয়ে বাড়ী নিয়ে আসে। বর্তমানে প্রেমিকা তার নানীর বাড়ী রয়েছে কিন্তু প্রেমিক আবু কালাম এখন প্রেমিকাকে বিয়ে করবে না বলে জানান।

ষোলঘর ইউনিয়ন যুবদলের সহ-সভাপতি সেলিম এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি একা যাইনি মেম্বার ও আবু কালামের বড় ভাইও গিয়ে ছাড়িয়ে আনেন। কিন্তু এখন প্রেমিকা বিয়ে করতে চাচ্ছে না। ষোলঘর ইউনিয়ন ৭নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আরিফুল ইসলাম লিফটনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এব্যাপারে ছেলের বড় ভাই ইউসুফের সাথে কথা বলেন। এব্যাপারে যুবদল নেতা আবু কালামের বড় ভাই ইউসুফের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, যা হওয়ার তা হয়েছে। আপনারা আপনাদের কাজ করেন।