• Uncategorized

    পত্নীতলায় ধানের দাম কমে যাওয়াতে হতাশ কৃষক-আলোকিত ৭১ সংবাদ

      প্রতিনিধি ৭ মে ২০২১ , ১২:২৭:২৫ প্রিন্ট সংস্করণ

    শাকিল হোসেন-স্টাফ রিপোর্টার:

    নওগাঁর পত্নীতলায় দিন দিন নিুমুখী হচ্ছে ধানের বাজার। আর এ কারণে মাঠের সোনালি ফসল ঘরে তোলার স্বপ্ন যেন ফ্যাকাশে হয়ে যাচ্ছে কৃষকের কাছে। যতই দিন যাচ্ছে বাজারে বাড়ছে ধানের সরবরাহ। বাজারে ধানের দাম পড়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে কৃষকের হতাশা। কৃষক-কৃষাণীর হাসিমাখা মুখগুলো যেন মলিন হয়ে যাচ্ছে দিন দিন।

    সিন্ডিকেট করে পত্নীতলায় ধানের দাম কমানোর অভিযোগ করেছেন কয়েকজন কৃষক।সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এক সপ্তাহ আগে থেকেই কৃষকরা সীমিত আকারে মাঠের পাকা বোরো ধান কাটা শুরু করেন। এ সময় বাজারে প্রতিমণ জিরা ধান ৯৮০ টাকা হতে ১ হাজার টাকা মণে বিক্রয় হয়েছে।

    এক সপ্তাহের ব্যবধানে মাঠের ধান কাটার জন্য পুরোদমে মাঠে নেমে পড়েছেন কৃষকরা। বাজারে ধানের সরবরাহ বৃদ্ধি পাওয়ায় বুধবার সকালে পত্নীতলার বিভিন্ন আড়তে জিরা ধান মণপ্রতি ৮শ টাকা থেকে ৮৫০ টাকায় এবং কাটারি ভোগ ধান মণপ্রতি ৮শ টাকা হতে ৯শ টাকায় বিক্রয় হতে দেখা গেছে। কৃষকরা আড়তে ধান বিক্রয় করতে গিয়ে চরম হতাশা প্রকাশ করেছেন।

    রঘুনাথপুর গ্রামের কৃষক রফিকুল ইসলাম জানান, ধারদেনা করে, দোকানে সার-বীজ বাকি নিয়ে আমি ধান চাষ করেছি। স্বপ্ন ছিল ধান বিক্রয় করে ধার-দেনা পরিশোধ করার পর যা থাকবে তা দিয়ে সংসারের ব্যয়ভার মিটাবো। স্ত্রী, সন্তানদের মুখে হাসি ফুটাবো। কিন্তু ধানের দাম নিুমুখী হওয়ায় আমার স্বপ্ন ভেঙে খান খান হয়ে যাচ্ছে। ঘরে ধান ধরে রাখারও সুযোগ নেই।

    কারণ দেনাদাররা ছাড়বে না। সামনে ঈদের খরচ আছে। তাই বাধ্য হয়েই কম দামে ধান বিক্রয় করতে হচ্ছে। দোচাই গ্রামের কৃষক বিপ্লব মণ্ডল বলেন, পার্শ^বর্তী উপজেলায় ধানের দাম বেশি হলেও পত্নীতলায় ধানের দাম কম। পত্নীতলার আড়ৎদার ও মিল ব্যবসায়ীরা যোগসাজেশ করে পরিকল্পিতভাবে ধানের দাম কমিয়েছে বলেও তিনি আশংকা প্রকাশ করেন।

    এ বিষয়ে ধানের আড়ৎদার ওবায়দুল ইসলাম এর সঙ্গে কথা বললে তিনি জানান, বর্তমানে বাজারে ধানের দাম কমছে। গত এক-দেড় সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতিমণ ধানের দাম ১০০ থেকে ১৫০ টাকা পর্যন্ত কমেছে। এখন বাজারে ধানের সরবরাহ বেড়ে গেছে। চালকল মালিকরাও ধান কেনা কমিয়ে দিয়েছে। চাহিদার তুলনায় সরবরাহ বেশি হওয়ায় ধানের দাম কমে গেছে।

    উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক (অতিরিক্ত দায়িত্বে) মো. আতাউর রহমান এর সঙ্গে কথা বললে তিনি জানান, চলতি বোরো মৌসুমে পত্নীতলা উপজেলায় ২ হাজার ৬৮৯ টন ধান সরাসরি লটারির মাধ্যমে কৃষকের কাছ থেকে ক্রয় করা হবে। কৃষকের কাছ থেকে ১ হাজার ৮০ টাকায় প্রতিমণ ধান ক্রয় করা হবে। আগামী ১১ মে লটারির মাধ্যমে কৃষক নির্বাচন করা হবে বলেও তিনি জানান।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ