• দুর্ঘটনা

    পত্নীতলায় গৃহবধুর আত্মহত্যা।

      প্রতিনিধি ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২ , ১২:০৮:০৫ প্রিন্ট সংস্করণ

    মোঃ শাহআলম-ক্রাইম রিপোর্টার:

    পত্নীতলা (নওগাঁ)ঃগতকাল মঙ্গলবার দুপুর ২.০০ ঘটিকায় নজিপুর সদর মিজান আর্মির বাসায় ভাড়াটিয়া হিসাবে মা-মেয়ে বসবাস করতেন। ঘটনার দিন দুপুরে মেয়ে লাভলি খাতুন যথারীতি দুপুরের খাবার শেষে নিজ ঘরে অবস্থান করায় পাশের ঘর হতে মাকে কারো সাথে কথা বলতে শুনতে পান। কিন্তু এই কথাই যে মায়ের মৃত্যুর কারন হয়ে দাড়াবে তা মনে হলেই বারবার জ্ঞান হারিয়ে ফেলছেন মৃত তহমিনার একমাত্র মেয়ে লাভলি খাতুন। তিন সন্তানের জননী মৃত তহমিনা গত ৫ জানুয়ারী সংরক্ষিত মহিলা আসনে পত্নীতলা উপজেলার কৃষ্ণপুর ইউনিয়ন থেকে অল্প কিছু ভোটের কারনে পরাজিত হয়। এরপর হতে মেয়ে লাভলি খাতুনকে নিয়ে নজিপুর সদরের ঐ বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। কিছুদিন পুর্বে একই এলাকার কথিত প্রেমিক নুরআমিনের সাথে নজিপুর সদরের বিবাহ রেজিষ্টার আলম কাজীর অফিসে বিবাহ সম্পন্ন করে। কিছুদিন পরে নুরআমিন বিবাহকে অস্বীকার করে তার প্রথম স্ত্রী সুমাইয়াকে নিয়ে নিজ বাড়িতে বসবাস করলে তহমিনা আইনের আশ্রয়ে বিবাহের বৈধতা চেয়ে জেলা জজ আদালতে মামলা দাযেরের পরে কিছুদিন পালিয়ে থাকার পরে পত্নীতলা থানার অফিসার ইনচার্জ শামসুল আলম শাহ এর নির্দেশনায় একটি চৌকশ টিম ওয়ারেন্ট মুলে আসামী নুর আমিনকে আটক করে জেলা কারাগারে প্রেরন করে। সরকারী বিধি মোতাবেক করোনার কারনে কারাগারে সাক্ষাৎ বন্ধ করে দিয়ে মোবাইলে পরিবারের সাথে কথা বলার সময়ে আসামী নুরআমিন তহমিনাকে কারাগার হতে বের করার জন্য যেকোন শর্তে রাজি হলে তহমিনা জামিনে বের করে এনে নিজ বাসা নজিপুরে থাকার কথা থাকলেোও নুরআমিন অন্য কোন জায়গায় থেকে নিয়মিত যোগাযোগ করে আসছিল। এরই ধারাবাহিকতায় ঘটনার দিন ভিডিও কলে কথা বলার এক পর্যায়ে কথিত প্রেমিক নুরআমিনকে লাইভে রেখেই জানালার গ্রীলের সাথে গলায ওড়না পেচিয়ে আত্মহত্যা করতে গেলেই নুরআমিন মোবাইলে মেয়ে লাভলি খাতুনকে জানায় তার মা নিজ শোয়ার ঘরে আত্মহত্যার চেষ্টা করছে। শুনেই দরজায় ধাক্কাধাক্কি করে কোন কিছু উপায় না পেয়ে চিৎকার শুরু করলে আশেপাশে হতে লোকজন এসে দরজা ভাঙ্গার পরে তহমিনাকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করে থানা পুলিশ সেসময় কথিত প্রেমিক নুরআমিনকে কল দেওয়ার কথা জানায় লাভলি খাতুন। তার দাবি আমাদের ভাই-বোনদের এতিম বানিয়েছে তার শাস্তি চাই।কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের ০৯ নং ওয়ার্ডের নবনির্বাচিত ইউপি সদস্য বিদ্যুৎ হোসেন সরাসরি নুরআমিন কে পরোক্ষ বা প্রত্যক্ষ ভাবে এই হত্যার জন্য দায়ী করে দোষিদের সঠিক তদন্ত সাপেক্ষে বিচার দাবি করেন।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ