কাওছার হাবিব-নওগাঁ
বছরের প্রথম মাসে যখন সরকার কোমলমতি শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দিচ্ছে নতুন বই, তখন গত বছর অতিরিক্ত শিক্ষার্থীদের হিসাব দেখিয়ে বেশি বই নিয়ে এসে সেগুলো বই কেজি দরে বিক্রি করে দিচ্ছে মাদ্রাসা কতৃপক্ষ । সরেজমিন পরিদর্শন করে এমন গুরুতর অন্যায়ের প্রমাণ মিলেছে নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলার আমাইড় ইউনিয়নে চকনোদবাটি সিদ্দিকীয়া দাখিল মাদ্রাসায় গিয়ে।
বস্তাবন্দি করারত অবস্থায় পাওয়া যায় প্রায় কয়েক বস্তা সরকারি বই। যদিও স্থানীয় এলাকাবাসী হাতেনাতে ধরার পরও বিষয়টি অস্বীকার করছেন মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত সুপার মনোয়ারা বেগম। তিনি জানান, বইগুলো বিক্রি সম্পর্কে আমি কিছুই জানতাম না। পরে জানতে পারি বইগুলো বিক্রি করেছে।
চকনোদবাটি সিদ্দিকীয়া দাখিল মাদ্রাসা থেকে বই ক্রেতাকে এলাকাবাসী রাস্তায় ভ্যান আটকিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে বই রেখে ভয়ে পালিয়ে যায়। ভাড়াকৃত ভ্যানে বই বহন করে নিয়ে যাওয়া চালক জানান, কেজি দরে ওই বইগুলো কিনেছেন । সে হিসাবে মাদ্রাসার শিক্ষক বই ক্রেতার কাছ থেকে বুঝে নিয়েছেন ৬৫০০ টাকা। তবে এগুলো বিক্রয় করা যে অবৈধ তা জানেন না পুরনো বই ক্রেতা স্বল্প শিক্ষিত ওই ব্যক্তি। যদিও নতুন কিংবা পুরনো সব বই-ই যথাসময়ে শিক্ষা অফিস বরাবর ফেরত দেয়ার কথা।
এ ব্যাপারে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এ টি এম জিল্লুর রহমান জানান, নতুন কারিকুলামের বই বিক্রি করতে পারবেনা পুরাতন হলে বিক্রি করতে পারবে। এ বিষয়ে কোন ব্যবস্থা নেওয়া হবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, শোকজ করেছি তো, আপনার যা ইচ্ছা হয় লেখেন তো। উপজেলা নির্বাহী অফিসার টুকটুক তালুকদার জানান, পুরাতন বই অনুমতি ছাড়া বিক্রি করা যাবে না। আমি বিষয়টি দেখতেছি।
E-mil: dailyalokito71sangbad@gmail.com
@বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোক চিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বে-আইনি।
Copyright © 2024 alokito71sangbad. All rights reserved.