• Uncategorized

    পটয়াখালীতে জোড়া খুন,ইউপিঃচেয়ারম্যান লাভলু আসামিসহ ৭৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা, গ্রেফতার ১১ জন!

      প্রতিনিধি ৫ আগস্ট ২০২০ , ১:৪৮:০৯ প্রিন্ট সংস্করণ

    মু,হেলাল আহম্মেদ(রিপন)-পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ

    পটুয়াখালী জেলার বাউফল উপজেলায় কেশবপুর ইউনিয়নে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের অভ্যন্তরীন বিরোধের সূত্র ধরে প্রতিপক্ষের হামলায় রুমান (৩৩) ও তাঁর চাচাতো ভাই ইসাদ (৩০) না‌মের দুই যুবলীগ নেতা খুনের ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের ও ১১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

    গত ০৫ আগষ্ট মঙ্গলবার বিকেলের দিকে নিহত যুবলীগ নেতা রুমানের বড় ভাই মফিজ উদ্দিন বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। এতে সর্বমোট ৭৫ জনকে আসামি করে কেশবপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক ও বর্তমান ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন লাভলুকে প্রধান আসামি করা হয় ꫰

    মামলার নথিতে ৫৯ জনের নাম উল্লেখ করে ১৬ জনকে অজ্ঞাতনামা রেখে আসামি করা হয় ꫰

    যদিও পুলিশ এর মধ্যে এ মামলায় উল্লেখকৃত ১১ জনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে,বলে যানাযায়।

     

    এবিষয়ে বাউফল থানার তদন্ত ওসি আল- মামুন এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ জোড়া খুনের ঘটনায় কেশবপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন লাভলুকে প্রধান আসামি করে ৫৯ জনের নাম উল্লেখসহ আরও ১৬ জনকে অজ্ঞাত করে মামলা রুজু হয়েছে ꫰ যাহার মামলা নং- ০৫।

     

    এ ঘটনার সাথে জড়িত ১১ জনকে আমরা এপর্যন্ত গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছি꫰ আর বাকী আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যহত রয়েছে বলে জানান।

     

    এছাড়াও যানাযায়, স্থানীয় এমপি সাবেক চিফ হুইপ আসম ফিরোজ সমর্থিত উপজেলার কেশবপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সালাউদ্দিন পিকু এবং একই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন লাভলুর মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে অভ্যন্তরীণ বিরোধ চলে আসছিল ꫰ সেই বিরোধকে কেন্দ্র করে শুক্রবার (৩১ জুলাই-২০২০ ইং) দুপুর ১২টার দিকে ইউপি সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন লাভলু সমর্থিত যুবলীগ নেতা রফিকুলকে বেধড়ক মারধর করে সভাপতি সালেহ উদ্দিন পিকুর ভাই ইউপি সদস্য যুবলীগ নেতা সুজন তালুকদার ও তার কর্মীরা। আহত অবস্থায় যুবলীগ নেতা রফিকুলকে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এর জেরে ওই দিনই রফিকুলের অনুসারীরা দুপুর দুইটার দিকে সভাপতি সমর্থিত কর্মীদের ওপর হামলা চালিয়ে ছাত্রলীগ নেতা বশির ও ইব্রাহিমকে আহত করে꫰ পরে তাদেরকে আহত অবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এনে ভর্তি করেন।

     

    হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে রোববার (২ আগস্ট-২০২০ ইং) সন্ধায় সভাপতি সমর্থিত যুবলীগ নেতা রফিকুল কেশবপুর বাজারে গেলে যুবলীগ নেতা রুমান ও ইসাদ তালুকদাদের সাথে বিরোধে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় উভয়পক্ষ লাঠিসোটা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘাতে জড়িয়ে পড়লে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সালাউদ্দিন পিকুর আপন ভাই ইউপি যুবলীগের সহ-সভাপতি রাকিব উদ্দিন রুমান ও তার চাচাতো ভাই ইউপি যুবলীগ নেতা ইসাদ তালুকদার গুরুতর আহত হয়। পরে তাদেরকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসার সময় ইসাদ মারা যায় এবং রুমানকে হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসারত অবস্থায় কিছুক্ষণ পড়েই তারও মৃত্যু হয়꫰।

     

    তাই ভুক্তভোগীর পরিবারটি প্রতিনিয়ত হুমকির মুখে জীবন কাটাচ্ছেন,তাই আইনি সহায়তা কামনা করছেন।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ